আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in সাওম (Fasting) by (29 points)
আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ,

১) কোনো কারণে আইয়ামুল বীজের ১ম রোজা রাখতে না পারলে, ১৪-১৫তারিখের রোজা ২টা রেখে, এরপর ১৩তারিখেরটা ও যেকোনো সময় আদায় করে দিতে হবে বা পারবো?

২) হায়েজ বা অন্যান্য সমস্যার কারণে যদি নির্দিষ্ট তারিখে ছাড়া অন্যসময়ে আইয়ামে বীজের সাওম রাখি তাহলে টানা রাখতে হবে নাকি আলাদা আলাদা করেও রাখা যাবে?
৩) রাতে নিয়ত করে শুয়েছি নফল রোজা রাখবো বলে, কিন্তু সুহুরে উঠতে পারিনি, সকাল ৬/৭টায় ঘুম থেকে উঠে নিয়ত করলাম যে এভাবেই রোজা রেখে দিব, আবার একটু পর মনে হলো যে আমার শরীর খারাপ - সুহুর না খেয়ে রোজা রাখা কঠিন হবে, এরপর আমি খাবার খেয়ে ফেললাম । উস্তায এতে কোনো সমস্যা হবে?

৪) আর ৩নং প্রশ্নের প্রেক্ষিতে এক জায়গায় শুনেছিলাম দুপুর ১২টার আগ পর্যন্ত রোজার নিয়ত করা যায় নাকি কি একটা, এটা একটু ক্লিয়ার করে দিলে মুনাসিব হতো ।
৫) নামাজের জায়গার সামনে খাট আছে, খাটে কেউ ঘুমানো অবস্থায় নামাজ পড়লে সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (67,350 points)

ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/22517/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

রমজানের রোজা, নির্দিষ্ট মানতের রোজা ও নফল রোজার নিয়ত রাত থেকে শুরু করে দ্বিপ্রহরের পূর্ব পর্যন্ত করা যাবে। হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ رَجُلاً يُنَادِي فِي النَّاسِ، يَوْمَ عَاشُورَاءَ " أَنْ مَنْ أَكَلَ فَلْيُتِمَّ أَوْ فَلْيَصُمْ، وَمَنْ لَمْ يَأْكُلْ فَلاَ يَأْكُلْ ".

সালমা ইবনু আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, ‘আশূরা (আশুরা/আসুরা/আসূরা)র দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যাক্তিকে এ বলে লোকদের মধ্যে ঘোষণা দেওয়ার জন্য পাঠালেন, যে ব্যাক্তি খেয়ে ফেলেছে সে যেন পূর্ণ করে নেয় অথবা বলেছেন, সে যেন সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) আদায় করে নেয় আর যে এখনো খায়নি সে যেন আর না খায়। সহীহ বুখারী, ১৮০২

,

আর রমজানের কাজা, সাধারণ মানত, কাফফারা ও যিহারের কাফফারা রোজার নিয়ত রাতে না করলে রোজা বিশুদ্ধ হবে না।

হাদীস শরীফে এসেছে। উম্মুল মুমিনীন হাফসা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

 من لم يجمع الصيام قبل الفجر فلا صيام له.

যে ব্যক্তি ফজরের আগে রোযা রাখার নিয়ত করবে না তার রোযা (পূর্ণাঙ্গ) হবে না। সুনানে আবু দাউদ ১/৩৩৩

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

,

১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ১৩ তারিখেরটা আর রাখা লাগবে না। কারণ, তার দিন পার হয়ে গিয়েছে।

২. এই ক্ষেত্রে রাখা লাগবে না। কারণ, তার দিন পার হয়ে গিয়েছে।

৩-৪. নফল রোজার নিয়ত জহরের আগ পর্যন্ত করতে পারবেন। তবে একবার নিয়ত করে ফেললে তা পরবর্তীতে ভাঙলে তা কাযা করে নিবেন।

৫. না, সমস্যা নেই ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...