আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু উস্তায,
আমার দ্বীনে ফেরাটা কতটুকু দ্বীনে ফেরা ছিল জানি না।প্রথম থেকেই দ্বীনি লেকচার শুনাতে ওয়াসওয়াসা আসতো।প্রায় কথায় মনে প্রশ্ন তৈরি হতো।একসময় গীবতে বাধা দেয়া খুব ভয়ের মনে হলো।মানে গীবত হবে বলে মানুষ সমাজে যাওয়াই বাদ দিয়ে দিয়েছিলাম।সমস্যা আরো বাড়তে থাকে।এছাড়া ওয়াসওয়াসার জন্য কিনা জানি না মাানসিকভাবেও খুব অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম।আল্লাহ কে,কি,দুআ কি অবান্তর সব কথা মাথায় আসতো।অস্থিরতা,অতিরিক্ত৷ চিন্তাভাবনা,নেগেটিভ চিন্তাভাবনাতে মাথা ভার হয়ে থাকতো।
দ্বীনি বই,লেকচার পড়তে, শুনতে গেলেই মনে আল্লাহ,ইসলাম সম্বন্ধে সন্দেহজনক প্রশ্ন তৈরি হতো।তারপরও জোর করে শুনতাম।আলহামদুলিল্লাহ তারপর আস্তে আস্তে সেরে যায়।
কিন্তু তারপর হুট করে আমার ফোন দেখা বেড়ে যায়।আর বিশেষ করে তারপর থেকে সবসময় কেমন অশান্তি লাগে।।ইসলামিক লেকচার দেখাতে মন বসে না।দুআতে উত্তর পাই না।
তবে একটা কথা প্রথম থেকেই আমার নামাজে মনোযোগে খুবই সমস্যা হতো।দীর্ঘ সময় নিয়ে নামাজ পড়তে হতো।বর্তমানে নামাজ মানে শুধুই উঠাবসা হয়।আর বুকে ব্যাথা করে।মনে হয় আল্লাহ আমার উপর অনেক নারাজ।এটাও প্রথম থেকে মনে হতো।এখন আরো বেশি হয়।সবসময় অস্থির লাগে।
কোনোকিছুতে শান্তি পাই না।
আমি কি করতে পারি উস্তায?
আরেকটা জিনিস,প্রথম প্রথম আমার আশেপাশের সবকিছু খুব ভারি লাগতো। মানে আকাশ,গাছপালা কেমন অন্ধকার মনে হতো।নিজেকে অমুসলিম হিসেবে কল্পনা করে ইসলাম ধর্মের সত্যতা প্রমাণ করতে চেষ্টা করতাম।মানে বাবরবার এই প্রশ্ন মনে আসতো।তখন নিজেকে নিজেই উত্তর দিতাম আকাশ,গাছ,চঁাদ তৈরিতো মানুষের কাজ নয়।মানে এটা বারবার হতো আর বারবার নিজেকে উত্তর দিতাম।এভাবে আস্তে আস্তে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি।বর্তমানে এগুলো নেই।
তবে শুধু মনে হয় আল্লাহ আমার উপর অনেক নারাজ।নামাজের অবস্থা বেহাল।মনে হয় আর কখনো হেদায়াত পাব না।আর বুকে কষ্ট হয়।