বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বিয়ের সাথে সাথেই স্বামীর উপর স্ত্রীর বাসস্থান এবং ভরণপোষণ ওয়াজিব। (ভরণপোষণের ভিতরে, খাবার ও কাপড় অন্তর্ভুক্ত এবং এবং কেউ কেউ প্রয়োজনীয় হত খরচকেও ভরণপোষণের অন্তর্ভুক্ত করে থাকেন।)
বাসস্থানের ধরণ কি রকম হওয়া চাইঃ স্ত্রীকে পৃথক ঘর দিতে হবে, নাকি পৃথক বাসা-বাড়ি দিতে হবে।
এ সম্পর্কে ইবনে আবেদীন শামী রহ.বলেনঃ-
قُلْت: وَالْحَاصِلُ أَنَّ الْمَشْهُورَ وَهُوَ الْمُتَبَادَرُ مِنْ إطْلَاقِ الْمُتُونِ أَنَّهُ يَكْفِيهَا بَيْتٌ لَهُ غَلَقٌ مِنْ دَارٍ سَوَاءٌ كَانَ فِي الدَّارِ ضَرَّتُهَا أَوْ أَحْمَاؤُهَا.
আমি মনে করি ফুকাহায়ে কিরামদের আলোচনা থেকে এটাই বুঝা যাচ্ছে যে,বাসস্থানের জন্য পৃথক একটি রুম-ই যথেষ্ট হবে, যদি সেই রুমের সমস্ত কর্তৃত্ব স্বীকে দিয়ে দেয়া হয় ,চায় ঐ বাড়ির অন্যান্য রুম গুলাতে স্বামীর আত্বীয়-স্বজন থাকুক অথবা স্বামীর অন্যকোনো স্ত্রী(সতীন)থাকুক।এতে কোনো অসুবিধা নেই (যদি শরয়ী অন্যান্য বিধি-বিধান লঙ্ঘনের আশংকা না থাকে)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিয়ে করার সাথে সাথেই স্বামীর উপর স্ত্রীর ভরণপোষণ ও বাসস্থান সবই ওয়াজিব হয়ে যায়। বিয়ের সময় এগুলো উল্লেখ করারও কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। স্ত্রী মানেই তাকে অন্ন বস্র ও বাসস্থান দিতে হবে। স্ত্রী সম্পদশালী হলেও তকে দিতে হবে । স্বামীর উপর এগুলো ওয়াজিব। সুতরাং বিয়ের পর স্বামী তার স্ত্রীকে জোর করে বা প্রভাব কাটিয়ে বাবার বাড়ি প্রেরণ করা জায়েয হবে না।