আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
21 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম

২০২২ সালের ২৭ শাবান মাসে  নগদ ৭৫ হাজার টাকা এবং ৬আনার দুলের মালিক হই। ঐ বছরেই ৭৫ হাজার টাকা এক ব্যাক্তি আমার থেকে ধার নেন এবং দেনাদারের সাথে কোনো মেয়াদচুক্তি হয়নি। গত ২৩ এবং ২৪ সালে যাকাত ও কুরবানি আদায় করেছি রুপার নিসাবে। দেনাদার  কিছু টাকা পরিশোধ করেছেন যাতে আমি যাকাত এবং কুরবানি আদায় করতে পারি। এখন তারকাছে আমি ৫২ হাজার টাকা পাই। সেটা তিনি কবে দিবেন জানেন না।
আমি একজন গৃহিণী।  আমার কোনো ইনকাম সোর্স নেই এবং আমার স্বামীও আমাকে  কোনো ধরনের হাতখরচ দেন না অর্থাৎ আমার কাছে ১টাকাও নেই। অল্প গোল্ড এবং নগদ টাকার মালিক হওয়াই  (টাকা যেটা ধার দিয়েছি) আমার রুপার নিসাবে প্রতিবছর যাকাত এবং কুরবানি হচ্ছে।
এবছর ২৫সালেও আমাকে যাকাত এবং কুরবানি আদায় করতে হবে রুপার নিসাবে।  আমার অনেক প্রয়োজন আছে যা আমি পুরন করতে পারছি না অথচ প্রতিবছরই যাকাত এবং কুরবানি করতে হচ্ছে রুপার নিসাবে।দেনাদার ব্যাক্তি টাকা পরিশোধ করলে আমি আমার প্রয়োজনে টাকা খরচ করে ফেলতাম।  এতে আমার কাছে কোনো প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা থাকতনা যেটা রুপার নিসাব হয়। যেহেতু আমার কাছে অল্প আনা গোল্ড আছে।
এখন আমার প্রশ্ন হলো
**---- দেনাদার ব্যাক্তি কবে টাকা পরিশোধ করবে সেটা বলতে পারেন না।(আদোও পরিশোধ করবে কি না সেটাও আমি জানি না) অথচ আমার টাকাটা খুব প্রয়োজন যেটা তিনি দিলে আমি ব্যাক্তিগত প্রয়োজনে খরচ করতে পারি।
এখন দেনাদার ব্যাক্তি নতুন চুক্তিকরতে চাচ্ছেন ঐ ৫২ হাজার টাকার সমুল্যে গোল্ড দিতে চান  যাতে আমার রুপার নিসাবে কুরবানি এবং যাকাত আদায় করতে না হয়  (যেহেতু প্রতিবছর টাকা মেনেজ করা আমার পক্ষে সম্ভব না এবং আমি আমার ৬আনার দুলটাও বিক্রি করতে চাচ্ছি না)  ।
১----এখন টাকার সমমূল্যে গোল্ড দিবেন( যখন দেনাদারের পক্ষে সম্ভব হয় তখন)   এই চুক্তি করা কি জায়েজ হবে বা করা যাবে?

২----যদি করা না যায় তাহলে আমার বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা অনুযায়ী আমি কি করতে পারি?

1 Answer

0 votes
by (609,210 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
 (শক্তিশালী ঋণ) এটা দ্বারা সেই টাকা বা মাল উদ্দেশ্য যা কাউকে ধার দেয়া হয়েছিলো,বা ব্যবসায়িক পণ্যর বিনিময়ে কারো উপর ওয়াজিব ছিলো।কিংবা এমন কোনো গৃহপালিত পশুর বিনিময়ে কারো উপর ওয়াজিব ছিলো যে প্রাণীর উপর যাকাত ওয়াজিব ছিলো।এমন দাইনে চল্লিশ দিরহাম পরিমাণ উসূল হওয়ার পর যাকাত ওয়াজিব হবে।(যখন থেকে পাওনা ছিলো তখন থেকে এক বৎসর পূর্ণ হওয়ার পর যাকাত ওয়াজিব হবে তথা হস্তগত হওয়ার পূর্বের বৎসর সমূহের যাকাত তখন আদায় করতে হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1483

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি কারো কাছ থেকে ঋণ নিয়ে নিজ প্রয়োজনকে পূর্ণ করে নিবেন।  তাহলে আপনার ঋণ বাকী থাকায়, শরয়ী মূলনীতির আলোকে আপনার উপর যাকাত বা কুরবানি ওয়াজিব হবে না। তাছাড়া, আপনি টাকার বিনিময়ে স্বর্ণও নিতে পারবেন। এতেকোনো সমস্যা হবে না। এক্ষেত্রে লেনদেন হাতে হাতে নগদ হতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...