বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/90455/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তারা উভয়েই যেহেতু প্রাপ্ত বয়স্ক অর্থাৎ বালেগ বালেগাহ।সুতরাং
এক্ষেত্রে তারা উভয়ে যদি দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক সাক্ষ্যির উপস্থিতিতে বিয়ের প্রস্তাব ও প্রস্তাব গ্রহণ সম্পন্ন করেন, তাহলে তাদের বিয়ে ইসলামী শরীয়াহ মুতাবিক শুদ্ধ হয়ে যাবে।
যদিও তাদের অভিভাবক কিছুই না জানে বা রাজি না থাকে। কিংবা তিনি অনুমতি নাও দিয়ে থাকে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ؛ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «الْأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا.
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মেয়ে তার ব্যক্তিগত বিষয়ে অভিভাবকের চেয়ে অধিক হকদার। {মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৮৮৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৪২১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৮৮৮, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২০৯৮, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২২৩৪, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১১০৮, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৩২৬০, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪০৮৪, সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং-৩৫৭৬}
আরো জানুনঃ-
https://ifatwa.info/4801/
উল্লেখ্য যে মাতাপিতা সন্তুষ্টি ও অনুমতি নিয়ে সবাইকে অগ্রসর হতে হবে এবং মাতাপিতার সন্তুষ্টিই দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণের উত্তম মাধ্যম।মাতাপিতাকে কষ্ট দিয়ে জীবনে সূখী হওয়া যাবে না।
তাছাড়া বৈধ ও ভালো কাজে মাতাপিতার নির্দেশ মান্য করাও ওয়াজিব।
সুতরাং আমরা পরামর্শ স্বরুপ বলবো যদিও উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে বাবার মতামতকে উপেক্ষা করে তাদের বিবাহ হয়ে যাবে,তারপরেও এভাবে অভিভাবককে না জানিয়ে চুরি করে,অথবা তাদের মতামতকে উপেক্ষা করে বিয়ে করা কখনো উচিৎ হবে না।কেননা মাতাপিতা সব সময় সন্তানের কল্যাণ চায়।তাই মাতাপিতার পরামর্শ ও আদেশ মান্য করাই সবার জন্য কল্যাণকর।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই / বোন!
আমরা কখনো মাতাপিতার অগোচরে বিয়ের পরামর্শ দেবো না। বরং সর্বদাই বলে থাকি যে, মাতাপিতাকে সাথে নিয়েই বিয়ে করুন। যেভাবে মাতাপিতার অগোচরে বিয়ে করা সন্তানের জন্য উচিৎ নয়, ঠিক তেমনি সন্তানের পছন্দ অপছন্দের প্রতি খেয়াল রাখা অত্যান্ত জরুরী।
সুতরাং মাতাপিতার পরামর্শেই বিয়েতে কল্যাণ নিহিত রয়েছে। আপনি মাতাপিতা এবং পারিবারিক ভাবে বিয়ে করুন। পারিবারিক ভাবে বিয়ে করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টাকে অভ্যাহত রাখুন। প্রয়োজনে নানা,দাদার মত মুরব্বিদের মাধ্যমে পরিবারকে বুঝানোর চেষ্টা করুন। আমরা আপনাদেরকে পালিয়ে বা গোপন বিয়ের পরামর্শ কখনো দিতে পারিনা। তারপরও যদি দুজন সাক্ষীর সামনে করে নেন, তাহলে বৈধ হয়ে যাবে।
তবে বিগত হারাম রিলেশনের জন্য তাওবা করা আবশ্যক এবং বর্তমানেও এই হারাম সম্পর্ক পরিহার করতে হবে।