আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
73 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায। লেখাটা একটু বড় হয়ে গেছেতবুও একটু কষ্ট করে পুরোটা পড়ে আমাকে পরামর্শ দিলে অনেক বেশি উপকৃত হবো উস্তায। । একটি বিষয় এ আমার আম্মুর সাথে আমার অনেকদিন ধরেই মনোমালিন্য হচ্ছে। একটা ছেলের সাথে বিয়ের বিষয় এ পারিবারিক ভাবে কথাবার্তা চলছে প্রায় আড়াই বছর বা তার বেশি সময় ধরে। অর্থাৎ তারা বিয়ের কথা বলে কিছু সময় চেয়ে নেয়,,আমার পরিবার ও মেনে নেয়। কিন্তু আমার আম্মুর সাথে ওই ছেলে এবং তার পরিবারের ফোনালাপ রিগুলার চলতো। একসময় তারা বিভিন্ন ভাবে আম্মুকে অপমান করেও কথা বলতো,অতঃপর তারাই বলে যে, আমাদের মাঝে যে সম্পর্ক তৈরির কথা ছিলো সেটা আর হবে না,,সম্ভব না! তো আমি এতে খুশি হয়ে যাই,কারণ এটা নিয়ে প্রচুর টেনশনে ছিলাম যে এমন বদরাগী পরিবারে গেলে আমার জীবন শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু আম্মুর ভয়ে খুব বেশি কিছু বলতাম না। যেহেতু আল্লাহ তখন থেকেই দ্বীনের বুঝ দিয়েছিলেন,,আমি আস্তে আস্তে আরও দ্বীনের পথে মনোযোগ দেই আলহামদুলিল্লাহ।

তো পরবর্তীতে ওই ছেলে অনেকদিন পর আবার আম্মুকে নক দেয় এবং বলে তাদের ভুল হয়েছে। তারা তাদের আচরণের জন্য অনুতপ্ত। তার আম্মুও নাকি অনুতপ্ত। তারা দ্রুত বিয়ের কাজ সম্পন্ন করতে চায়। এই দ্রুত করতে চায় বলে বলে এখন প্রায় ১ বছর চলতেছে। আম্মুর সাথে ওই ছেলে রিগুলার ২-১ বেলা ফোনে কথা বলে। আমি আম্মুকে বলেওছি যে,ও তো গাইরে মাহরাম। এভাবে কথা বলা মানুষ কীভাবে দ্বীনদ্বার হয়?? কোন খারাপ কথা হয় না স্বাভাবিক। কিন্তু অহেতুক গল্প করার কোন বিধান আছে ইসলামে??টানা একবছর ধরে এমন নাটক-সিনেমা করে চলেছে। তারা যদিও বলেছে শুধরে নিয়েছে,কিন্তু তাদের আচরণে তেমন কোন পরিবর্তন চোখে পড়ে নাই।

এখানে একটি বিষয় যে,,আম্মু বিয়ের বিষয় টাকে সহজ করেই দিয়েছিলো,তাও তারা বিয়ের দিকে আগায় নি। সেভাবে নির্দিষ্ট কোন কাজ ও করে না যার মাধ্যমে স্বাভাবিক ভরণপোষণ চলবে।

