আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)

১।আল্লাহ পাক আর রাসুল সাঃ কে কেউ কটুক্তি গালি বা অসম্মান বা যা উনাদের শানের খেলাফ বা ইমান চলে যাবে এইসব যেকোনো উপায়ে সামনে আসলে মনে মনে আসে যে ভালো করছে নাউজুবিল্লাহ কি কারনে হয়?


২। আমার ধারনা কোনটা ওসওয়াসা সেটা সম্পর্কে যারা ওসওয়াসা রোগী তারা জানেনা বিধায় বেশি ওসওয়াসায় পড়ে। খালি এটা বলেদেন যে ওসওয়াসা মানে মনের ভিতর কোনো একটা বিষয় বারবার আসতে থাকে ,আসলে খারাপ লাগে, কোনো ভাবেই মাথা থেকে শড়াতে পারিনা।আবার একটা জিনিস মনে আসলো সেটা মনে হয় যে আল্লাহ পাক রাসুল সাঃ উনাদের শানের খেলাফ,  বিশ্বাস করলে বা মুখ দিয়ে উচ্চারণ করলে   ইমান চলে যাবে । আবার মনে হয় ইসলাম সম্পর্কে খারাপ কিছু যা বিশ্বাস করলে মুখ দিয়ে উচ্চারণ করলে ইমান থাকবেনা। আমার মনে হয় সেগুলো অন্য ধর্মালম্বী বা ধর্মের বিষয় কিন্তু মনে আসে যদি সেগুলো না হয়ে মুসলমানদের হয় ।  এরকম কি ওসওয়াসার কারনে হয়? 

 

৩।ওসওয়াসার মূলনীতি কি

1 Answer

0 votes
by (592,050 points)
بسم الله الرحمن الرحيم

মনের মধ্যে অনাকাক্সিক্ষত ও অপ্রত্যাশিত কোনো কিছু উদয় হওয়াকে ওয়াসওয়াসা (কুমন্ত্রণা, দ্বিধাদ্বন্দ্ব, সন্দেহপ্রবণতা) বলা হয়। এটা একটি মানসিক রোগ, কুমন্ত্রণার ফাঁদ- যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসে। মানুষ মাত্রই কমবেশি বিভিন্ন বিষয়ে ওয়াসওয়াসা বা কুমন্ত্রণায় আক্রান্ত হতে পারে। কিন্তু এই বিষয় জ্ঞান না থাকলে, একজন সাধারণ ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত হতে পারে; এ জন্য সতর্কতা কাম্য।

যে কাজগুলো করলে শয়তান কুমন্ত্রণা দিয়ে থাকে, সেই কাজ থেকে বিরত থাকা।

★‘ওয়াসওয়াসা’ শব্দের আভিধানিক অর্থ গোপন শব্দ ও মনের খটকা (লিসানুল আরব)।

আর শারী‘আতের পরিভাষায় মনের মধ্যে ওয়াসওয়াসা দ্বারা কুমন্ত্রণা এবং মনের মধ্যে খারাপ ধারণা এবং খারাপ কর্ম করার মানসিকতা সৃষ্টি হওয়াকে বুঝানো হয়। এটা শয়তানের পক্ষ থেকে হয় আবার মানুষের নিজের থেকেও হতে পারে। এর দ্বারা ঈমান শূন্য হয় না। তবে ঈমানের ক্ষতি হয়। এ জন্য শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে আল্লাহ স্বীয় নবী (ছাঃ)-কেও পানাহ চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ।


حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ قَالَ أَبُوْ هُرَيْرَةَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَأْتِي الشَّيْطَانُ أَحَدَكُمْ فَيَقُوْلُ مَنْ خَلَقَ كَذَا مَنْ خَلَقَ كَذَا حَتَّى يَقُوْلَ مَنْ خَلَقَ رَبَّكَ فَإِذَا بَلَغَهُ فَلْيَسْتَعِذْ بِاللهِ وَلْيَنْتَهِ

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কারো নিকট শয়তান আসতে পারে এবং সে বলতে পারে, এ বস্তু কে সৃষ্টি করেছে? ঐ বস্তু কে সৃষ্টি করেছে? এরূপ প্রশ্ন করতে করতে শেষ পর্যন্ত বলে বসবে, তোমার প্রতিপালককে কে সৃষ্টি করেছে? যখন ব্যাপারটি এ স্তরে পৌঁছে যাবে তখন সে যেন অবশ্যই আল্লাহর নিকট আশ্রয় চায় এবং বিরত হয়ে যায়। (মুসলিম ১/৬০ হাঃ ১৩৪) (বুখারী ৩২৭৬,আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৩৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৪৩)

★ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...