আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
71 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আস্সালামু আলাইকুম,


১/ কারো হাসব্যান্ড যদি প্রকৃত দীনদার না হয় লেবাস ধারী হয় তাহলে সে স্ত্রীর তার সাথে কেমন আচরণ করা উচিৎ? তার বন্ধু বান্ধব, ফ্যামিলি ও সম্মানিত মানুষরা, লোকজন তার হাসব্যান্ড কে খারাপ বললে তার কি করা উচিৎ?পরিস্থিতির মোকাবেলা কিভাবে করা উচিৎ?

২/আমি বিয়ের জন্য ১ জনকে নিয়ে ইসতেখারা করি। আমার একটুও  ইসতেখাড়ার নামাজ পরতে ইচ্ছে করতো না জোর করে পড়তাম, পড়ার খুব অসুস্হ লাগতো।আমার মন কোনদিকে টানে ভালো না খারাপ তা বুঝতে পারিনি কখনো ভালো কখনো খারাপ মনে হতো।তবে আমি ৭ দিনের দিন একটা স্বপ্ন দেখেছি যে,

আমি ঐ ছেলের বাড়িতে গিয়েছি সেখানে তার আত্মীয় স্বজনের সাথে কথা বলতেছি।তারপর দেখি ঐ ছেলেকে বরের সাজে ও ঐখানে বিয়ের অনেক আয়োজন করা হয়েছে এবং সে ছেলে ও ভীষণ খুশি।তারপর লাল শাড়ি পড়া একটা মেয়ে দেখি যে ঐ ছেলের বউ।তার মুখ দেখার জন্য আমি ঘোমটা উঠাই আর একটা মেয়ে কে দেখি যে দেখতে কিছু টা আমার মতো তবে পুরোপুরি আমার মতো না। এরপর স্বপ্নের মাঝেই আমার খুব অস্থির লাগতেছিলো,তারপর দেখি আমি আমার বাসায় ঐ ছেলের বিয়ের ভিডিও ফোনে দেখতেছি আর বলতেছি এই ছেলের সাথে আমার বিয়ে হবে মানুষজন সবাই জানতো এখন অন্য মেয়ের সাথে হইছে কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে কি বলবো এই সব ভেবে আমার মন খারাপ। তারপর দেখি ঐ ছেলে নাকি পছন্দ করে তার বউকে বিয়ে করেছে মানুষ এসব বলাবলি করছে সাথে আরো অনেক কিছু। আমার অনেক অস্থির লাগায় এরই মধ্যে আমি চোখ খুলে তাকালে দেখি সাদা কাপড় পড়া ভয়ঙ্কর কিছু আমাকে খামচি দিচ্ছে,আমি আয়াতুল কুরসী পড়লে চলে যায়। আমার আগে থেকেই আশিক জিনের প্রব্লেম ছিল কিন্তু বিয়ে বন্ধ ছিল না এই স্বপ্ন দেখার পর রুকইয়া করালে আমায় বিয়েতে জাদু ধরা পরে। তো আমি এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা কি নিবো আর আমার কি আবার ইসতেখারা করা উচিৎ?


৩/ কোনো বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা হলে কি করা উচিৎ? ওয়াসওয়াসা হলে? চিন্তা কোনো ভাবেই মাথা থেকে বের না হলে?

1 Answer

0 votes
by (625,110 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
কারো হাসব্যান্ড যদি প্রকৃত দীনদার না হয় বরং লেবাস ধারী হয়, তাহলে তার স্ত্রীর সহানুভূতি প্রকাশ করা এবং ঐ নারীর স্বামীর হেদায়তের জন্য দু'আ করাই উচিত।  বন্ধু বান্ধব, ফ্যামিলি ও লেকজন যদি তার স্বামীকে খারাপ বলে, তাহলে এক্ষেত্রে স্ত্রীর জন্য ধর্য্য সহকারে পরিস্থিতির মুকাবেলা করাই উচিত।

(২)
যখন কারো সামনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এসে উপস্থিত হবে।এবং সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না যে, সে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিবে।তাহলে এমন পরিস্থিতে তার জন্য উচিৎ ইস্তেখারা করা তথা ভালো দিক কে অন্বেষণ করা।অবশ্যই ইস্তেখারা, নামাযের মাধ্যমেই করবে। ইস্তেখারার পদ্ধতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ এক হাদীসে বলেন, দুই রা'কাত নামায পড়ে বিশেষ মনোযোগের সাথে (নিম্নে উল্লেখিত) দু'আ পড়বে।তাহলে হয়তো তার মন কোনো এক দিকে ধাবিত হবে,বা সে স্বপ্নযোগে কোনো এক ইশারা পাবে।  এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1472

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার অন্তর যেহেতু ঐ ছেলের দিকে ধাবিত হচ্ছে না, তাছাড়া স্বপ্নে আশান্বিত করার মতও কিছু নাই, তাই নেগেটিভ ধরে নেয়াই উচিত।

(৩)
কোনো বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা হলে নামায ও ধর্য্যর মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলার কাছে সাহায্য চাওয়াই উচিত। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...