বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
স্ত্রীকে লক্ষ্য করে স্বামীর কথা,
'তুমি জমি বিক্রি করতে চাইছিস তোকে আমি তালাক দিলাম। ১ তালাক, ২ তালাক এভাবে ৬ তালাক পর্যন্ত এক সাথে বলছে।'
এ বাক্য দ্বারা তালাক পতিত হয়ে যাবে।কেননা এখানে স্বামী বিক্রির সাথে তালাককে সম্বন্ধযুক্ত করছে না বরং জমি বিক্রির চাওয়ার সাথে তালাককে সম্বন্ধযুক্ত করছে।যেহেতু স্ত্রী জমি বিক্রিকে চেয়েছে,তাই তিন তালাক পতিত হবে।
কিন্তু পরবর্তীতে স্বামীর ব্যখ্যা
'স্বামী বলে আমি বলেছি তুমি জমি বিক্রি করলে তালাক দিবো।'
এ কথা দ্বারা তালাক পতিত হবে না।কেননা একথার অর্থ হল,জমি বিক্রি করলে আমি তালাক দেবো।
এখন সমাধান কি হতে পারে?
এ সমস্যার সমাধানে আমরা বলবো,
যেখানে মুখ থেকে পরিস্কার তালাক শব্দ বের হয়,সেখানে যে ভঙ্গিতে তালাক শব্দ বের হয়েছে,সেই শব্দে শর্ত বুঝা যাচ্ছে না।তাই পরবর্তীতে উনার মনগড়া ব্যখ্যা গ্রহণযোগ্য হবে না।তাই তালাক পতিত হয়ে যাবে।তারা পূনরায় সংসার করতে পারবে না।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
فَإِن طَلَّقَهَا فَلاَ تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىَ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ فَإِن طَلَّقَهَا فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللّهِ وَتِلْكَ حُدُودُ اللّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ
তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে, তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত সীমা; যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়।
হ্যা স্বামীর যদি প্রথম থেকেই নিয়ত থাকে যে,শর্তের সাথে তালাক প্রদানের।কিন্তু মুখ ফসকে এভাবে তালাক শব্দ বের হয়ে যায়,তাহলে দিয়ানাত তালাক পতিত হবে না।তথা আখেরাতের বিচারে তালাক পতিত হবে না।কিন্তু কাযাআন তথা দুনিয়ার বিচার হিসেবে তালাক পতিত হবে।