আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
41 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্। 

উস্তায আমার কয়েকমাস হলো বিয়ে হয়েছে।বিয়ের আগে ছেলে জানিয়েছিলো সে তাবলীগ করে,সাদপন্থী,,কিন্তু কোনো দলাদলি পছন্দ করে না। তখন আমি এই বিষয় গুলোকে তেমন গুরুত্ব দিইনি।

এখন কয়েকজন বড় আপুর সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি, এই পন্থীতে সমস্যা আছে।কি সমস্যা আমার তেমন জানা নেই।

আমার স্বামী তাবলীগে সময় দেন বেশি,,আমাকেও ৩ দিনের মাস্তুরাত জামায়াতে একবার নিয়ে গিয়েছিলেন,, তখন আমি এসব বিষয়ে জানতাম না তেমন।

বড় আপুদের সাথে কথা বলার পর,আমাদের মধ্যে কিছু মনোমালিন্য চলছে।

তিনি আমাকে তালিমে,, জামায়াতে, দ্বীনের খেদমতে নিয়ে যেতে চান,,কিন্তু আমি যাচ্ছি না।

উনার কথা অমান্য করছি। যেটাতে আমি,উনি দুজনেই কষ্ট পাচ্ছি,, আমি তাকে বলেছিলাম এসব তাবলীগ ছেড়ে দিয়ে,আলেম পন্থীদের দলে আসতে,,কিন্তু তিনি রাজি না। এদিকে এই বিষয় গুলো নিয়ে আমি অনেক কষ্ট পাচ্ছি। 

তিনি যখন জামাতে যান,আমার অনেক মন খারাপ থাকে,,মাঝে মাঝে এমন হয়,,রাগ করে কথা বলে ফেলি।

প্রশ্ন:

১. আমি এখন কি করবো উস্তায? তার এই তাবলীগী কাজে খুশি থাকবো,,না তাকে বুঝানোর চেষ্টা করবো,যদিও সে শুনবে না আল্লাহ না চাইলে।

২. আমি কি তার সাথে তালিমে যাবো,মাস্তুরাত জামায়াতে যাবো? ( আমার এসব বিষয়ে ইলম কম,,আমি মানুষের থেকে শুনে মনে মনে আলিম পন্থীকে সাপোর্ট করি)

এই বিষয় গুলো নিয়ে সংসারে অশান্তি হচ্ছে উস্তায,,আমাকে সঠিক পরামর্শ দিন উস্তায ইন শা আল্লাহ। 

 

আর একটা বিষয় উস্তায,,আমি ২০২২ সালে ৫৪০০০ টাকা দিয়ে ল্যাপটপ কিনেছিলাম,সম্ভবত ৩৬০০০ টাকার মতো,সঠিক মনে নেই,,কম হতে পারে,বেশি হবে না ইন শা আল্লাহ ফিক্সড ডিপোজিট করা একাউন্ট থেকে সুদের টাকা দিয়েছিলো বাসা থেকে। তখন আমার এসব হালাল হারাম সম্পর্কে ইলম ছিলো না,,২ মাস পরে আমার আপুকে ল্যাপটপ টা দিয়ে দিই,,সুদের টাকা দিয়ে কিনেছিলাম জন্য। 

আমার স্বামী সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ার,সে চায় আমিও ঘরে বসে ল্যাপটপে কিছু কাজ শিখি।

প্রশ্ন:

৩. আমি কি এখন ঐ ল্যাপটপ নিয়ে কাজ শিখতে পারবো? আমার জন্য কি জায়েজ হবে?

৪. ৩৬০০০ টাকার মতো সাওয়াবের নিয়ত ছাড়া সাদাকা করারও সামর্থ্য নেই,এখন কি করবো উস্তায? 

1 Answer

0 votes
by (592,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(১-২)
আমাদের মূল উদ্দেশ্য হল, মুসলমানদের মাঝে পরস্পর ঐক্য ও সম্প্রীতি। 
আমাদের এ ওয়েবসাইট সত্যান্বেষী মুসলিম উম্মাহর সকল দ্বীনী ভাই/বোনকে সমানভাবে  মহব্বত ও শ্রদ্ধা করে।
আমাদের এখানে নির্দিষ্ট করে এমন কোনো দল বা মতভেদ সম্পর্কে প্রশ্ন করা যাবে না,যা আমাদের মূল লক্ষ্য-উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে।হ্যা কোনো বিষয় সম্পর্কে কুরআন হাদীসের দৃষ্টিভঙ্গি কী? সেটা প্রশ্ন করা যাবে।সেই মাস'আলা যেকোনো সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্কিত হোক না কেন।তবে কোনো দল বা উপদলের নাম উল্লেখ করে নয়।
আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।

আরো জানুনঃ 

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

وَاعْتَصِمُواْ بِحَبْلِ اللّهِ جَمِيعًا وَلاَ تَفَرَّقُواْ وَاذْكُرُواْ نِعْمَةَ اللّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ كُنتُمْ أَعْدَاء فَأَلَّفَ بَيْنَ قُلُوبِكُمْ فَأَصْبَحْتُم بِنِعْمَتِهِ إِخْوَانًا وَكُنتُمْ عَلَىَ شَفَا حُفْرَةٍ مِّنَ النَّارِ فَأَنقَذَكُم مِّنْهَا كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ

আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে সুদৃঢ় হস্তে ধারণ কর; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। আর তোমরা সে নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা আল্লাহ তোমাদিগকে দান করেছেন। তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের মনে সম্প্রীতি দান করেছেন। ফলে, এখন তোমরা তাঁর অনুগ্রহের কারণে পরস্পর ভাই ভাই হয়েছ। তোমরা এক অগ্নিকুন্ডের পাড়ে অবস্থান করছিলে। অতঃপর তা থেকে তিনি তোমাদেরকে মুক্তি দিয়েছেন। এভাবেই আল্লাহ নিজের নিদর্শনসমুহ প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা হেদায়েত প্রাপ্ত হতে পার। (সূরা আলে ইমরান-১০৩)

★মুল বিষয় হলো এ মেহনত অব্যাহত রাখা।
নিজের শুদ্ধি আর উম্মতের মাঝে দ্বীন ছড়ানোর জন্য যেই গ্রুপ থেকে আপনার জন্য মেহনতে অংশ গ্রহন সহজ হবে,  আপনি সে গ্রুপ থেকে মেহনত করতে পারেন।
নিজের নিয়ত,আমল খালেছ থাকলে আপনি আখেরাতে অধিক লাভবান হবেন,ইনশাআল্লাহ। 


উম্মতের ঐক্য নিয়ে নিচের ভিডিওটি দেখলে ভাল হয় 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
তারাও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত। 
উম্মতের মাঝে দ্বীন ছড়ানোর জন্য যেই গ্রুপ থেকে আপনার স্বামীর জন্য মেহনতে অংশ গ্রহন সহজ হবে, আপনার স্বামী সেই গ্রুপ থেকে মেহনত করতে পারেন।
নিজের নিয়ত,আমল খালেছ থাকলে আপনার স্বামী আখেরাতে লাভবান হবেন,ইনশাআল্লাহ। 
আপনিও শরীয়তের বিধিবিধান মেনে তা'লিমে, মাস্তুরাত জামাতে যেতে পারেন।

আরো জানুনঃ- 

(০৩)
না,জায়েজ হবেনা।

(০৪)
আপনি সেটি ব্যবহার করবেননা।
আপনার বাবাকে দিয়ে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...