আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু উস্তায,
আমার দ্বীনে ফেরাটা কতটুকু দ্বীনে ফেরা ছিল জানি না।প্রথম থেকেই দ্বীনি লেকচার শুনাতে ওয়াসওয়াসা আসতো।প্রায় কথায় মনে প্রশ্ন তৈরি হতো।একসময় গীবতে বাধা দেয়া খুব ভয়ের মনে হলো।মানে গীবত হবে বলে মানুষ সমাজে যাওয়াই বাদ দিয়ে দিয়েছিলাম।সমস্যা আরো বাড়তে থাকে।এছাড়া ওয়াসওয়াসার জন্য কিনা জানি না মাানসিকভাবেও খুব অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম।আল্লাহ কে,কি,দুআ কি অবান্তর সব কথা মাথায় আসতো।অস্থিরতা,অতিরিক্ত৷ চিন্তাভাবনা,নেগেটিভ চিন্তাভাবনাতে মাথা ভার হয়ে থাকতো।
দ্বীনি বই,লেকচার পড়তে, শুনতে গেলেই মনে আল্লাহ,ইসলাম সম্বন্ধে সন্দেহজনক প্রশ্ন তৈরি হতো।তারপরও জোর করে শুনতাম।আলহামদুলিল্লাহ তারপর আস্তে আস্তে সেরে যায়।
কিন্তু তারপর হুট করে আমার ফোন দেখা বেড়ে যায়।আর বিশেষ করে তারপর থেকে সবসময় কেমন অশান্তি লাগে।।ইসলামিক লেকচার দেখাতে মন বসে না।দুআতে উত্তর পাই না।

তবে একটা কথা প্রথম থেকেই আমার নামাজে মনোযোগে খুবই সমস্যা হতো।দীর্ঘ সময় নিয়ে নামাজ পড়তে হতো।বর্তমানে নামাজ মানে শুধুই উঠাবসা হয়।আর বুকে ব্যাথা করে।মনে হয় আল্লাহ আমার উপর অনেক নারাজ।এটাও প্রথম থেকে মনে হতো।এখন আরো বেশি হয়।সবসময় অস্থির লাগে।
কোনোকিছুতে শান্তি পাই না।
আমি কি করতে পারি উস্তায?

আরেকটা জিনিস,প্রথম প্রথম আমার আশেপাশের সবকিছু খুব ভারি লাগতো। মানে আকাশ,গাছপালা কেমন অন্ধকার মনে হতো।নিজেকে অমুসলিম হিসেবে কল্পনা করে ইসলাম ধর্মের সত্যতা প্রমাণ করতে চেষ্টা করতাম।মানে বাবরবার এই প্রশ্ন মনে আসতো।তখন নিজেকে নিজেই উত্তর দিতাম আকাশ,গাছ,চঁাদ তৈরিতো মানুষের কাজ নয়।মানে এটা বারবার হতো আর বারবার নিজেকে উত্তর দিতাম।এভাবে আস্তে আস্তে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি।বর্তমানে এগুলো নেই।

তবে শুধু মনে হয় আল্লাহ আমার উপর অনেক নারাজ।নামাজের অবস্থা বেহাল।মনে হয় আর কখনো হেদায়াত পাব না।আর বুকে কষ্ট হয়।

1 Answer

0 votes
by (613,710 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রাসূলুল্লাহ সাঃ কে আল্লাহ তা'আলা ৪ টি বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন।এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।(সূরা-জুমুআহ-২)

রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ৪ টি দায়িত্বের একটি দায়িত্ব হল,আত্মসুদ্ধি।এই আত্মসুদ্ধির অপর নাম তাসাউফ।তাসাউফ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1037

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
একজন নেককার লোকের সাথে দীর্ঘদিন উঠাবসা করতে হবে। এমতাবস্থায় পুরুষের জন্য করণীয় হল, মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন সাহেবদের সাথে উঠাবসা করা,তাবলীগে সময় লাগানো। নারীদের জন্য করণীয় হল, বেশী বেশী দ্বীনি কিতাবাদি পড়া,এবং নেককার কোনো মহিলার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলা বা দ্বীনি কিতাবাদি পড়া।
সর্বোপরি, নামায ও সবরের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া।অবশ্যই আল্লাহ সকল সমস্যার উত্তম সমাধান কারী।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...