আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (8 points)
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

ওস্তাদ,  আমি অনলাইন বিজনেস করতে চাই,  এখন আমার প্রশ্ন হল: আমি যে প্রোডাক্ট নিয়ে বিজনেস করতে চাই, সে প্রোডাক্ট প্রমোটিং এর জন্য যদি কোনো অফার চালু করি, যেমন : আমি মানুষের দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত হয় এমন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছি। এখন এই প্রোডাক্ট যেন বেশি বিক্রি হয় এই জন্য আমি অফার দিয়ে দিলাম যে, আপনারা যদি এই প্রোডাক্ট কিনেন তাহলে একটা কুফন পাবেন, এই কুফন অনুযায়ী নির্দিষ্ট একটা টাইমে লটারির মাধ্যমে কিছু লোককে পুরস্কৃত করা হবে।
মূল প্রশ্ন হলো, এই যে আমি প্রোডাক্ট বেশি বিক্রি করার জন্য নির্দিষ্ট একটা টাইমে লটারি মাধ্যমে কিছু লোককে পুরস্কৃত করবো, এই ব্যবসা জায়েজ হবে কিনা?   বা এই ব্যবসা কিভাবে হালাল পন্থায় করা যেতে পারে?
ওস্তাদ, এই সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দিলে মনে মুনাসিব হতো। جزاك الله

1 Answer

0 votes
by (67,350 points)

ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/57038/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

পণ্য ক্রেতাদেরকে পরবর্তীততে লটারীর মাধ্যমে পুরুস্কার বিতরণের আয়োজন কয়েক রকমের হতে পারে।

প্রথমত: হয়তো পুরুস্কারের আয়োজক একক মালিকানাধীন ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠান হবে। যেখানে দোকানের  সব কিছুর মালিকানা এক ব্যক্তির হবে

অথবা কয়েকজনের অংশীদারিত্বে কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হবে।

,

দ্বিতীয়ত: কোন এক মার্কেটের পক্ষ থেকে পুরস্কারের আয়োজন করা হবে। যেখানে ভিন্ন ভিন্ন মালিক তাদের পৃথক পৃথক ব্যবসা কার্য পরিচালনা করবে।

,

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!

যদি পুরুস্কারের আয়োজক প্রথম প্রকারের হয়। তাহলে স্বাভাবিক অবস্থায়  নাজায়েয বলেই গণ্য হবে। কেননা এতে ক্বেমার (জুয়ার) হালকা সাদৃশ্যতা বিদ্যমান রয়েছে। কিন্তু যেহেতু তাতে সহীহ ক্রয়-বিক্রয়ের সাদৃশ্যতাও বিদ্যমান রয়েছে, তাই তাকে বৈধতার আওতাভুক্ত ও করা যাবে তবে কিছু শর্ত সাপেক্ষে। উক্ত পদ্ধতি জায়েয হতে হলে নিম্নোক্ত শর্ত সমূহ অবশ্যই তাতে উপস্থিত থাকতে হবে।

প্রথম শর্ত মূল্যর সাথে সম্পর্কিত।

দ্বিতীয় শর্ত ক্রেতার সাথে সম্পর্কিত।

তৃতীয় শর্ত বিক্রতার সাথে সম্পর্কিত।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1505  

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

,

ঈদে বা বিভিন্ন উৎসবে শপিং করার পর মানি রিসিটের সাথে লাকি ড্র কুপন দেয়া হয়। এটা ক্ষেত্রবিশেষ হালাল হিসেবে বিবেচিত হবে। জ্বী, কুপনের জন্য পৃথক টাকা দিলে তা তো হারাম। আর টাকা না দিলে, উপরোক্ত ব্যাখ্যানুসারে বৈধ হবে।

,

সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি আপনি কুপন বাবদ আলাদা টাকা না রাখেন এবং এগুলোকে পণ্যের সাথে গিফট হিসাবে দিয়ে থাকেন তাহলে এটা জায়েজ। যিনি পুরষ্কৃত হবেন তার পুরষ্কার নেওয়াও জায়েজ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...