জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
ইমাম মালিক রাহ থেকে বর্ণিত রয়েছে,
ﻭﺳﺌﻞ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﻣﺎﻟﻚ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻦ ﺃﺟﺮ ﺍﻟﺴﻤﺴﺎﺭ ﻓﻘﺎﻝ : ﻻ ﺑﺄﺱ ﺑﺬﻟﻚ
ইমাম মালিক রাহ কে দালালী ব্যবসা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন এতে কোনো সমস্যা নেই।(আল-মুদাওয়ানাতুল কুবরাঃ৩/৪৬৬)
ইমাম বোখারী রাহ বলেনঃ
" ﺑَﺎﺏ ﺃَﺟْﺮِ ﺍﻟﺴَّﻤْﺴَﺮَﺓِ . ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﺮَ ﺍﺑْﻦُ ﺳِﻴﺮِﻳﻦَ ﻭَﻋَﻄَﺎﺀٌ ﻭَﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢُ ﻭَﺍﻟْﺤَﺴَﻦُ ﺑِﺄَﺟْﺮِ ﺍﻟﺴِّﻤْﺴَﺎﺭِ ﺑَﺄْﺳًﺎ .ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﺑْﻦُ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ : ﻻ ﺑَﺄْﺱَ ﺃَﻥْ ﻳَﻘُﻮﻝَ : ﺑِﻊْ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟﺜَّﻮْﺏَ ﻓَﻤَﺎ ﺯَﺍﺩَ ﻋَﻠَﻰ ﻛَﺬَﺍ ﻭَﻛَﺬَﺍ ﻓَﻬُﻮَ ﻟَﻚَ .
ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﺑْﻦُ ﺳِﻴﺮِﻳﻦَ : ﺇِﺫَﺍ ﻗَﺎﻝَ ﺑِﻌْﻪُ ﺑِﻜَﺬَﺍ ﻓَﻤَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻣِﻦْ ﺭِﺑْﺢٍ ﻓَﻬُﻮَ ﻟَﻚَ ، ﺃَﻭْ ﺑَﻴْﻨِﻲ ﻭَﺑَﻴْﻨَﻚَ ﻓَﻠَﺎ ﺑَﺄْﺱَ ﺑِﻪِ .ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤُﻮﻥَ ﻋِﻨْﺪَ ﺷُﺮُﻭﻃِﻬِﻢ)
তরজমাঃইবনে সিরীন, আত্বা,ইবরাহিম,হাসান, রাহ এর মত যুগশ্রেষ্ট ইমামগণ দালালী ব্যবসায় শরয়ী কোনো সমস্যা মনে করেন না।ইবনে আব্বাস রাহ,বলেনঃকোনো অসুবিধা নেই এরকম কোনো চুক্তিতে যে, কেউ কাউকে বলল,তুমি এই মাল এত টাকায় বিক্রি কর,এর(পুর্ব নির্ধারিত মূল্যর) চেয়ে বেশী যা লাভ হবে তা তোমার।ইবনে সিরীন রাহ বলেনঃযখন কেউ কাউকে বললঃতুমি এই মাল এত টাকায় বিক্রি কর, যা লাভ হবে অথবা এর চেয়ে বেশী যা লাভ হবে, তা তোমার অথবা তা আমার এবং তোমার মধ্যে বন্টিত হবে।এরকম চুক্তিতে কোনো সমস্যা নেই।নবী কারীম সাঃ বলেনঃ-মুসলমানগন তাদের কৃতচুক্তির আওতাধীন।অর্থাৎ শরীয়ত বিরোধী চুক্তি না হলে তা অবশ্যই পূরণীয় এবং পূরণ করতে হবে,এবং দালালীও একটি চুক্তি বিধায় তা বৈধ ও পূরণীয় ।(সহীহ বোখারী-৩/৯২, হাদীস নং ২২৭৪ এর শিরোনাম) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/44
কেহ যদি কোনো প্রকার প্রতারণা ও ধোকা ব্যতিত এরকম কাজ করেন, তাহলে প্রাপ্ত কমিশন তার জন্য নাজায়েয হবে না। তবে প্রতারণা ও ধোকা দিলে তখন কিন্তু তার জন্য ইনকাম জায়েয হবে না।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন,
বর্তমানে অনেকেই আদম ব্যবসা করতেছে।
যাদের অনেকের কার্যক্রম মিথ্যার ফুলঝুরি আর ধোঁকা দ্বারা ভরপুর।
এর মধ্যে কিছু অসাধু ব্যক্তি, রিক্রুটিং এজেন্সি ও সিন্ডিকেট যথাযথ কর্তৃপক্ষর বৈধ অনুমোদন ব্যতিরেকে চোরা পথে মানুষ পাচার করে থাকে। উন্নত জীবনের স্বপ্নে বিভোর এসব মানুষ যাত্রাপথে সমুদ্রে ও মরুভূমিতে প্রাণ হারায় মর্মামিত্মক পন্থায়।
অনেকে সীমামত্মরক্ষী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে বিদেশের কারাগারে ধুঁকে ধুঁকে মরে। বহুক্ষেত্রে আইনি সহায়তা লাভেরও সুযোগ থাকে না। এসব শ্রমিক সীমান্তরক্ষীদের সতর্ক চোখকে ফাঁকি দিয়ে কোনো দেশের নির্দিষ্ট কোনো শহরে ঢুকলেও বৈধ ওয়ার্ক পারমিট না থাকায় ভালো চাকরির সুযোগ পায় না।
অবৈধ পথে আসা শ্রমিকদের অনেক সময় শিল্প প্রতিষ্ঠান ও খনিতে নামমাত্র বেতনে জোরপূর্বক খাটানো হয়। বেকারত্বের ঘানি টানতে হয় অবলীলায়। সঙ্গোপনে স্বল্প বেতনে চাকরি করেও নিজ দেশের পরিবার-পরিজনের ব্যয় নির্বাহ করা রীতিমতো কঠিন হয়ে পড়ে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন,
আপনি উল্লেখিত ছুরতে আপনার সেই আত্মীয় যেই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন, তাদের কার্যক্রমে যদি কোন মিথ্যা, ধোঁকা ইত্যাদি না থাকে এবং দেশের আইনবিরোধী কোন কার্যক্রম যদি না থাকে,বরং দেশের নীতিমালা মেনেই এবং শরিয়া নীতিমালা মেনে যদি তারা তাদের কার্যক্রম চালায়,অন্যায় ভাবে কোনো টাকা না নেয়, সেক্ষেত্রে সেখানে চাকরি করা আপনার সেই আত্মীয়ের জন্য জায়েজ হবে,এবং বেতন নেওয়া জায়েজ হবে।