আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
32 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমি একটা খুবই স্পর্শকাতর প্রশ্ন করতে চাই।

আমি অনেকদিন আগে একটা হাদিস পড়েছিলাম যে এক ব্যাক্তি তার স্ত্রীকে অন্য লোকের সাথে ব্যভিচার রত অবস্থায় দেখেছে কিন্তু ওই মহিলাকে রাসুল ( সা) জিজ্ঞেস করলে সেই মহিলা তা অস্বীকার করে এবং তার স্বামীর কাছেও ব্যভিচারের কোনো স্বাক্ষী ছিলো না। পরে রাসুল ( সা) তাকে জান্নাত হারাম করে নেওয়ার কসম খেতে বলে মানে এভাবে যে আমি যদি মিথ্যা বলি তাহলে আমার জন্য যেনো জান্নাত হারাম হয়ে যায় আর জাহান্নাম ফরজ হয়ে যায় এরকম ভাবে কসম খাওয়ায় এবং ওই মহিলা কসম খেয়ে মিথ্যা বলে তারপ্র কী লেখা ছিলো মনে নাই তার জন্য জাহান্নাম অবধারিত হয়েছিলো কি না।

তো এই হাদিস পড়ে আমি আমার স্বামীকে শুনিয়েছিলাম তার অনেকদিন পর আমার স্বামী আমাকে একটা বিষয়ে সত্যি  জানতে চাচ্ছিলো ( ব্যভিচার না অন্য বিষয়)  কিন্তু আমি সত্যি বলতে ভয় পাচ্ছিলাম কারণ সত্যিটা জানলে আমার পরিস্থিতি আমাদের সম্পর্ক সব খারাপ হয়ে যেতো সে আর কোনোদিন আমাকে বিশ্বাস করতো না এজন্য।  তারপর সে এই হাদিস মাথায় রেখে আমাকে কসম করিয়েছে এভাবে। আর আমাকে দিয়ে  বলিয়েছে আর আমিও বলতে বাধ্য হয়েছি এরকম যে "" আমার সৃষ্টিকর্তার কসম আমি এখন যা বলবো সব সত্যি বলবো আর যদি মিথ্যা বলি তাহলে আল্লাহ যেনো আমার জন্য জান্নাত হারাম এবং জাহান্নাম ফরজ বানিয়ে দেয় "" তো এভাবে বলার পর আমাকে অনেক অনেক প্রশ্ন করেছে আমি অনেক গুলোর সত্যি উত্তর দিয়েছি কিন্তু কয়েকটা একদম না চাইতেও মিথ্যা বলতে বাধ্য হয়েছি। কয়েকটা মিথ্যা বলেছি। আমি জানি আমি খুব খুব জঘন্য কাজ করেছি মিথ্যা বলে কিন্তু তখন পরিস্থিতি এমন হয়ে গেছিলো যে আমি সত্য বলতে পারিনি।
এখন আমি এটা ভাবতে ভাবতে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি আমি খুব অনুতপ্ত এবং ভয়ে আছি। আল্লাহ কী আমাকে কখোনো মাফ করবেনা?  আমার জন্য জাহান্নাম কী অবধারিত হয়ে গেছে? আমি কী আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলেও  জান্নাতে যেতে পারবোনা জাহান্নাম কী আমার জন্য অবধারিত হয়ে গেছে? আমি যতই ইবাদাত করি ক্ষমা চাই আর কোনোই উপায় কী নেই?? আমাকে দয়া করে জানাবেন। আমি জানি আমি ভীষণ বড় ভুল করেছি।
আমি মানসিকভাবে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছি এই টেনশনে আর কাউকে শেয়ার ও করতে পারছিনা। আমার জান্নাতে যাওয়ার কী কোনোই উপায় আর খোলা নেই?

