আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
373 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (51 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু,
ভিডিও প্রসংগে কোন কোন আলেমদের ভিন্ন মত থাকলেও অধিকাংশ একে জায়েজ বলেছেন। আমি মুস্তাফিজ রহমানি এর ওয়াজ হতে জানতে পেরেছি যে, দেওবন্দ এর ৭৫ শতাংশ আলেম ভিডিও যা প্রজেক্টর, ইউটিউব বা ক্যামেরার হয় তা জায়েজ একজন বাদে। ভিডিও তরংগ হোয়ার কারণে মুস্তাফিজ রহমানিও একে জায়েজ বলছেন। তাহলে,

১. আমি যদি জায়েজ হয়ার ফতোয়া গ্রহন ও আমল করি, এতে গুনাহ হবে কি?

২. ইউটিউবে শিক্ষা বিষয়ক অনেক ভিডিও রয়েছে আবার বর্তমানে আমাদের কলেজের ক্লাস গুলোর ও ভিডিও রেকর্ড হয়।কেউ তা দেখে শিক্ষা নিলে তা কি জায়েজ হবে?

৩. এই প্রসংগের বাইরে প্রশ্নটি, স্কুল কলেজে যদি মহিলা শিক্ষক পড়ান পরিপূর্ণ পর্দা ব্যতীত তবে ছাত্রদের শিক্ষা হারাম হবে কি না?

1 Answer

0 votes
by (598,140 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তাসবীর বা ফটো হারাম।এ সম্পর্কে অসংখ্য হাদীস রয়েছে।তন্মধ্যে একটি হাদীস উল্লেখ করছি-
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর(রা.)থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَخْبَرَهُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " إِنَّ الَّذِينَ يَصْنَعُونَ هَذِهِ الصُّوَرَ يُعَذَّبُونَ يَوْمَ القِيَامَةِ، يُقَالُ لَهُمْ: أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ "
রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন,যারা ফটো বানায়, কিয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দেয়া হবে এবং তাদের উদ্দেশ্যে বলা হবে,যা তোমরা বানিয়েছ তাতে জীবন দাও।[সহীহ বুখারী-৫৯৫১]
বিস্তারিত জানুন-2253


লাইভ সম্প্রচার জায়েয, এটা নিয়ে কোনো মতবিরোধ নেই।রেকর্ড ভিডিও নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।মুফতী তাক্বী উসমানী রেকর্ড ভিডিওকে তাসবীর(যা সর্বসম্মতিক্রমে হারাম)এর আওতাধীন করতে ইতস্ততাবোধ করেছেন।উনি উনার অমরগ্রন্থ তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিমে লিখেন,
ﻭﺍﻣﺎ ﺍﻟﺼﻮﺭﺓ ﺍﻟﺘﻰ ﻟﻴﺲ ﻟﻬﺎ ﺛﺒﺎﺕ ﻭﺍﺳﺘﻘﺮﺍﺭ، ﻭﻟﻴﺴﺖ ﻣﻨﻘﻮﺷﺔ ﻋﻠﻰ ﺷﻴﺊ ﻳﺼﻔﺔ ﺩﺍﺋﻤﺔ ﻓﺈﻧﻬﺎ ﺑﺎﻟﻈﻞ ﺍﺷﺒﻪ (ﺍﻟﻰ ﻗﻮﻟﻪ) ﻓﺎﻥ ﺍﻟﺼﻮﺭﺓ ﻻ ﺗﺴﺘﻘﻮ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻜﻴﺴﺮﺍ ﺍﻟﻰ ﺍﻟﺸﺎﺷﺔ ﻭﺗﻈﻬﺮ ﻋﻠﻴﻬﺎ ﺑﺘﺮﺗﻴﺒﻬﺎ ﺍﻷﺻﻠﻰ ﺛﻢ ﺗﻔﺘﻰ ﻭﺗﺰﻭﻝ،
ভাবার্থ-ঐ ছবি যার কোনো স্থায়িত্ব বা দীর্ঘতা নেই, এবং যা কোনো জিনিষের উপর স্থায়ী অঙ্কিত ও নয়।সেটা ছায়ার অধিকতম নিকটবর্তী। কেননা ছবি স্কীনে অবশিষ্ট থাকে না বরং তা মেমোরি বা রিলে সংরক্ষিত ধারাবাহিকার সাথে স্কীনে আসে আবার তা দূতই চলে যায়।(তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম-৪/১৬৪)


দ্বীনী প্রচার প্রসার এর উদ্দেশ্যে কোনো ফিল্ম তৈরী হলে এবং তাতে কোনো প্রকার হারাম জিনিষ যেমন গান-বাদ্য, নারী দৃশ্য ইত্যাদি না থাকলে, অনুমোদন দেয়া যেতে পারে।(জাদীদ ফেকহী মাসাঈল;১/২৩৬) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 361


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন
১. আমি যদি জায়েজ হয়ার ফতোয়া গ্রহন ও আমল করি, এতে গুনাহ হবে কি?
আপনি শুধুমাত্র দ্বীনি বিষয়ক এমন ভিডিওর বেলায় জায়েয হওয়ার ফাতাওয়া গ্রহণ করতে পারবেন, যাতে কোনো প্রকার হারাম যেমন নারীদূশ্য মিউজিক ইত্যাদি থাকতে পারবে না।

২. ইউটিউবে শিক্ষা বিষয়ক অনেক ভিডিও রয়েছে আবার বর্তমানে আমাদের কলেজের ক্লাস গুলোর ও ভিডিও রেকর্ড হয়।কেউ তা দেখে শিক্ষা নিলে তা কি জায়েজ হবে?
ইউটিউবে শিক্ষা বিষয়ক বা আপনাদের কলেজের ক্লাস গুলোর ও ভিডিও  দেখতে পারবেন।জায়েজ হবে।

৩. এই প্রসংগের বাইরে প্রশ্নটি, স্কুল কলেজে যদি মহিলা শিক্ষক পড়ান পরিপূর্ণ পর্দা ব্যতীত তবে ছাত্রদের শিক্ষা হারাম হবে কি না?
ছাত্রদের জন্য হারাম হবে না। তবে নিজ চক্ষুকে হেফাজতে রাখতে হবে।প্রয়োজনে স্কুল বদলানোর চেষ্টা করতে হবে।যদি বদলানো না যায়,এবং কেউ ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থ রক্ষার নিয়তে জেনারেল শিক্ষা গ্রহণ করতে চায়,তাহলে তার জন্য ইস্তেগফারের সাথে রুখসত থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...