আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
40 views
in সালাত(Prayer) by (11 points)
১। মুকর্রবুন কারা। শব্দটা কি বহুবচনে আছে। একবচনে কি এক্ষেত্রে একজন পুরুষের ক্ষেত্রে মুকর্রব আর নারীদের ক্ষেত্রে মুকর্রবাতুন বা মুকর্রবাহ বলা যায়। নাম হিসেবে কি রাখা যাবে।

২। অসতর্কতা বশত ভুলে ভুল কিবলায় নফল সালাত আদায় করলে পরবর্তীতে কি সেই সকল নফল সালাতের কাজা আদায় করতে হবে।
৩। কোনো সালাত আদায় করার সময় কোনো কারণে হোক তা  ফরজ, সুন্নাহ বা নফল নিষিদ্ধ সময়ে প্রবেশ করে ফেললে পুনরায় তা আদায় করতে হবে এমনটা জানি। কিন্তু মাকরূহ ওয়াক্তে মানে সূর্য ডোবার পূর্বে আসরের ফরজ সালাত ব্যতিত আসরের ফরজের পূর্বের সুন্নাহ, অন্য নফল অথবা পূর্বের কাযা সালাত আদায় করে ফেললে কি মাগরিবের ওয়াক্তে পুনরায় তা আদায় করতে হবে।

৪। আসরের ফরজ সালাত আদায়ের পর কোনো নফল সালাত আদায় করতে হয় না কিন্তু যদি আদায় করে ফেলে সেক্ষেত্রে কি পরবর্তীতে কাজা হিসেবে পুনরায় আদায় করতে হবে।
৫। ফজরের ফরজ সালাত আদায়ের পর কি পূর্বের কাজা সালাত আদায় করা যাবে সেটা ফরজ, সুন্নাহ বা নফল যে সালাতের কাজাই হোক।
৬। ভুলে ফজরের ফরজ সালাত আদায়ের পর নফল সালাত আদায় করে ফেললে কি এই সালাতেরও কাজা আদায় করতে হবে সূর্য উদয়ের পর।
৭। এমন যদি কোনো পরিস্থিতি হয় যে ওমরা বা হজে হাতেমে সালাত আদায়ের সুযোগ হলো কিন্তু তখন সালাতের নিষিদ্ধ সময় চলছে অথবা মাকরুহ সময় চলছে। অথবা ফজরের ফরজ সালাত আদায়ের পরবর্তী সময় বা আসরের ফরজ সালাত আদায়ের পরবর্তী সময় চলছে। সাধারণভাবে এই সময়ে তো নফল সালাত আদায় করা যায় না। কিন্তু আমার হয়তো আর তাওফিক নাও হতে পারে হাতেমে সালাত আদায়ের। সেক্ষেত্রে কি এই সময়ে সালাত আদায় করা যাবে এই বিশেষ পরিস্থিতিতে। অথবা জেনেশুনে এই সময়ে সালাত আদায় করে পরবর্তীতে কাজা আদায় করা যাবে যেহেতু আমি এই সুযোগ আর নাও পেতে পারি।
৮। তাওয়াফ শেষে মাকামে ইবরাহীম এর পিছনে দু রাকাত সালাত আদায়ের সময়েও যদি এরূপ নামাজের নিষিদ্ধ অথবা মাকরুহ সময় এসে যায় সেক্ষেত্রে কি এরূপ অবস্থায় সালাত আদায় করে ফেলতে হবে নাকি নিষিদ্ধ বা মাকরূহ সময় অতিবাহিত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে অন্য কোথাও সালাত আদায় করে ফেললে হবে যদি অপেক্ষা পর্যন্ত মাকামে ইবরাহীম এর পিছনে সালাত আদায়ের সুযোগ না হয়।

৯। মসজিদে প্রবেশের দুই রাকাত নামাজ আর তাহিয়াতুল ওযু কি একই নিয়তে দুই রাকাত আদায় করা যাবে। আর এই প্রবেশের সময় যদি নফল সালাত আদায়ের মাকরূহ ওয়াক্তে হয় তখনও কি সালাত আদায় করে ফেলতে হবে নাকি মাকরূহ ওয়াক্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। হজ বা ওমরার সময় মসজিদুল হারাম আর মসজিদুল নববীতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কি মাকরূহ ওয়াক্ত হলেও আদায় করা যাবে। অথবা অন্যান্য যে কোনো মসজিদের ক্ষেত্রে। আর যদি নিষিদ্ধ ওয়াক্ত হয় তখন তো আদায় করা যাবে না তাইনা। আর নিষিদ্ধ ওয়াক্ত অতিবাহিত হওয়ার সময়ও স্বল্পই হয়।

