দেরিতে সন্তান নেওয়া, মেয়েদের জামাতে নামাজ ও ভিন্ন ওয়াশরুম ব্যাবহারের ব্যাপারে জানতে চাই

Question

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ,

আমি পূর্বে দুটি প্রশ্ন করেছিলাম যার উত্তর মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ হুজুর দিয়েছেন এবং তা সন্তোষজনক ছিল আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিক।

এখন আমার আর কয়েকটা প্রশ্ন আছে। বিয়ের পরে একবার আমি স্বামীর সাথে মিশরে গিয়েছিলাম এবং কিছুদিন থেকে আসছি। এখানে বাথরুমে ওয়েস্টার্ন কমড সিস্টেম কিন্তু আমাদের দেশের মতো জেট স্প্রে নেই। কমোড এর সাথেই এটাচ স্প্রেয়ার থাকে। কমোডের পাশে ট্যাপ থাকে যা ঘুরিয়ে স্পিড বাড়িয়ে কমিয়ে ব্যাবহার করতে হয়।
এইগুলো ব্যাবহারের কারণে কি সামান্য কোনোভাবে কাপড় নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কি না এখনো বুঝিনি। যদি সম্ভব হয় একটু উত্তর করবেন প্লিজ। আসলে আমাদের বাসার আসে পাশে কোথাও মহিলা মাদ্রাসা নেই যেখানে যেয়ে সেখানের কোনো বোনকে বিস্তারিত বলে বুঝিয়ে জিজ্ঞাসা করবো।

স্টাডির সময়ে সন্তান যাতে না আসে এজন্য যদি দীর্ঘ সময়  (৩-৪ বছর) ধরে জন্মনিয়ন্ত্রন করি এতে কি গুনাহগার হবো? কারণ দেশের বাইরে এমনিতেও হেল্পিং হ্যান্ড পাবোনা। দেশে থাকলে শশুর শাশুড়ি ছিলেন। এজন্য সন্তান নিতে দেরি করার সম্ভাবনা বেশি।

যখন ছিলাম মিশরে যেয়ে তখন জীবনে প্রথমবার জামায়াতে নামাজের সুযোগ পাই, এমনকি আল আজহার মসজিদেও পড়েছি। মেয়েদের কি জামায়াতে নামাজে কোনো সমস্যা আছে যদি ঘর থেকে একা একা বের হয়ে নামাজ পড়ে আসি? আরেকটা বিষয় লক্ষ করেছি ওখানে সুন্নত নামাজ কেউ পড়ছিলো না। ফরজ এর পরেই বের হয়ে যায় সব মেয়েরা, পুরুষরাও। এক্ষেত্রে কি আমার সুন্নত মসজিদে পড়ে বের হওয়া উত্তম নাকি বাড়িতে এসে পড়া উত্তম?

আশা করছি আর বিরক্ত করবো না, মেহেরবানী করে এইটুকুর উত্তরটা দিবেন প্লিজ।

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

(১)

যদি কাপড় বা শরীরে কোনো প্রকার নাজাসত না লাগে, তাহলে এতে কাপড় বা শরীর নাপাক হবে না।

(২)

লালন পালনের অজুহাতে জন্মনিয়ন্ত্রণ জায়েয হবে না। হ্যা, আযল করা যেতে পারে। তথা বীর্যপাতের সময় লিঙ্গকে বাহির করে ফেলা।

(৩)

সর্বাবস্থায় মহিলার জন্য উত্তম হল ঘরের মধ্যে নামায পড়া,কেননা নবী কারীম সাঃ বলেন

( ﻻ ﺗﻤﻨﻌﻮﺍ ﻧﺴﺎﺀﻛﻢ ﺍﻟﻤﺴﺎﺟﺪ ، ﻭﺑﻴﻮﺗﻬﻦ ﺧﻴﺮ ﻟﻬﻦ ) ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ( 567 ) ﻭﺻﺤﺤﻪ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﻓﻲ ﺻﺤﻴﺢ ﺃﺑﻲ ﺩﺍﻭﺩ .

তোমরা মহিলাদিগকে মসজিদ থেকে বাধা প্রদান করবেনা এবং ঘর-ই হল তাদের জন্য ইবাদতের উত্তম স্থান।(আবু-দাউদ,৫৬৭)

মহিলাদের উপর জুমু'আহ ওয়াজিব না হওয়ার হেকমত হল,শরীয়ত মহিলাদিগকে পুরুষদের মিলনক্ষেত্রে যোগ না দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেননা তার পরিনতি কখনো শুভকর হয় না,যেমন আজকের রঙ্গিন  দুনিয়ায় পুরুষ-মহিলাদের সমবিচরণে সেই সমস্ত অশুভ বিষয়সমূহক প্রতিনিয়ত আমরা পত্যক্ষ্য করছি ।এ জন্য ফিতনার আশংকা থাকায় মহিলাদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ পড়াকে ফুকাহায়ে কেরাম মাকরুহে তাহরিমী বলেন। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/5331

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 

নারীরা ঘরেই নামায পড়বে। মসজিদে গিয়ে নারীদের জন্য নামায পড়া মাকরুহে তাহরিমী।