আসসালামু আলাইকুম
আমি একটা সরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে এই বছর এপ্রিলে mbbs ফাইনাল পরীক্ষা দিবো। বর্তমানে আমাদের টেস্ট পরীক্ষা চলতেছে, বিশাল সিলেবাস মাত্র একদিনের গ্যাপে পড়তে অনেক বেশি ই পরিশ্রম করতে হচ্ছে কিন্তু সে অনুযায়ী সঠিক পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার সুযোগ হচ্ছে না কারণ ক্যান্টিনে যে খাবার দেয় সেটা শুধু ক্ষুধা ই নিবারণ হয়, আমি দুইটা পরীক্ষা দেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে গেছি এমন যে আগামীকাল হয়তো ফেইল করবো পড়াশোনার শক্তি ধৈর্য্য কিছু ই পাচ্ছি না।
ক্যান্টিনের খাবার এর সাথে মাঝে মাঝে নিজে কিছু রান্না করে খাইলে ব্যালেন্স হয় কিছুটা। যেহেতু আমি হোস্টেলে থাকি তাই কর্তৃপক্ষের সরাসরি অনুমোদন না থাকায় কারেন্ট ব্যবহার করে রান্না করি না, স্টোভে কেরোসিনে রান্না করতাম কিন্তু এখন থেকে ফাইনাল পরীক্ষা পর্যন্ত এতোটা পড়াশোনার প্রেশার যে স্টোভে রান্না করায় যে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয় সেটা আমার পড়াশোনায় ক্ষতি করবে, আর স্টোভ খুব ঝুঁকি ও, বেশ কয়েকবার ব্লাস্ট করছে প্রতিবার ই আল্লাহ এর রহমতে বেঁচে গেছি।
গোটা হোস্টেলে শুধু আমরা ৩ জন ছাড়া সবাই কারেন্ট ব্যবহার করে রান্না করে, ১-২ বছর আগে রেইড দিতো কলেজ থেকে ( কারন রাজনৈতিক দল ক্যান্টিন চালাতো আর আমরা রান্না করে খাইলে তাদের ব্যবসা কম হতো) কিন্তু এখন আর কিছুই বলে না কলেজ থেকে, এক প্রকার মৌন সম্মতি টাইপ চলছে, মুখে বা নোটিশ আকারে অনুমোদন না থাকলেও কাউকে আর কিছু বলা হয় না।
বাইরে বাসা নিলেও ফ্রিজ কেনার মতো টাকা আসলে নাই আমার এই মুহূর্তে, সেক্ষেত্রে বাসায় প্রতিদিন তিনবেলা রান্নার জোগাড় করা সময় সাপেক্ষ যেটা আমার এই শেষ সময়ে এসে সম্ভব না, হোস্টেলে অনুমোদিত ফ্রিজ আছে একদিন রান্না করে অনেকদিন রেখে দেওয়া যায় ।
এক্ষেত্রে আমি যদি ৫-৬ মাস কারেন্ট ব্যবহার করে রান্না করি এবং আনুমানিক একটা প্রতিমাসে দান করে দেই যতটুকু কারেন্ট ব্যবহার করছি সেই হিসেবে তাহলে কি আমার জন্য জায়েজ হবে? (যেহেতু সরকারি মেডিকেল তাই কলেজে এই টাকা জমা দেওয়ার সুযোগ নাই তাই দান করতে চাচ্ছি)
আমার খাবার কি হারাম হয়ে যাবে হোস্টেলের কারেন্ট ব্যবহার করে রান্না করলে?
উপরোক্ত অবস্থা কি জরুরত হিসেবে বিবেচিত হবে না আমার জন্য?