আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১. নামাজ পড়া কালীন সময়ে সামনে নামাজের স্থান থেকে একটু দূরে কিন্তু প্রায় সামনা সামনি কেউ এসে দাড়ায়ে পড়েছে। ফরজ নামাজ ভাংগবো নাকি কি করবো কনফিউজড হয়ে নামাজ কন্টিনিউ করেছি। যে সামনে দাড়িয়েছে সে ভেবেছে সোজাসুজি দাড়ায়নি কিন্তু আমার মনে হচ্ছিল সামনা সামনি তার পরও একরা সিজদা দিয়েছি আর বাকি সেজদাগুলো একটু সরে গিয়ে দিয়েছি৷ সামনে চোখ তুলে তাকিয়ে দেখিনি নামাজ ভেঙে যাবে তাই যে সে সোজাসুজি নাকি একটু পাশে।
এ ঘটনায় কি ইমানে সমস্যা হতে পারে? খুবই ভয় লাগছে।
২. অনিচ্ছা সত্বেও এমনি টাইমে এবং নামাজের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের শিরকের কথা মনে চলে আসে একদম হঠাৎ। আস্তাগফিরুল্লাহ। আমার লেখারও সাহস হচ্ছেনা। ফেরাউন যেরকম দাবী করতো ( নাউজুবিল্লাহ) ।  আমি ইবাদাতে মন দিতে পারিনা বিভিন্ন ধরনের কুচিন্তা আসে মনে।
ইমান নিয়ে ভয়ে আছি।
৩. ছোট নবজাতক বাচ্চাদের মৃত্যু যন্ত্রণা সম্পর্কে কি কোনো হাদীস আছে?
by (10 points)
যদি সে সোজাসুজিই দাড়িয়ে পড়ে এক্ষেত্রে ( ১নং প্রশ্নে)। 

1 Answer

0 votes
by (607,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
নামাযীর সামনে দিয়ে অতিক্রম হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে নামাযীর সামনে সুতরা দেয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসূল সাঃ এর একটি হাদীস দ্বারা সুষ্পষ্টরূপে সুতরার গুরুত্ব বুঝা যায়- হাদীসটি হল-

عن أبي هريرة قال قال النبي صلى الله عليه و سلم ( لو يعلم أحدكم ما له في أن يمر بين يدي أخيه معترضا في الصلاة . كان لأن يقيم مائة عام خير له من الخطوة التي خطاها (سنن ابن ماجه، كتاب الصلاة، باب المرور بين يدى المصلى، رقم الحديث-946)

অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যে ব্যক্তি কোন নামাযীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করে সে যদি জানতো [এর শাস্তি কতটা ভয়াবহ], তাহলে তার কাছে একশত বছর দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম মনে হতো নামাযীর সামনে দিয়ে এ পদক্ষেপের তুলনায়। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৯৪৬, কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১৯২৫২}

বিস্তারিত জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এ ঘটনায় আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা। আপনার নামাজ হয়ে গিয়েছে।

(০২)
এক্ষেত্রে করনীয় সম্পর্কে রাসূল সা.-এর এক হাদিসে এসেছে,

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ سَعِيدٍ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي، الْعَلاَءِ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ أَبِي الْعَاصِ، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ الشَّيْطَانَ قَدْ حَالَ بَيْنِي وَبَيْنَ صَلاَتِي وَقِرَاءَتِي يَلْبِسُهَا عَلَىَّ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ذَاكَ شَيْطَانٌ يُقَالُ لَهُ خِنْزِبٌ فَإِذَا أَحْسَسْتَهُ فَتَعَوَّذْ بِاللَّهِ مِنْهُ وَاتْفِلْ عَلَى يَسَارِكَ ثَلاَثًا " . قَالَ فَفَعَلْتُ ذَلِكَ فَأَذْهَبَهُ اللَّهُ عَنِّي .

৫৫৫০। ইয়াহয়া ইবনে খালাফ আল বাহিলী (রাহঃ) ......... আবুল আলা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, উসমান ইবনে আবুল আস (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! শয়তান আমার এবং আমার নামায ও কিরা’আতের মাঝে প্রতিবন্ধক হয়ে তা আমার জন্য এলোমেলো করে দেয়। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ ওটা এক (প্রকারের) শয়তান যার নাম ‘খিনযিব’। যখন তুমি তার উপস্থিতি অনুভব করবে তখন (আউযুবিল্লাহ পড়ে) তার কবল থেকে আল্লাহর নামে আশ্রয় নিয়ে তিনবার তোমার বামদিকে থু থু নিক্ষেপ করবে। তিনি বলেনঃ পরে আমি তা করলে আল্লাহ আমা থেকে তা দূর করে দিলেন।

আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ (সহীহ মুসলিম)

হাদীস নং: ৫৫৫০
আরো জানুনঃ-

(০৩)
নির্দিষ্ট ভাবে ছোট বাচ্চাদের জন্য এ সংক্রান্ত হাদিস খুঁজে পাইনি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...