আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
42 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (42 points)
১)আইসক্রিম, চকলেট এসব তো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

এসব খাওয়া কি তাহলে গুনাহের কাজ?

২)রক্ত দেওয়া কি জায়েজ??

৩)ধরুন,কেউ শুধু জান্নাত লাভের আশায় ইবাদাত করে।আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের কোন আশা করে না।

এখন সে বিয়ে করল

সে তার বউ কে ভালোবাসে খুব।

তো সে চায় তার স্ত্রী প্রতি সন্তুষ্ট থাকুক।

এখন তার মনে হইল,সে আল্লাহর সন্তুষ্টি চাচ্ছে না কিন্তু স্ত্রীর সন্তুষ্টি চাচ্ছে এতে হয়তো গুনাহ বা শিরক হবে।

তাই সে এখন ইবাদাতের সময় জান্নাতের আশার পাশাপাশি আল্লাহর সন্তুষ্টি ও আশা করে।
মানে তার মনে ইচ্ছা আসে না আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় ইবাদাত করতে।

কিন্তু যেহেতু সে তার স্ত্রীর সন্তুষ্টি চায়,আর এমন যেন না হয় যে সে আল্লাহর সন্তুষ্টির চেয়ে অন্য কারও সন্তুষ্টি বেশি চাচ্ছে,তাই সে জোর করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশা করতে চেষ্টা করে ইবাদতের সময়।
তো এই ব্যাক্তি কি মুশরিক হিসেবে গন্য হবে??
সে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাত পাবে বলে ধারণা করা যায়?

৪)কেউ যদি কোন মানুষকে খুশি করার জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশা ছেড়ে দিয়ে শুধু জান্নাত লাভের আশায় ইবাদাত করে সারাজীবন, এতে শিরক হবে??

সে কি জান্নাত পাবে বলে ধারণা করা যায়??

1 Answer

0 votes
by (592,140 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«وَلَا تُلْقُوْا بِأَيْدِيْكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ»

‘‘তোমরা কখনো ধ্বংসের দিকে নিজ হস্ত সম্প্রসারিত করো না’’। (বাক্বারাহ্ : ১৯৫)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

لَا ضَرَرَ وَلَا ضِرَارَ.

‘‘না তুমি নিজ বা অন্যের ক্ষতি করতে পারো। আর না তোমরা পরস্পর (প্রতিশোধের ভিত্তিতে) একে অপরের ক্ষতি করতে পারো’’। (ইবনু মাজাহ্ ২৩৬৯, ২৩৭০)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ঢালাওভাবে আইসক্রিম চকলেট খাওয়াকে নাজায়েজ বলার সুযোগ নেই।

নির্দিষ্ট কোন আইসক্রিম বা চকলেট এর ব্যাপারে কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার যদি বলে যে ইহা অবশ্যই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তাহলে সেই নির্দিষ্ট আইসক্রিম বা চকলেট খাওয়া জায়েজ হবে না।

(০২)
শরীয়তের বিধান হলো কোনো অভিজ্ঞ ডাক্তার যদি কোনো অসুস্থ ব্যাক্তি সম্পর্কে বলে যে তাকে রক্ত দেওয়া ব্যাতিত তার বেঁচে থাকা মুশকিল,তাহলে তাকে রক্ত দেওয়া যাবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৬/২০২)

তবে তার বিনিময় নেয়া কোনোক্রমেই জায়েজ নয়।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৩)
এই ব্যাক্তি মুশরিক হিসেবে গন্য হবেনা।
সে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাত পাবে বলে আশা করা যায়,ইনশাআল্লাহ। 

(০৪)
কথাটি বিপরীতমুখী।

কেননা মানুষকে খুশী করার উদ্দেশ্যে এবাদত করলে সে ইবাদতে আবার জান্নাত লাভের আশা কেমনে করে? এখানে একটি উদ্দেশ্য অপর উদ্দেশ্যের বিপরীত।

হয় সে জান্নাত লাভের আসে ইবাদত করবে, না হয় সে মানুষকে খুশির উদ্দেশ্যে ইবাদত করবে।যে কোন একটি।

যদি মানুষকে খুশি করার জন্যই শুধুমাত্র এবাদত করে,আল্লাহর সন্তুষ্টি তার কোন উদ্দেশ্য না থাকে, জান্নাত লাভের আশাও যদি তার না থাকে, সেক্ষেত্রে এটি রিয়ার অন্তর্ভুক্ত যেটাকে ছোট শিরক বলে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...