আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
156 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (56 points)
edited by
আস্সালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ
কোন গায়রে মাহরামের সাথে হয়ত গালাগালি/রাগারাগী/তার গীবত করা হয়েছে বা তাকে অপবাদ দেয়া হয়েছে
গায়ের মাহরামের সাথে জরুরত ছাড়া যেহেতু কথা বলা যায়েজ নেই; এক্ষেত্রে তার কাছে থেকে ক্ষমা পাওয়ার বিধান কি?

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
গায়রে মাহরামের সাথে বিনা প্রয়োজনে কথা বলা নাজায়েয ও হারাম।হ্যা প্রয়োজনে কথা বলা যাবে।
সুতরায়
কোন গায়রে মাহরামের সাথে যদি কখনো গালাগালি/রাগারাগী হয়ে যায়, এবং তার গীবত করা হয় বা তাকে অপবাদ দেয়া হয়,তাহলে উক্ত গায়রে মাহরামের সাথে পর্দার আড়াল থেকে কথা বলা যাবে।কেননা তখন কথা বলা জরুরত পর্যায়ের হয়ে যায়। তবে গায়রে মাহরামের দিকে দূষ্টি দেয়া যাবে না।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻗُﻞ ﻟِّﻠْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﻳَﻐُﻀُّﻮﺍ ﻣِﻦْ ﺃَﺑْﺼَﺎﺭِﻫِﻢْ ﻭَﻳَﺤْﻔَﻈُﻮﺍ ﻓُﺮُﻭﺟَﻬُﻢْ ﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺯْﻛَﻰ ﻟَﻬُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺧَﺒِﻴﺮٌ ﺑِﻤَﺎ ﻳَﺼْﻨَﻌُﻮﻥَ
মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।
ﻭَﻗُﻞ ﻟِّﻠْﻤُﺆْﻣِﻨَﺎﺕِ ﻳَﻐْﻀُﻀْﻦَ ﻣِﻦْ ﺃَﺑْﺼَﺎﺭِﻫِﻦَّ ﻭَﻳَﺤْﻔَﻈْﻦَ ﻓُﺮُﻭﺟَﻬُﻦَّ
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে।(সূরা নূর-৩০-৩১)

আল্লাহ তা'আলা অন্যত্র বলেন,
ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﺧَﺎﺋِﻨَﺔَ ﺍﻟْﺄَﻋْﻴُﻦِ ﻭَﻣَﺎ ﺗُﺨْﻔِﻲ ﺍﻟﺼُّﺪُﻭﺭُ
চোখের চুরি এবং অন্তরের গোপন বিষয় তিনি জানেন।(সূরা গাফির-১৯)
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﺴَّﻤْﻊَ ﻭَﺍﻟْﺒَﺼَﺮَ ﻭَﺍﻟْﻔُﺆَﺍﺩَ ﻛُﻞُّ ﺃُﻭﻟـﺌِﻚَ ﻛَﺎﻥَ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺴْﺆُﻭﻻً
নিশ্চয় কান, চক্ষু ও অন্তঃকরণ এদের প্রত্যেকটিই জিজ্ঞাসিত হবে।(সূরা বনী ইসরাঈল-৩৬)

হযরত জারির ইবনে আব্দুল্লাহ রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋﻦ ﺟﺮﻳﺮ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : " ﺳَﺄَﻟْﺖُ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻋَﻦْ ﻧَﻈَﺮِ ﺍﻟْﻔُﺠَﺎﺀَﺓِ ﻓَﺄَﻣَﺮَﻧِﻲ ﺃَﻥْ ﺃَﺻْﺮِﻑَ ﺑَﺼَﺮِﻱ ."
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে হঠাৎ হারামে পতিত হওয়া দৃষ্টি সম্পর্কে জিজ্ঞাস করলাম।তিনি প্রতিউত্তরে বললেন,আমি যেন তাৎক্ষণাৎ দৃষ্টিকে অন্যদিকে ফিরিয়ে নেই।(সহীহ মুসলিম-২১৫৯)

রাসূলুল্লাহ সাঃ হযরত আলী রাযি কে ওসিয়ত করে বললেন,
« ﻳَﺎ ﻋَﻠِﻲُّ ﻻَ ﺗُﺘْﺒِﻊِ ﺍﻟﻨَّﻈْﺮَﺓَ ﺍﻟﻨَّﻈْﺮَﺓَ، ﻓَﺈِﻥَّ ﻟَﻚَ ﺍﻷُﻭﻟَﻰ ﻭَﻟَﻴْﺴَﺖْ ﻟَﻚَ ﺍﻵﺧِﺮَﺓُ »
হে আলী! তুমি গায়রে মাহরাম মহিলার দিকে লাগাতার দৃষ্টি দিও না।অযাচিত ভাবে প্রথমবার দৃষ্টি পড়ে গেলে কোনো সমস্যা নাই।দ্বিতীয়বার আর কখনো দৃষ্টি দিবে না।(সুনানু-আবি-দাউদ-২১৪৯,সুনানু তিরমিযি-২৭৭৭)  বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 10641


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...