বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ই-মেইল কম্পানি সাধারণত রিয়েল নাম্বার ব্যবহার করার রুল জারি করে থাকে।এবং ই-মেইল সাইনাপকে তারা বানিজ্যিক করে দেয়নি।বরং তারা ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহারের নিমিত্তে সাইনাপ সুযোগ দিয়েছে।সুতরাং এ দিক দিয়ে চিন্তা করলে দেখা যায় যে,এটা ই-মেইল কর্তৃপক্ষের সাথে এক প্রকার ধোকা।
সহীহ বোখারীর প্রথম হাদীস যা হযরত উমর রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
انما الاعمال بالنيات الخ
প্রত্যেক কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল।নিয়ত ভালো থাকলে সওয়াব পাওয়া যাবে।আর নিয়তে কোনো প্রকার সমস্যা থাকলে সওয়াব পাওয়া যাবে না,এমনকি গোনাহও হতে পারে।
এবং ধোকা দেয়া হারাম।এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
ﻣﻦ ﻏﺸﻨﺎ ﻓﻠﻴﺲ ﻣﻨﺎ
"যে ব্যক্তি ধোকা দেয় সে আমাদের দলভুক্ত নয়" (সহীহ মুসলিম-১০১)আরো জানুন-৬৪৭
সুতরাং এই মূলনীতির আলোকে বলা যায় যে,সরকার জনগণ এমনকি সাধারণ অমুসলিমকেও ধোকা দেয়া যাবে না।
তবে যেহেতু ই-মেইল কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য হল,তার প্রজেক্টটা বেশী ব্যবহার হোক,পরিচিতি লাভ করুক,তাই এভাবে কোনো কম্পানির ই-মেইল বানিয়ে বিক্রি করা তাদের উদ্দেশ্যের সাথে সাংঘর্ষিক হবে না।বরং তাদেরকে সহযোগিতা করার পর্যায়ে সেটা গিয়ে পৌছবে।সে হিসেবে আপনি ভার্চুয়াল নাম্বার ব্যবহার করে ভেরিফাই করে ইমেল বানাতে পারবেন ও বিক্রি করতে পারবেন।
হ্যা অবশ্যই যার নিকট বিক্রি করবেন,তার নাম্বার সংযোজন করে দিবেন।কেননা সবাই পরবর্তীতে তাদের নাম্বার সংযোজন করতে পারবেনা।তখন সে বিপাকে পড়ে যেতে পারে।(শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি ই-মেইল বিক্রি করতে পারবেন।আপনার কাছ থেকে ই-মেইল ক্রয় করে নিয়ে যদি কেউ কোনো অন্যায় কাজে লিপ্ত হয়,তাহলে বিশুদ্ধতম মতানুযায়ী এর গোনাহ বিক্রেতার উপর আসবে না।বরং গোনাহ সংশ্লিষ্ট /পরিচালকের উপর আসবে।