আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in সালাত(Prayer) by (12 points)
এই মাসে আমার হায়েজের ডেট ছিলো ২৬ জানুয়ারি, কিন্তু ২০ জানুয়ারি তে একটু ব্লিডিং হওয়ায় কিট টেস্ট করি, হাল্কা দাগ উঠায় ভেবেছিলাম প্রেগনেন্সি,তারপর ৬/৭ দিন একট করে বাদামী স্রাব আসতো যা খুবই সামান্য। এসময় নামাজ কন্টিনিউ করে গেছি,তারপর  দুই দিন ভালো থাকার পর ৩০ তারিখ ভোরে প্রচন্ড পেট ব্যথা হয়,দুপুর থেকে ব্লিডিং হচ্ছে। এটা হায়েজ না মিসক্যারেজ বুঝতে পারতেছি না। এক্ষেত্রে আমি কি নামাজ পড়বো??

1 Answer

0 votes
by (65,970 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

  শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন। এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা। এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।   

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]

لما قال الحصکفیؒ: واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔ (الدرالمختارعلی صدر ردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۲۸۵، باب الحیض)

সারমর্মঃ দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত। আরো জানুনঃ- https://ifatwa.info/10488

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই / বোন!

হায়েজের সর্বোচ্চ সময়সীমা হলো ১০ দিন আর উভয় হায়জের মাঝে পবিত্রতা কমপক্ষে ১৫ দিন অবশ্যই থাকে। সুতরাং আপনি পূর্বের চার দিন হায়েজ হিসেবে ধরবেন এবং হিসেব করবেন যে, ৩১ তারিখে যেই রক্ত আসছে তা যদি ১৫ দিনের পর হয় তাহলে হায়েজ হবে অন্যথায় ইস্তেহাজা।

যদি ইস্তেহাজা হয় তাহলে নামাজ আদায় করতে হবে এবং বিগত নামাজগুলো কাযা আদায় করতে হবে। তবে এই রক্ত যদি তিন দিনের কম সময় থাকে তাহলে এই রক্ত কোন ভাবেই হায়েয হবে না। কারণ, হায়েযের সর্বনিম্ন সময় তিন দিন।  তিন দিনের কম সময় যেই রক্ত আসে তা ইস্তেহাজা। 

ইস্তেহাজার হুকুম জানতে ভিজিট করুন: https://ifatwa.info/48975/


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই / বোন!

আপনার প্রশ্নের বিবরণ থেকে মনে হচ্ছে যে, ইহা হায়েযের রক্ত। আপনার মিনসের অভ্যাস পরিবর্তন হতে পারে। তবে মিসক্যারেজও হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। সুতরাং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন এবং আপনি ১০দিনের মধ্যবর্তী সময়ে হায়েয হিসেবে কাউন্ট করে এখন নামাজ আদায় করবেন না। 

বি:দ্র: চার মাস বা তার চেয়ে বেশী সময়ের পর মিসক্যারেজ,গর্ভপাত হয় তাহলে গর্ভপাত পরবর্তী নেফাস হিসেবে গণ্য হবে।

সর্বোচ্চ চল্লিশ দিন পর্যন্ত নামাজ আদায় করতে হবেনা আর চার মাসের পূর্বে গর্ভপাত হলে সে রক্তকে হায়েয গণ্য করা হবে।।

সর্বোচ্চ দশদিন পর্যন্ত নামাজ আদায় করতে হবেনা।   

আর যদি তিনদিনের কম বা দশদিনের বেশী সময় অতিবাহিত হয়,অথবা নেফাসের ক্ষেত্রে চল্লিশ দিন থেকে বেশি অতিবাহিত হয়, তাহলে সেই রক্তকে ইস্তেহাযার রক্ত তথা অসুস্থতা হিসেবে গণ্য করা হবে।

এক্ষেত্রে নামাজ পড়তে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...