আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
39 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমি পড়ালেখার জন্য শহরে আমার এক বোনের পরিবারের সাথে থাকি।আপু ব্যাংকে ক্যাশে চাকরি করে আর তার পরিবারের আয়ের বেশিরভাগ অংশই তার ইনকাম থেকে আসে।আমার থাকা-খাওয়া বাবদ মা-বাবা তাকে কিছু খরচ দেয়।

১)আপু বিভিন্ন সময় আমাকে কিছু গিফট দিয়েছিল।এগুলো কি হালাল হবে?
২) কিছুদিন আগেই আমাকে উনি একটা জামা গিফট দেন এবং সেটি সেলাইয়ের জন্যও উনিই উনাদের অন্য কাপড়ের সাথে দিয়ে আসছেন।অর্থাৎ সেলাই খরচও উনি দিয়ে দিবেন। জামা কেনা-সেলাই বাবদ তো ১২০০-১৪০০ টাকা মত যাবে।আমি স্টুডেন্ট মানুষ, মা-বাবা কিছু হাত খরচ দেয়।এখন কাউকে সাওয়াবের উদ্দেশ্য ছাড়া দান করতে গেলে একবারে এত টাকা দেয়াটা আমার জন্য কষ্টকর বটে।তো মা বাবা মাসিক যে টাকাটা উনাকে দেয় সেই টাকার একটা অংশ জামার খরচ বাবদ দিচ্ছি এমন নিয়ত রাখলে কি জামাটা পরিধান করা হালালহবে?

1 Answer

0 votes
by (616,950 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
فى الفتاوى الهندية- أهدى إلى رجل شيئا أو أضافه إن  كان غالب ماله من الحلال فلا بأس إلا أن يعلم بأنه حرام ، فإن كان الغالب هو الحرام ينبغي أن لا يقبل الهدية ، ولا يأكل الطعام إلا أن يخبره بأنه حلال ورثته أو استقرضته من رجل ، كذا في الينابيع
যদি এমন কেউ কাউকে কিছু হাদিয়া দেয়,যার অধিকাংশ সম্পত্তি হালাল,তাহলে সেই মালকে গ্রহণ করা নাজায়েয নয়।তবে যদি সে জানতে পারে যে,দাতা হারাম থেকে দিচ্ছে তাহলে এমতাবস্থায় সেটা জায়েয হবে না।আর যদি তার মালের অধিকাংশই হারাম থাকে,তাহলে এমন ব্যক্তির হাদিয়া গ্রহণ জায়েয হবে না।এমন ব্যক্তির ওখানে আহার করাও যাবে না, যতক্ষণ না সে হালাল খাবারের সংবাদ দিচ্ছে বা এটা বলছে যে,সে ধার করে নিয়ে এসে আহার করাচ্ছে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1900

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু ঐ আপুর সমস্ত বা অধিকাংশ ইনকামই হারাম, তাই ঐ আপু থেকে কোনো কিছুই আপনার জন্য গ্রহণ করা জায়েয হবে না। ঐ আপুর খাবার খরচ বাবৎ মাসিক যত টাকা খরচ হবে, সেই খরচের আনুপাতিক একটা অংশ তাকে দিতে হবে, যাতে ওর হারাম টাকার কোনো অংশ আপনার পেঠে না ঢুকে। শুধুমাত্র নামকাওয়াস্তে কিছু দিলেই সেটা যথেষ্ট হবে না। তাছাড়া উনার বাসা যদি হারাম টাকায় নির্মিত ও পরিচালিত হয়, তাহলে তখন বাসা ভাড়াও আপনাকে দিতে। উনি যা কিছু হাদিয়া দিবেন, সবকিছুকেই দান করে দিতে হবে।কিন্তু যদি আপনি যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত কেউ হন, তাহলে তখন অনায়াসে আপনি সেখানে থাকতে পারবেন। কোনো কিছুই আপনাকে দিতে হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...