জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এক্ষেত্রে সালাতের কোনো সমস্যা হবেনা।
(০২)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এটি মূলত শয়তানের পক্ষ থেকে আসে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ سَعِيدٍ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي، الْعَلاَءِ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ أَبِي الْعَاصِ، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ الشَّيْطَانَ قَدْ حَالَ بَيْنِي وَبَيْنَ صَلاَتِي وَقِرَاءَتِي يَلْبِسُهَا عَلَىَّ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ذَاكَ شَيْطَانٌ يُقَالُ لَهُ خِنْزِبٌ فَإِذَا أَحْسَسْتَهُ فَتَعَوَّذْ بِاللَّهِ مِنْهُ وَاتْفِلْ عَلَى يَسَارِكَ ثَلاَثًا " . قَالَ فَفَعَلْتُ ذَلِكَ فَأَذْهَبَهُ اللَّهُ عَنِّي .
ইয়াহইয়া ইবনু খালাফ আল বাহিলী (রহঃ) ... আবূল আলা (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, উসমান ইবনু আবূল আস (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! শয়তান আমার এবং আমার সালাত ও কিরআতের মাঝে প্রতিবন্ধক হয়ে তা আমার জন্য এলোমেলো করে দেয়। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ওটা এক (প্রকারের) শয়তান যার নাম ’খিনযিব’। যখন তুমি তার উপস্থিতি অনুভব করবে তখন (আউযুবিল্লাহ পড়ে) তার কবল থেকে আল্লাহর নামে আশ্রয় নিয়ে তিনবার তোমার বামদিকে থু থু নিক্ষেপ করবে। তিনি বলেনঃ পরে আমি তা করলে আল্লাহ আমা থেকে তা দূর করে দিলেন।
(মুসলিম ৫৫৫০)
এ থেকে পরিত্রাণের উপায় ও নামাজে মনোযোগী হওয়ার পদ্ধতি জানুনঃ-
(০৩)
নামাজের সময় ফোন তার কাছে রাখবেনা।
উল্লেখিত ব্যক্তি যদি পুরুষ হয় সেক্ষেত্রে সে যেহেতু নামাজ পড়বে মসজিদে।
সুতরাং মসজিদে যাওয়ার সময় সে ফোন নিয়ে যাবে না।
আর যদি সে মহিলা হয় সেক্ষেত্রে সে যেহেতু বাসায় নামাজ পড়বে,তাই যেই রুমে নামাজ পড়বে, সেই রুমে সে ফোন রাখবে না।
অন্য রুমে বা কাহারো কাছে জমা দিয়ে এসে সে নামাজ পড়বে।
এবং মনোযোগ সহকারে একাগ্রচিত্তে সব নামাজ শেষ করবে।
নামাজ গুলোর মাঝে কোনো বিরতি দিবেনা।