ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/57038/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
পণ্য ক্রেতাদেরকে পরবর্তীততে লটারীর মাধ্যমে পুরুস্কার বিতরণের
আয়োজন কয়েক রকমের হতে পারে।
প্রথমত: হয়তো পুরুস্কারের আয়োজক একক মালিকানাধীন ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠান
হবে। যেখানে দোকানের সব কিছুর মালিকানা এক
ব্যক্তির হবে
অথবা কয়েকজনের অংশীদারিত্বে কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হবে।
,
দ্বিতীয়ত: কোন এক মার্কেটের পক্ষ থেকে পুরস্কারের আয়োজন করা
হবে। যেখানে ভিন্ন ভিন্ন মালিক তাদের পৃথক পৃথক ব্যবসা কার্য পরিচালনা করবে।
,
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
যদি পুরুস্কারের আয়োজক প্রথম প্রকারের হয়। তাহলে স্বাভাবিক অবস্থায় নাজায়েয বলেই গণ্য হবে। কেননা এতে ক্বেমার
(জুয়ার) হালকা সাদৃশ্যতা বিদ্যমান রয়েছে। কিন্তু যেহেতু তাতে
সহীহ ক্রয়-বিক্রয়ের সাদৃশ্যতাও বিদ্যমান রয়েছে, তাই তাকে বৈধতার আওতাভুক্ত ও করা যাবে তবে কিছু শর্ত সাপেক্ষে। উক্ত পদ্ধতি জায়েয হতে হলে নিম্নোক্ত শর্ত সমূহ অবশ্যই তাতে
উপস্থিত থাকতে হবে।
★প্রথম শর্ত মূল্যর সাথে সম্পর্কিত।
★দ্বিতীয় শর্ত ক্রেতার সাথে সম্পর্কিত।
★তৃতীয় শর্ত বিক্রতার সাথে সম্পর্কিত।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1505
,
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
,
ঈদে বা বিভিন্ন উৎসবে শপিং করার পর মানি রিসিটের সাথে লাকি ড্র
কুপন দেয়া হয়। এটা ক্ষেত্রবিশেষ হালাল হিসেবে বিবেচিত হবে। জ্বী, কুপনের জন্য
পৃথক টাকা দিলে তা তো হারাম। আর টাকা না দিলে, উপরোক্ত ব্যাখ্যানুসারে বৈধ হবে।
,
সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি আপনি কুপন বাবদ আলাদা টাকা
না রাখেন এবং এগুলোকে পণ্যের সাথে গিফট হিসাবে দিয়ে থাকেন তাহলে এটা জায়েজ। যিনি
পুরষ্কৃত হবেন তার পুরষ্কার নেওয়াও জায়েজ।