প্রথমেই পরামর্শ থাকবে উক্ত ব্যক্তি যেন প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সঠিকভাবে আদায় করে, ইস্তেঞ্জার সময় টিস্যু ব্যবহার করে, সর্বদা পবিত্র থাকার চেষ্টা করে, ওযু করে ঘুমায়, পবিত্র কাপড়ে ঘুমায় এবং তার ঘুমানোর বিছানাও যেন পবিত্র থাকে, তিনি কোনভাবেই যেন একাকী কোন রুমে না ঘুমায় বরং যে রুমে আরো মানুষ ঘুমাবে সেই রুমেই তিনি ঘুমাবেন।
তাছাড়া তাকে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি
(১) সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩) দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।
নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ،
দেখুন- http://istefta.info/1093
প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،
প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া। মদিনার খেজুর হলে ভালো (এলাজে কুরআনী-০৩)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/10103
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন,
উপরে উল্লেখিত সমস্ত আমল করার পরেও যদি সমাধান না মিলে,সেক্ষেত্রে আমরা পরামর্শ দিবো, ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার। মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন। যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়। তাহলে আশা করা যায় যে, তিনি এ ব্যাপারে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করবেন।