আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
58 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
দয়া করে উত্তরটি দিবেন হুজুর।  আমি এমন কাজ করেছি এজন্য জানতে চাই। রিসোর্টে যেহেতু টাকা দিয়ে থাকছি এজন্য তারা কিছু জিনিস ব্যবহার করতে দেয় সাধারণত এগুলা নিয়ে আসা কি  ঠিক হয়েছে?   আমি খুবই চিন্তিত এ বিষয়ে কারণ আমি  লোশন বাসায় নিয়ে আসছি।  দয়া করে আমায় উত্তর দিবেন দ্রুত হুজুর
জাযাকাল্লাহু খাইর

1 Answer

0 votes
by (592,140 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে রিসোর্টে থাকা অবস্থায় সেই লোশন আপনাকে ব্যবহার করতে তারা দিয়েছিলো।

এটা বাসায় নিয়ে আসতে অনুমতি দেয়নি।

সুতরাং উক্ত লোশন বাসায় নিয়ে আসা জায়েজ হয়নি।

এটি সেই রিসোর্টে ফেরত দিতে হবে।
অথবা সমপরিমাণ টাকা তাদের একাউন্টে দিয়ে দিবেন।

হ্যাঁ যদি এটি ছোট প্যাক হয়,যাহা মূলত আপনারা যে কয়দিন থাকবেন,সে কয়দিন ব্যবহার করলেই শেষ হয়ে যাওয়ার মতো ছিলো,অথবা অন টাইম ব্যবহারের জন্য হয়,সেক্ষেত্রে সেই লোশন বাসায় নিয়ে আসাতে সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর, 
লোশনটি মূলত ছিল রিফিল করা একটি বোতলে। আমি বোতলটি নিয়ে আসিনি। সেই লোশান থেকে কিছু বাড়তি লোশন আমি ঢেলে নিয়ে এসেছি। সেইটা কি অন্যায় হয়েছে? আমায় এক্ষেত্রে সেই রিসোর্টে লোশন ফেরত দেওয়ার মতো অবস্থা নেইযেহেতু আমি লোশনের পুরা বোতল নিয়ে আসিনি এবং আমি দামও জানিনা জিনিসটার ।  সেক্ষেত্রে কি করতে পারি  করতে পারি? আমাকে দয়া করে সলিউশন দিন। 
জাযাকাল্লাহু খাইরান 
by (592,140 points)
এটি জায়েজ হয়নি।

এক্ষেত্রে আপনি যে পরিমাণ লোশন নিয়ে এসেছেন তার আনুমানিক একটি মূল্য ধরে নিয়ে সে মূল্য আপনি উক্ত রিসোর্ট কর্তৃপক্ষকে ফেরত দিবেন।

স্বশরীরে যদি ফেরত দেওয়া সম্ভব না হয় সে ক্ষেত্রে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দিতে পারেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...