আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
39 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)

আসসালামু-আলাইকুম,

নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর চাচ্ছি:

১) স্বামী যদি প্রথম তালাক দেওয়ার পর, স্ত্রীর দুই হায়েজ অতিক্রম হয়, এরপর আরও একটি তালাক দেয়, এরপর তৃতীয় হায়েজ এর পর ইদ্দত তো শেষ হয়ে যায়। তাই না ? এরপর কি স্বামী না দিলেও অটোমেটিক্যালি তৃতীয় তালাক পড়ে যাবে ?

২) তৃতীয় তালাক কি ইদ্দত শেষ হলে সাথে সাথে দেওয়া যাবে স্বামী দ্বারা ? যেন স্থায়ীভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় ?

৩) যদি ইদ্দত শেষে তৃতীয় তালাক স্বামী আর দিতে না পারে, দেওয়ার যদি অবকাশ না থাকে, তাহলে স্বামীর জন্য করণীয় কি ? স্বামী চাচ্ছে ৩ তালাক-ই যেন দেওয়া হয়ে যায়, যাতে কোনো কারণে স্বামীর মন নরম হয়ে আবারো স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার অপশান-ও না থাকে।

* স্ত্রী দ্বারা এমন কাজ হয়েছে, যার দরুন স্বামী প্রথমেই এক সাথে ৩ তালাক দিয়ে দিতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু গুনাহ হবে, এই কারণে শুধুই ১ তালাক দিয়েছিলেন শুরুতে।

৪) একটি ছেলে সন্তান আছে, ১০ বছরের । স্বামী চাচ্ছে ছেলেকে নিজের কাছেই পার্মানেন্টলি রাখতে এবং ভবিষ্যতে কখনো ছেলে-র মায়ের কাছে ১ দিনের জন্যও দিবে না। মা এর কারণে ছেলে-র অনেক নৈতিক অবক্ষয় হয়েছে, এইটা মা-ও স্বীকার করেছে। স্বামীর শশুড়বাড়ির সকলেই জানে, তাদের মেয়ে কি পরিমান অপরাধ করেছে, তাদের বলার আর কিছুই নেই। শুধু এতটুকু চাচ্ছে, হাত জোর করে অনুরোধ করছে, মেয়ের অপকর্মের কথা যেন কাউকে জানানো না হয়, না হয় তাদের আর কোনো ইজ্জত থাকবে না ! স্বামী যদি ছেলেকে এইভাবে রেখে দিতে চায়, মা এর সাথে কখনোই দেখা হতে দিতে না চায়, তাহলে কি স্বামীর গুনাহ হবে ?

* স্ত্রী শুরু থেকেই, অর্থাৎ ১ম তালাক এর আগে থেকেই তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলো।

1 Answer

0 votes
ago by (583,770 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

الطَّلَاقُ مَرَّتَانِ فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ وَلَا يَحِلُّ لَكُمْ أَنْ تَأْخُذُوا مِمَّا آَتَيْتُمُوهُنَّ شَيْئًا إِلَّا أَنْ يَخَافَا أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا فِيمَا افْتَدَتْ بِهِ تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَعْتَدُوهَا وَمَنْ يَتَعَدَّ حُدُودَ اللَّهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ (229)

"এ তালাক দু'বার, অতঃপর স্ত্রীকে হয় বিধিসম্মতভাবে রাখবে অথবা সদয়ভাবে বিদায় দেবে। আর স্ত্রীকে দেয়া কোন কিছু ফেরৎ নেয়া তোমাদের পক্ষে উচিত নয়। তবে যদি তাদের উভয়ের আশংকা হয় যে তারা আল্লাহর সীমারেখা রক্ষা করে চলতে পারবে না এবং তোমরা যদি আশংকা কর যে তারা আল্লাহর সীমারেখা রক্ষা করে চলতে পারবে না, তবে (সে অবস্থায়) স্ত্রী কোন কিছুর বিনিময়ে (স্বামী থেকে) নিষ্কৃতি পেতে চাইলে তাতে (স্বামী-স্ত্রীর) কারো কোনো পাপ নেই। এসব আল্লাহর সীমারেখা। কাজেই তা লংঘন কর না। যারা আল্লাহর (নির্দিষ্ট) সীমারেখা লংঘন করে তারাই অত্যাচারী।" (সুরা বাকারা ২২৯)

فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ [٢:٢٣٠] 

তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে,তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়,তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা;যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। [সূরা বাকারা-২৩০]

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
স্বামী যদি প্রথম তালাক দেওয়ার পর, স্ত্রীর দুই হায়েজ অতিক্রম হয়, এরপর আরও একটি তালাক দেয়, এরপর তৃতীয় হায়েজ অতিবাহিত হয়ে গেলে এরপর স্বামী ৩য় তালাক না দিলে অটোমেটিক্যালি তৃতীয় তালাক পড়ে যাবেনা।

আগের ২ তালাকই থাকবে।

তৃতীয় তালার পতিত হওয়ার জন্য পুনরায় আরেকটি তালাক দেওয়া আবশ্যক।


(০২) 
ইদ্দত শেষ হলে সেই স্ত্রীকে ফিরিয়ে না নিলে তৃতীয় তালাক  সাথে সাথে দেওয়া যাবেনা।
কেননা সে তো এখন তার গায়রে মাহরাম। 
তাকে ফিরিয়ে না নিলে সে আর তার স্ত্রী থাকেনা।
তাই তাকে তালাক দেয়া যায়না।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ইদ্দতের মধ্যেই তৃতীয় তালাক দিয়ে দিতে হবে।

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৩)
যদি ইদ্দত শেষে তৃতীয় তালাক স্বামী আর দিতে না পারে, দেওয়ার যদি অবকাশ না থাকে, তাহলে এক্ষেত্রে স্বামীর জন্য করণীয় হলো সেই স্ত্রীকে পুনরায় বিবাহ না করা।

কেননা এমতাবস্থায় তো বায়ান তালাক পতিত হয়ে যায়, এক্ষেত্রে তাকে নতুন করে বিবাহ করে না নিলে সে তো তার স্ত্রী থাকে না।

সেই মহিলা এখন অন্যত্রে বিবাহ বসতে পারে কোন সমস্যা নেই।

(০৪)
হ্যাঁ,প্রশ্নের বিবরণ মতে স্বামী এমনটি করতে পারবে।

শরীয়ত স্বামীকে বৈধতা দিয়েছে যে সে সন্তানকে পরিপূর্ণভাবে নিজের কাছে রাখতে পারে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...