বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তাসবীর বা ফটো হারাম।এ সম্পর্কে অসংখ্য হাদীস রয়েছে।তন্মধ্যে একটি হাদীস উল্লেখ করছি-
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর(রা.)থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَخْبَرَهُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " إِنَّ الَّذِينَ يَصْنَعُونَ هَذِهِ الصُّوَرَ يُعَذَّبُونَ يَوْمَ القِيَامَةِ، يُقَالُ لَهُمْ: أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ "
রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন,যারা ফটো বানায়, কিয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দেয়া হবে এবং তাদের উদ্দেশ্যে বলা হবে,যা তোমরা বানিয়েছ তাতে জীবন দাও।[সহীহ বুখারী-৫৯৫১]
লাইভ সম্প্রচার জায়েয, এটা নিয়ে কোনো মতবিরোধ নেই।রেকর্ড ভিডিও নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।মুফতী তাক্বী উসমানী রেকর্ড ভিডিওকে তাসবীর(যা সর্বসম্মতিক্রমে হারাম)এর আওতাধীন করতে ইতস্ততাবোধ করেছেন।উনি উনার অমরগ্রন্থ তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিমে লিখেন,
ﻭﺍﻣﺎ ﺍﻟﺼﻮﺭﺓ ﺍﻟﺘﻰ ﻟﻴﺲ ﻟﻬﺎ ﺛﺒﺎﺕ ﻭﺍﺳﺘﻘﺮﺍﺭ، ﻭﻟﻴﺴﺖ ﻣﻨﻘﻮﺷﺔ ﻋﻠﻰ ﺷﻴﺊ ﻳﺼﻔﺔ ﺩﺍﺋﻤﺔ ﻓﺈﻧﻬﺎ ﺑﺎﻟﻈﻞ ﺍﺷﺒﻪ (ﺍﻟﻰ ﻗﻮﻟﻪ) ﻓﺎﻥ ﺍﻟﺼﻮﺭﺓ ﻻ ﺗﺴﺘﻘﻮ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻜﻴﺴﺮﺍ ﺍﻟﻰ ﺍﻟﺸﺎﺷﺔ ﻭﺗﻈﻬﺮ ﻋﻠﻴﻬﺎ ﺑﺘﺮﺗﻴﺒﻬﺎ ﺍﻷﺻﻠﻰ ﺛﻢ ﺗﻔﺘﻰ ﻭﺗﺰﻭﻝ،
ভাবার্থ-ঐ ছবি যার কোনো স্থায়িত্ব বা দীর্ঘতা নেই, এবং যা কোনো জিনিষের উপর স্থায়ী অঙ্কিত ও নয়।সেটা ছায়ার অধিকতম নিকটবর্তী। কেননা ছবি স্কীনে অবশিষ্ট থাকে না বরং তা মেমোরি বা রিলে সংরক্ষিত ধারাবাহিকার সাথে স্কীনে আসে আবার তা দূতই চলে যায়।(তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম-৪/১৬৪)
দ্বীনী প্রচার প্রসার এর উদ্দেশ্যে কোনো ফিল্ম তৈরী হলে এবং তাতে কোনো প্রকার হারাম জিনিষ যেমন গান-বাদ্য, নারী দৃশ্য ইত্যাদি না থাকলে, অনুমোদন দেয়া যেতে পারে।(জাদীদ ফেকহী মাসাঈল;১/২৩৬) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
361
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন
১. আমি যদি জায়েজ হয়ার ফতোয়া গ্রহন ও আমল করি, এতে গুনাহ হবে কি?
আপনি শুধুমাত্র দ্বীনি বিষয়ক এমন ভিডিওর বেলায় জায়েয হওয়ার ফাতাওয়া গ্রহণ করতে পারবেন, যাতে কোনো প্রকার হারাম যেমন নারীদূশ্য মিউজিক ইত্যাদি থাকতে পারবে না।
২. ইউটিউবে শিক্ষা বিষয়ক অনেক ভিডিও রয়েছে আবার বর্তমানে আমাদের কলেজের ক্লাস গুলোর ও ভিডিও রেকর্ড হয়।কেউ তা দেখে শিক্ষা নিলে তা কি জায়েজ হবে?
ইউটিউবে শিক্ষা বিষয়ক বা আপনাদের কলেজের ক্লাস গুলোর ও ভিডিও দেখতে পারবেন।জায়েজ হবে।
৩. এই প্রসংগের বাইরে প্রশ্নটি, স্কুল কলেজে যদি মহিলা শিক্ষক পড়ান পরিপূর্ণ পর্দা ব্যতীত তবে ছাত্রদের শিক্ষা হারাম হবে কি না?
ছাত্রদের জন্য হারাম হবে না। তবে নিজ চক্ষুকে হেফাজতে রাখতে হবে।প্রয়োজনে স্কুল বদলানোর চেষ্টা করতে হবে।যদি বদলানো না যায়,এবং কেউ ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থ রক্ষার নিয়তে জেনারেল শিক্ষা গ্রহণ করতে চায়,তাহলে তার জন্য ইস্তেগফারের সাথে রুখসত থাকবে।