ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
গায়রে মাহরামের সাথে বিনা প্রয়োজনে কথা বলা নাজায়েয ও হারাম।হ্যা প্রয়োজনে কথা বলা যাবে।
সুতরায়
কোন গায়রে মাহরামের সাথে যদি কখনো গালাগালি/রাগারাগী হয়ে যায়, এবং তার গীবত করা হয় বা তাকে অপবাদ দেয়া হয়,তাহলে উক্ত গায়রে মাহরামের সাথে পর্দার আড়াল থেকে কথা বলা যাবে।কেননা তখন কথা বলা জরুরত পর্যায়ের হয়ে যায়। তবে গায়রে মাহরামের দিকে দূষ্টি দেয়া যাবে না।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻗُﻞ ﻟِّﻠْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﻳَﻐُﻀُّﻮﺍ ﻣِﻦْ ﺃَﺑْﺼَﺎﺭِﻫِﻢْ ﻭَﻳَﺤْﻔَﻈُﻮﺍ ﻓُﺮُﻭﺟَﻬُﻢْ ﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺯْﻛَﻰ ﻟَﻬُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺧَﺒِﻴﺮٌ ﺑِﻤَﺎ ﻳَﺼْﻨَﻌُﻮﻥَ
মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।
ﻭَﻗُﻞ ﻟِّﻠْﻤُﺆْﻣِﻨَﺎﺕِ ﻳَﻐْﻀُﻀْﻦَ ﻣِﻦْ ﺃَﺑْﺼَﺎﺭِﻫِﻦَّ ﻭَﻳَﺤْﻔَﻈْﻦَ ﻓُﺮُﻭﺟَﻬُﻦَّ
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে।(সূরা নূর-৩০-৩১)
আল্লাহ তা'আলা অন্যত্র বলেন,
ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﺧَﺎﺋِﻨَﺔَ ﺍﻟْﺄَﻋْﻴُﻦِ ﻭَﻣَﺎ ﺗُﺨْﻔِﻲ ﺍﻟﺼُّﺪُﻭﺭُ
চোখের চুরি এবং অন্তরের গোপন বিষয় তিনি জানেন।(সূরা গাফির-১৯)
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﺴَّﻤْﻊَ ﻭَﺍﻟْﺒَﺼَﺮَ ﻭَﺍﻟْﻔُﺆَﺍﺩَ ﻛُﻞُّ ﺃُﻭﻟـﺌِﻚَ ﻛَﺎﻥَ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺴْﺆُﻭﻻً
নিশ্চয় কান, চক্ষু ও অন্তঃকরণ এদের প্রত্যেকটিই জিজ্ঞাসিত হবে।(সূরা বনী ইসরাঈল-৩৬)
হযরত জারির ইবনে আব্দুল্লাহ রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋﻦ ﺟﺮﻳﺮ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : " ﺳَﺄَﻟْﺖُ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻋَﻦْ ﻧَﻈَﺮِ ﺍﻟْﻔُﺠَﺎﺀَﺓِ ﻓَﺄَﻣَﺮَﻧِﻲ ﺃَﻥْ ﺃَﺻْﺮِﻑَ ﺑَﺼَﺮِﻱ ."
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে হঠাৎ হারামে পতিত হওয়া দৃষ্টি সম্পর্কে জিজ্ঞাস করলাম।তিনি প্রতিউত্তরে বললেন,আমি যেন তাৎক্ষণাৎ দৃষ্টিকে অন্যদিকে ফিরিয়ে নেই।(সহীহ মুসলিম-২১৫৯)
রাসূলুল্লাহ সাঃ হযরত আলী রাযি কে ওসিয়ত করে বললেন,
« ﻳَﺎ ﻋَﻠِﻲُّ ﻻَ ﺗُﺘْﺒِﻊِ ﺍﻟﻨَّﻈْﺮَﺓَ ﺍﻟﻨَّﻈْﺮَﺓَ، ﻓَﺈِﻥَّ ﻟَﻚَ ﺍﻷُﻭﻟَﻰ ﻭَﻟَﻴْﺴَﺖْ ﻟَﻚَ ﺍﻵﺧِﺮَﺓُ »
হে আলী! তুমি গায়রে মাহরাম মহিলার দিকে লাগাতার দৃষ্টি দিও না।অযাচিত ভাবে প্রথমবার দৃষ্টি পড়ে গেলে কোনো সমস্যা নাই।দ্বিতীয়বার আর কখনো দৃষ্টি দিবে না।(সুনানু-আবি-দাউদ-২১৪৯,সুনানু তিরমিযি-২৭৭৭) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
10641