আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
55 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম, মেয়ের বয়স ২৪ ছেলের বয়স ২৫। তারা উভয়ে একে অপরকে পছন্দ করে। হারাম রিলেশন থেকে বের হতে চায় কিন্তু মানবীয় দুর্বলতার দিক দিয়ে পারেনা। মেয়ের হারাম রিলেশন অসহ্য লাগে এবং এই হারাম রিলেশনের জন্য তার ঈমান আমল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমতাবস্থায় তারা নিজেদের পরিবারে বিয়ের সম্মতি চায়। কিন্তু তাদের উভয় পরিবার তাদের হারাম সম্পর্ক মেনে নিতে রাজি কিন্তু বিয়ে দিতে রাজি না। ছেলের বাবার আর্থিক অবস্থা ভালো ছিলো কিন্তু ছেলের বোন অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ার পরে হাতের অবস্থা ভালো না, সবদিক দিয়ে চিন্তা করে ছেলের পরিবার থেকে ছেলে চাকরি না পেলে বিয়ের জন্য রাজি না। মেয়ের পরিবারও চাকরি না পেলে বিয়ে দিতে চায়না। আর বলে বেকার অবস্থায় বিয়ে করলে মেয়ে আর বাবার বাসায় থাকতে পারবে না। তারা উভয়েই প্রাপ্তবয়স্ক। তাদের উভয়েরই স্বাভাবিক  শারীরিক চাহিদা কাজ করে। সবকিছু মিলিয়ে পরিবার রাজি হচ্ছেনা দেখে মেয়ের মানসিক অবস্থার দিনদিন অবনতি হচ্ছে। এক্ষেত্রে কী তাদের একা একা বিয়ে করা জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (65,970 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

  https://ifatwa.info/90455/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, 

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তারা উভয়েই যেহেতু প্রাপ্ত বয়স্ক অর্থাৎ বালেগ বালেগাহ।সুতরাং 

এক্ষেত্রে তারা উভয়ে যদি দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক সাক্ষ্যির উপস্থিতিতে বিয়ের প্রস্তাব ও প্রস্তাব গ্রহণ সম্পন্ন করেন, তাহলে তাদের বিয়ে ইসলামী শরীয়াহ মুতাবিক শুদ্ধ হয়ে যাবে।


যদিও তাদের অভিভাবক  কিছুই না জানে বা রাজি না থাকে। কিংবা তিনি অনুমতি নাও দিয়ে থাকে।


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 


عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ؛ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «الْأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا.


হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মেয়ে তার ব্যক্তিগত বিষয়ে অভিভাবকের চেয়ে অধিক হকদার। {মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৮৮৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৪২১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৮৮৮, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২০৯৮, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২২৩৪, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১১০৮, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৩২৬০, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪০৮৪, সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং-৩৫৭৬}

আরো জানুনঃ-

https://ifatwa.info/4801/

উল্লেখ্য যে  মাতাপিতা সন্তুষ্টি ও অনুমতি নিয়ে সবাইকে অগ্রসর হতে হবে এবং মাতাপিতার সন্তুষ্টিই দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণের উত্তম মাধ্যম।মাতাপিতাকে কষ্ট দিয়ে জীবনে সূখী হওয়া যাবে না।

তাছাড়া বৈধ ও ভালো কাজে মাতাপিতার নির্দেশ মান্য করাও ওয়াজিব।

সুতরাং আমরা পরামর্শ স্বরুপ বলবো যদিও উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে বাবার মতামতকে উপেক্ষা করে তাদের বিবাহ হয়ে যাবে,তারপরেও এভাবে অভিভাবককে না  জানিয়ে চুরি করে,অথবা তাদের মতামতকে উপেক্ষা করে  বিয়ে করা কখনো উচিৎ হবে না।কেননা মাতাপিতা সব সময় সন্তানের কল্যাণ চায়।তাই মাতাপিতার পরামর্শ ও আদেশ মান্য করাই সবার জন্য কল্যাণকর।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই / বোন!


আমরা কখনো মাতাপিতার অগোচরে বিয়ের পরামর্শ দেবো না। বরং সর্বদাই বলে থাকি যে, মাতাপিতাকে সাথে নিয়েই বিয়ে করুন। যেভাবে মাতাপিতার অগোচরে বিয়ে করা সন্তানের জন্য উচিৎ নয়, ঠিক তেমনি সন্তানের পছন্দ অপছন্দের প্রতি খেয়াল রাখা অত্যান্ত জরুরী। 


সুতরাং মাতাপিতার পরামর্শেই বিয়েতে কল্যাণ নিহিত রয়েছে। আপনি  মাতাপিতা এবং পারিবারিক ভাবে বিয়ে করুন। পারিবারিক ভাবে বিয়ে করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টাকে অভ্যাহত রাখুন। প্রয়োজনে নানা,দাদার মত মুরব্বিদের মাধ্যমে পরিবারকে বুঝানোর চেষ্টা করুন।  আমরা আপনাদেরকে পালিয়ে বা গোপন বিয়ের পরামর্শ কখনো দিতে পারিনা। তারপরও যদি দুজন সাক্ষীর সামনে করে নেন, তাহলে বৈধ হয়ে যাবে। 

তবে বিগত হারাম রিলেশনের জন্য তাওবা করা আবশ্যক এবং বর্তমানেও এই হারাম সম্পর্ক পরিহার করতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...