১০। তাহাজ্জুদ আদায়ের মাঝে ফজরের ওয়াক্ত হয়ে গেলে এই সালাত কি আদায় হয়ে যাবে নাকি পরবর্তীতে ইশরাকের সময় আদায় করতে হবে। তেমনিভাবে জোহরের ওয়াক্তের পর নফল সালাত আদায় করার মাঝে আসরে ওয়াক্ত চলে আসলে আবার মাগরিবের পর আওয়াবিনের সালাত আদায় করার মাঝে এশার ওয়াক্ত চলে আসলে।
১১। কোনো ওয়াক্তের ফরজ আর সুন্নাহ সালাত কোনো কারণে কাজা হলে নিষিদ্ধ সময় ব্যতিত সূর্য ডোবার পূর্বে মাকরূহ ওয়াক্তে কি তা আদায় করা যাবে বিশেষ কারণে। যেমন কারো জোহর যদি কাজা হয় আর আসরের সালাতও আদায় করা হয়নি। চলছে মাকরূহ ওয়াক্ত। সকলের সাথে মাকরূহ ওয়াক্ত চলাকালীন রওনা দিতে হবে। মাগরিব দেরি করে এশার সাথে আদায় করার নিয়ত পরবর্তী গন্তব্যে। বর্তমান গন্তব্যে স্বল্প সময়ে এই মাকরূহ ওয়াক্ত চলাকালীন জোহরের কাজা আর আসরের ফরজ আদায় করবে নাকি শুধু আসরের ফরজ সালাত।

1 Answer

0 votes
ago by (609,210 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) মুকররাবুন শব্দটা মুকাররাব এর বহুবচন। একজন পুরুষের ক্ষেত্রে মুকররাব আর নারীদের ক্ষেত্রে মুকররাবাতুন বা মুকররাবাহ বলা যাবে। নাম হিসেবে রাখা যাবে।

(২) অসতর্কতা বশত ভুলে ভুল কিবলায় নফল সালাত আদায় করলে পরবর্তীতে সেই সকল নফল সালাতের কাজা আদায় করতে হবে। তবে তাহাররি তথা গভীর চিন্তা ভাবনা করে পড়ে নিলে, উক্ত নামাযকে দোহড়াতে হবে না।

(৩) সূর্যাস্তের সময় আছরের নামায পড়া যাবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/471

(৪) আসরের ফরজ সালাত আদায়ের পর কোনো নফল সালাত আদায় করে নিলে মাকরুহ হিসেবে আদায় হবে। পরবর্তীতে কাযা করতে হবে না।

(৫) ফজরের ফরয সালাত আদায়ের পর পূর্বের কাজা সালাত আদায় করা যাবে। সেটা ফরজ, সুন্নাহ বা নফল যে কোনো সালাতই হোক না কেন।

(৬) ভুলে ফজরের ফরজ সালাত আদায়ের পর নফল সালাত আদায় করে ফেললে, সূর্য উদয়ের পর উক্ত নামাযের কাযা আদায় করতে হবে না।

(৭)  এমতাবস্থায় পড়ে নিতে পারবেন।

(৮) এমতাবস্থায় পড়ে নিতে পারবেন।

৯। এমতাবস্থায় পড়ে নিতে পারবেন।

(১০) এমতাবস্থায় পড়ে নিতে পারবেন।

(১১) এমতাবস্থায় পড়ে নিতে পারবেন।




(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

ago by
উস্তায ২ নং উত্তরে তাহাররি বা গভীর চিন্তা ভাবনা বলতে ঠিক কি বোঝানো হয়েছে। কিবলার দিক জেনেই সালাত আদায় করা কিন্তু পরবর্তীতে দিকটা ভুল ছিলো জানা এটা কী?
এক্ষেত্রে যদি ফরজ সালাত হতো তাহলে কি পরবর্তীতে কাজা আদায় করতে হতো?

আরেকটা জানার ছিলো উল্লেখিত মুকররাবুন শব্দের অর্থ সূরা ওয়াকিয়ার আয়াতের তাফসীরে দেখলাম আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত হিসেবে লেখা। এটা ছাড়াও এই শব্দের কি একাধিক আরও অর্থ রয়েছে। নামের ক্ষেত্রে মুকররাব মুকররাবাহ এর অর্থ কী হবে উস্তায?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 654 views
...