আগের বিষয় থেকেই আমার ঘৃণা চলে আসছে তাদের প্রতি। তো এই একবছরে আরও অসহনীয় হয়ে উঠেছে। কারণ আমি জীবনেও এমন গাইরতহীন ছেলেকে বিয়ে করতে পারবো না। এই ছেলে ব্যাতিত অন্য যে কোন ছেলের সাথে বিয়ে দিতে চাইলে আমার কোনই আপত্তি নাই। আমার কাছে এমন ই মনে হয়,,ওই ফ্যামিলিতে বিয়ে হওয়ার আগে আল্লাহ যদি ইমানের সাথে তার কাছে ডেকে নেন,সেটা আমার জন্য অনেক বেশি উত্তম।। ওই ছেলের প্রতি সামান্য সম্মান ও আসে না যার দরুন তার সাথে সংসার করা যাবে। আমার ফোন নিয়েই তাদের সাথে রিগুলার কথাবার্তা বলে যেটা আমার জন্য কষ্টের কারণ হয়ে দাড়াচ্ছে। আমার পড়ালেখা করতে ইচ্ছে করছে না,,ভেবেছি এবার আইওএম এর শেষ সেমিস্টার,তাই ভালো করে পড়বো ইন-শা-আল্লাহ। কিন্তু এগুলা দেখে আমার কোন কিছুই ভালো লাগছে না। একে বিয়ে করা আমার পক্ষে অসম্ভব। আমার আম্মুকে বুঝ দিয়েছে যে,আপনার মেয়েকে প্রয়োজন, যাতে দ্বীনের পথে হেফাজতে থাকতে পারি। এগুলা শুনে আবেগী হয়ে আম্মু একবছর ধরে কথা বলে যাচ্ছে হাহা। আমি আসলেই বলার ভাষা পাচ্ছি না। সবমিলিয়ে,আমার চরম আশংকা যে,ওইইখানে বিয়ে হলে আমি চরম মানসিক অশান্তিতে+অপমানের মধ্যে থাকবো,যার ফলে আমার দ্বীন মানার বিষয়েও অনীহা চলে আসতে পারে,আস্তাগফিরুল্লাহ! তার মাঝে দায়িত্ববোধের যথেষ্ট অভাব রয়েছে বলেই মনে হয়৷ এই ছেলের কারণে অন্যান্য প্রস্তাব ও অনেক সময় নাকোচ করে দিয়েছে। আমার অন্যান্য চাচাতো বোনেরা দ্বীনদ্বার না হলেও তাদের এমন ছেলের সাথে বিয়ে হইছে আলহামদুলিল্লাহ,যারা শ্বশুর বাড়ির + নিজের বাবা মা উভয় পরিবারের সাথে ভালো সম্পর্ক মেইনটেইন করে চলে। কিন্তু এই ছেলের মাঝে এমনটা নেই। আমার আব্বুও অসুস্থ থাকে। এজন্য আমি চাই একজন দায়িত্বশীল মানুষ আসুক আমার লাইফে।

 বিয়ে করার কোন পরিস্থিতি নাই,অথচ এমন ঝুলন্ত অবস্থায় ফেলে রাখার অধিকার কি তাদের আছে?? বিয়ে করতে পারছে না তো আমার আম্মুর সাথে যোগাযোগ রেখেছে কেন। শুধু শুধু আম্মুর সাথে আমার সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে।


আপনি আমার আম্মুর উদ্দেশ্যে কিছু বলুন যেটা আম্মুর সাথে শেয়ার করতে পারি + আমাকেও কিছু পরামর্শ দান করবেন প্লিজ। আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়তেছি এসব দেখে

1 Answer

0 votes
by (622,350 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ) 
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী।
কিন্তু তুমি দ্বীনদারীত্বকে অগ্রাধিকার দাও।
{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে (تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)} (সহীহ বুখারী-৪৮০২সহীহ মুসলিম-১৪৬৬) 

ﻻَ ﻳَﺨْﻠﻮﻥَّ ﺭَﺟُﻞٌ ﺑِﺎﻣْﺮَﺃﺓٍ ﺇِﻻَّ ﻭَﻣَﻌَﻬﺎ ﺫُﻭ ﻣَﺤْﺮَﻡ ) 
কোনো পুরুষ কোনো মহিলার সাথে মহিলার মাহরাম না থাকা অবস্থায় নির্জনে একাকী বসবাস করতে পারবে না। (সহীহ বুখারী-৫২৩৩;সহীহ মুসলিম-১৩৪১)

ﻣﺎ ﺧﻼ ﺭﺟﻞ ﺑﺎﻣﺮﺃﺓ ﺇﻻ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺛﺎﻟﺜﻬﻤﺎ " 
তরজমাঃ-কোনো পুরুষ যদি কোনো মহিলার সাথে নির্জনে একাকী বসবাস করে,তাহলে তাদের সাথে তৃতীয়জন আরেকজন হল শয়তান।অর্থাৎ শয়তান সর্বদাই তাদেরকে খারাপ কাজের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে।(সুনানে তিরমিযি-২১৬৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার মায়ের সাথে ঐ ছেলের এভাবে আলাপ আলোচনা করাটাও জায়েয হচ্ছে না। তাছাড়া আপনার বিবরণ অনুযায়ী এরকম বদমেজাজি পরিবারের সাথে বিয়ে হওয়া কখনো কোনো দ্বীনদার মেয়ের জন্য কাম্য হতে পারে না ।  আপনি আল্লাহর কাছে দু'আ করুন এবং মাকে না করে দিন। জাযাকুমুল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...