আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
20 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (1 point)
reshown by
আসসালামু'আলাইকুম।

১| আমার বিয়ের জন্য আম্মু ২০২৩ সালের মে মাসে কিছু গয়না বানিয়ে রেখেছে ২ ভরি ১০ আনা, আগের পুরোনো সোনা ছিলো ৪ ভরি ২ আনা, পুরোনো রুপা ছিলো ৬ ভরি ৫ আনা। এর উপর গত ২০২৪ এর ১৬জুন কুরবানীর ঈদে আমাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব হয়েছিলো। আমার বাবা/ভাই নেই, তাই এই গয়নার উপর কুরবানী ওয়াজিব কিনা আলেম থেকে জানাটা আমাদের জন্য একটু কঠিন। তাই পরিচিত এক মাদ্রাসার ভাই থেকে আম্মু শুনে নিয়েছিলো যে নিসাব পরিমাণ না হ‌ওয়ায় কুরবানী ওয়াজিব হয়নি। কিন্তু ঈদের ২ দিন পর একজনের পোস্ট থেকে জেনেছিলাম যে তা আসলে ওয়াজিব হয়েছিলো। গয়না বিক্রি করে/ঋণ করে ১দিনের মধ্যে টাকা ম্যানেজ করে কুরবানীর পশু কিনে কুরবানী করাটা আমাদের জন্য সম্ভব ছিলো না।
এখন এটার কাফফারা আমি কীভাবে আদায় করতে পারি?  কাফফারায় এখন কি কুরবানী দিতে হবে নাকি ঐ পরিমাণ সাদকা করে দেয়া যাবে? আমাদের জন্য কুরবানীর পশু কেনার ব্যবস্থা করা এবং কুরবানী করা এখনো কষ্টসাধ্য।
২| আমার মামা ঋণগ্রস্ত (কিস্তির)। কুরবানীর খরচ দিয়ে কি তার কিছু ঋণ শোধ করে দিতে পারবো? এবং আমার যাকাতের টাকা দিয়ে কি তার ওষুধ, মুদি দোকানের বাকিগুলো শোধ করে দিতে পারবো (যাকাতের/কুরবানীর কাফফারার কথা উল্লেখ না করে)?

1 Answer

0 votes
by (65,040 points)

 

ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/81414/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ وَجَدَ سَعَةً فَلَمْ يُضَحِّ فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না, সে যেন অবশ্যই আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়। (মুসনাদ আহমাদ ৮২৭৩, ইবনে মাজাহ ৩১২৩, হাকেম ৭৫৬৫-৭৫৬৬)

,

শরীয়তের বিধান হলো যে ব্যাক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব হয়েছে, সে যদি কুরবানীর নির্দিষ্ট দিনগুলিতে তার ওয়াজিব কুরবানী আদায় না করে, সেক্ষেত্রে তার উপর উপর আবশ্যক হল, একটি কুরবানী করা যায় এমন বকরীর মূল্য সদকা করা।

ولو تركت التضحية ومضت ايام النحر تصدق….. بقيمتها غنى شراها اولا لتعلقها بذمته بشرائها اولا، والمراد بالقيمة قيمة شاة تجزئ فيها وتحته فى الشامى قيمة شاة وسط (الدر المختار مع الشامى-9/463-465

সারমর্মঃ- কেহ যদি কুরবানী ছেড়ে দেয়,এবং কুরবানীর নির্দিষ্ট দিন গুলি অতিবাহিত হয়ে যায়,তাহলে একটি কুরবানী করা যায় এমন বকরীর মূল্য সদকা করবে।

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

,

১. শরীয়তের বিধান হলো যে ব্যাক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব হয়েছে, সে যদি কুরবানীর নির্দিষ্ট দিনগুলিতে তার ওয়াজিব কুরবানী আদায় না করে, সেক্ষেত্রে তার উপর উপর আবশ্যক হল, একটি কুরবানী করা যায় এমন বকরীর মূল্য সদকা করা।

পুরো টাকা একবারে সাদাকা করা আবশ্যক নয়। অল্প অল্প করে যেমন: ৫০০ টাকা/ ১০০০ টাকা এভাবেও সাদকাহ করা যাবে।

,

২. তিনি যদি যাকাতের হকদার হয়ে থাকেন তাহলে পারবেন। তবে আপনি নিজে তার ঋণ পরিশোধ না করে বরং তাকে সরাসরি মালিক বানিয়ে টাকা দিবেন। অত:পর তার ঋণ পরিশোধ করার কথা বলতে পারেন।

যাকাতের হকদার সম্পর্কে জানুন - https://ifatwa.info/42180/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
যাকাতের কথা উল্লেখ না করে মনে মনে নিয়ত করে আমার মা মামার কিছু দোকানের(মুদি, ওষুধ,বেকারি,কারেন্ট বিল ৪ মাসের) বাকী শোধ করেছেন যেখানে বাকী আটকে তাদের কেনাকাটা আটকে গিয়েছিলো। উল্লেখ্য, শোধের সময় মামা সাথে ছিলেন এবং চাচ্ছিলেন এই টাকা দিয়ে দোকানের ঋণ শোধ না করে কোনো একটা কিস্তি শোধ করতে। কিন্তু এভাবে কিস্তি শোধ করে আবার আরেকটা কিস্তি তুলতে হতো এবং দোকানের বাকিগুলোও শোধ না হওয়াতে খাওয়াদাওয়া আবার আটকে যাওয়ার উপক্রম হতো। আমাদের আর্থিক অবস্থাও খুব ভালো না। তাও চেষ্টা করি যতটুক সম্ভব সাহায্য করতে। এই নিয়ে ৩/৪ বার আমরা এবং অন্য আত্মীয়রা মিলে তাদের পুরো কিস্তি  শোধ করে উনাকে মুদি দোকানের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা এবং  খরচ বুঝে করতে না পারার কারণে বারবার তারা কিস্তিতে জড়িয়ে পড়ে।

এভাবে যাকাত দেয়াটা তাহলে আদায় হয়েছে কিনা ,নাকি নতুন করে আদায় করতে হবে? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 256 views
...