ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
কারো হাসব্যান্ড যদি প্রকৃত দীনদার না হয় বরং লেবাস ধারী হয়, তাহলে তার স্ত্রীর সহানুভূতি প্রকাশ করা এবং ঐ নারীর স্বামীর হেদায়তের জন্য দু'আ করাই উচিত। বন্ধু বান্ধব, ফ্যামিলি ও লেকজন যদি তার স্বামীকে খারাপ বলে, তাহলে এক্ষেত্রে স্ত্রীর জন্য ধর্য্য সহকারে পরিস্থিতির মুকাবেলা করাই উচিত।
(২)
যখন কারো সামনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এসে উপস্থিত হবে।এবং সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না যে, সে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিবে।তাহলে এমন পরিস্থিতে তার জন্য উচিৎ ইস্তেখারা করা তথা ভালো দিক কে অন্বেষণ করা।অবশ্যই ইস্তেখারা, নামাযের মাধ্যমেই করবে। ইস্তেখারার পদ্ধতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ এক হাদীসে বলেন, দুই রা'কাত নামায পড়ে বিশেষ মনোযোগের সাথে (নিম্নে উল্লেখিত) দু'আ পড়বে।তাহলে হয়তো তার মন কোনো এক দিকে ধাবিত হবে,বা সে স্বপ্নযোগে কোনো এক ইশারা পাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1472
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার অন্তর যেহেতু ঐ ছেলের দিকে ধাবিত হচ্ছে না, তাছাড়া স্বপ্নে আশান্বিত করার মতও কিছু নাই, তাই নেগেটিভ ধরে নেয়াই উচিত।
(৩)
কোনো বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা হলে নামায ও ধর্য্যর মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলার কাছে সাহায্য চাওয়াই উচিত।