1 Answer

0 votes
by (616,440 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সাধারণ বিধান এটাই যে, গোনাহকে গোপন রাখতে হবে।
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ : ( ﻛُﻞُّ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣُﻌَﺎﻓًﻰ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟْﻤُﺠَﺎﻫِﺮِﻳﻦَ ﻭَﺇِﻥَّ ﻣِﻦْ ﺍﻟْﻤُﺠَﺎﻫَﺮَﺓِ ﺃَﻥْ ﻳَﻌْﻤَﻞَ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻴْﻞِ ﻋَﻤَﻠًﺎ ﺛُﻢَّ ﻳُﺼْﺒِﺢَ ﻭَﻗَﺪْ ﺳَﺘَﺮَﻩُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝَ ﻳَﺎ ﻓُﻠَﺎﻥُ ﻋَﻤِﻠْﺖُ ﺍﻟْﺒَﺎﺭِﺣَﺔَ ﻛَﺬَﺍ ﻭَﻛَﺬَﺍ ﻭَﻗَﺪْ ﺑَﺎﺕَ ﻳَﺴْﺘُﺮُﻩُ ﺭَﺑُّﻪُ ﻭَﻳُﺼْﺒِﺢُ ﻳَﻜْﺸِﻒُ ﺳِﺘْﺮَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻨْﻪُ )
আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, আমার সকল উম্মাতকে মাফ করা হবে, তবে প্রকাশকারী ব্যতীত। আর নিশ্চয় এ বড়ই অন্যায় যে, কোন লোক রাতের বেলা অপরাধ করল যা আল্লাহ গোপন রাখলেন। কিন্তু সে সকাল হলে বলে বেড়াতে লাগল, হে অমুক! আমি আজ রাতে এই এই কাজ করেছি। অথচ সে এমন অবস্থায় রাত কাটাল যে, আল্লাহ তার কর্ম লুকিয়ে রেখেছিলেন, আর সে ভোরে উঠে তার উপর আল্লাহর দেয়া আবরণ খুলে ফেলল। (সহীহ বুখারী-৬০৬৯,সহীহ মুসলিম-২৯৯০) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/906

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনাকে আপনার স্বামী যেই জিনিষের কথা জিজ্ঞাসা করেছে , যদি আপনি পূর্বে তাতে লিপ্ত থাকেন, এবং বর্তমানে তাওবাহ করে নেন, এবং সেই বিষয়টা আপনি ব্যতিত অন্য কেউ না জানে,  তাহলে আপনার জন্য সেই বিষয়কে গোপনা রাখা অনুচিত হয়নি বরং জায়েযই হয়েছে। এমনকি ইমাম নববী রাহ তখন মিথ্যা কসমের অনুমোদন দিয়ে থাকেন। হ্যা, সর্বোপরি আপনি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেন। আল্লাহ ক্ষমাকারী। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
আলহামদুলিল্লাহ শায়েখ কিছুটা দুশ্চিন্তা মুক্ত হলাম। কিন্তু আরেকটা দুশ্চিন্তা মাথায় চলছেই দয়া করে এটা বিষয়ে যদি একটু বলতেন।

ওই যে হাদিসের উল্লেখ করলাম সেই হাদিসে ওই মহিলা জান্নাত জাহান্নামের কসম খাওয়ার পর মিথ্যা বলায় তার ওপর যদি জাহান্নাম অবধারিত হয়ে যায় তাহলে আমিওতো কসমে এটা বলতে বাধ্য হয়েছিলাম যে আমি মিথ্যা বললে আমার ওপর যেনো জান্নাত হারাম হয়ে যায় আর জাহান্নাম ফরজ হয়ে যায় তারপর ও মিথ্যা বলতে বাধ্য হয়েছি তাহলে কী কোনোভাবে সত্যি সত্যি আমার ওপর জান্নাত হারাম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে?? 
সবসময় এটা নিয়ে ভেবে আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি যে আমি বোধহয় আমার এই কসমের জন্য আর কোনোদিন জান্নাতে যেতে পারবোনা আমার ওপর তা হারাম হয়ে জাহান্নাম ফরজ হয়ে গেছে।
শায়েখ দয়া করে আমাকে জানিয়েন আমার ওপর এই কসমের জন্য কী জান্নাত হারাম হয়ে গেছে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...