টানা জুমা না পড়লে

Question

আমার বাবা আওয়ামী লীগ করতো কিন্তুু কখনো কারো ক্ষতি করে নাই সেটা এলাকার মানুষ ও শিকার করে। সে জন্য সরকার পতনের পর তারাও খারাপ ব্যবহার করে নি। কিন্তুু সমস্যা হলো বিএনপি লোক জন ভুয়া মামলা করে যার কারনে বাড়ি থাকতে পারে নি অনেক দিন। এখন বাড়িতে আসছে কিন্তুু কেও যানে না বাড়ি থেকে বের হয় না। কারন বিএনপি যারা করে তারা একদম বাড়ির কাছে। বের হলে রাতেই এসে পুলিশ দরে নিয়ে যাবে।  তাই যাতে কেও না জানে বাড়ি থেকে বের হয় না। জুমার নামাজ ও বাড়িতে পড়ে।  ২ জুমা মসজিদে যায় নাই। ঘরে নামাজ পড়ে নিছে। এখন কাল তো জুমা বলতেছে যাবে।

প্রশ্ন হলো বাবা কি এখন মসজিদে যাবে?  করনীয় কি। এভাবে না গেলে তো ২ মাস অন্তন জুমা কাজা হয়ে যাবে কি করনীয়?

Answer 1

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

(فَلَا تَجِبُ عَلَى مَرِيضٍ وَمُقْعَدٍ وَزَمِنٍ وَمَقْطُوعِ يَدٍ وَرِجْلٍ مِنْ خِلَافٍ) فَقَطْ، ذَكَرَهُ الْحَدَّادِيُّ (وَمَفْلُوجٍ وَشَيْخٍ كَبِيرٍ عَاجِزٍ وَأَعْمَى) وَإِنْ وَجَدَ قَائِدًا (وَلَا عَلَى مَنْ حَالَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا مَطَرٌ وَطِينٌ وَبَرْدٌ شَدِيدٌ وَظُلْمَةٌ كَذَلِكَ) وَرِيحٌ لَيْلًا لَا نَهَارًا، وَخَوْفٌ عَلَى مَالِهِ، أَوْ مِنْ غَرِيمٍ أَوْ ظَالِمٍ، أَوْ مُدَافَعَةُ أَحَدِ الْأَخْبَثَيْنِ، وَإِرَادَةُ سَفَرٍ، وَقِيَامُهُ بِمَرِيضٍ، وَحُضُورُ طَعَامٍ (تَتَوَقَّهُ) نَفْسُهُ ذَكَرَهُ الْحَدَّادِيُّ، وَكَذَا اشْتِغَالُهُ بِالْفِقْهِ لَا بِغَيْرِهِ، كَذَا جَزَمَ بِهِ الْبَاقَانِيُّ تَبَعًا لِلْبَهْنَسِيِّ: أَيْ إلَّا إذَا وَاظَبَ تَكَاسُلًا فَلَا يُعْذَرُ،

সুতরাং অসুস্থ ব্যক্তি,বিকলাঙ্গ, দীর্ঘদিন যাবৎ রোগাক্রান্ত, হাত বা পার কোনো একটি কর্তিত ব্যক্তির উপর জামাত ওয়াজিব নয়।এগুলো হাদ্দাদি রাহ উল্লেখ করেছেন।ঠিক তেমনি শরীরের কোনো সাইট অচেতন ব্যক্তি এবং বয়োঃবৃদ্ধ অক্ষম ও অন্ধ ব্যক্তির উপর জামাত ওয়াজিব নয়।যদিও তাদেরকে মসজিদে নিয়ে যাওয়ার মত লোক থাকুক না কেন।ঠিক তেমনি বৃষ্টি, কাদা,কনকনে শীত,বা অন্ধকার যদি কোনো মানুষকে মসজিদে যেতে বাধা প্রদাণ করে তাহলে তখন দাদের উপরও জামাত ওয়াজিব নয়।রাত্রে প্রবল বাতাশ থাকলে ও জামাত ওয়াজিব নয়।নিজের মালে ক্ষতির আশংকা থাকলে, বা নিজে ঋণী থাকলে(এমন ঋণ যা পরিশোধের সামর্থ্য বর্তমানে নেই)বা জালিমের ভয় থাকলে কিংবা দুই ক্ষতির মধ্যে বড় ক্ষতিকে প্রতিহত করতে জামাত তরক করা যাবে।কেননা তখন তাদের উপর জামাত ওয়াজিব নয়।সফরের ইচ্ছা করলে বা অসুস্থ ব্যক্তির সেবার কারণে বা এমন খাদ্যর উপস্থিতিতে যার চাহিদা বর্তমানে অন্তরে রয়েছে,জামাত তরক করা যাবে।এগুলো হাদ্দাদি রাহ উল্লেখ করেছেন।

ঠিকতেমনি ফিকহের সাথে মশগুল থাকার কারণে জামাত তরক করা যাবে।তবে যদি কোনো মুফতী অলসতা বসত এটাকে অভ্যাস বানিয়ে ফেলেন,তবে তখন জমাতকর তরক করা জায়েয হবে না।

(আদ্দুর্রুল মমুখতার-১/৫৫৫) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1365

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

যদি জানাজানি হলে অযথা জেল-জুলুম ও হয়রানির স্বীকার হতে হয়, তাহলে আপনার বাবা মসজিদের জামাতে শরীক না হয়ে বরং ঘরেই জামাতের সাথে নামায পড়তে পারবেন। যদি ঘরে জামাত কায়েম সম্ভব না হয়, তাহলে একাকিও পড়তে পারবেন। জুমুআর জন্য জামাত শর্ত। যেহেতু আপনার বাবার জন্য সঙ্গত কারণে মসজিদে উপস্থিত হওয়া সম্ভবপর নয়, তাই আপনার বাবা নিজ ঘরে জুমুআর পরিবর্তে জোহরের নামায পড়বেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1172