জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
ফজরের পর সুরা সুরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করা ফজিলত পূর্ণ একটি আমল।
★দারেমী শরীফে এসেছেঃ
عن عطاء بن أبي رباحٍ قال: بلغني أن رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم قال: من قرأ یٰٓس في صدر النہار قضیت حوائجہ۔ (رواہ الدارمي) (فضائل اعمال / فضائل قرآن ۱؍۵۲ إشاعۃ دینیات دہلي)
হজরত আতা বিন আবি রাবাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন আমি শুনেছি যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দিনের শুরুতে সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে, তার সব হাজত (প্রয়োজন) পূর্ণ করা হবে।’
(দারিমী ৩৪৬১. মিশকাত ২১৭৭)
অন্যত্রে এসেছেঃ
عن شہر بن حوشب قال: قال ابن عباس رضي اللّٰہ عنہ : من قرأ یٰسٓ حین یصبح، أعطي یسر یومہ حتی یمسي، ومن قرأ ہا في صدر لیلۃ أعطي یسر لیلتہ حتی یصبح۔ (المسند للإمام الدارمي، بحوالہ: أحکام القرآن للقرطبي ۲؍۱۵)
হজরত ইয়াহইয়া ইবনে কাসির রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুখে-স্বস্তিতে থাকবে। যে সন্ধ্যায় পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত শান্তিতে থাকবে।’
আরো জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
সূরা ইয়াসিন বা অন্য যেকোনো আমলী সূরা তিলাওয়াতে সাময়িক ব্রেক দেওয়া যাবে।
তবে এটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই হতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে হলে ফজিলত অর্জিত হবে না। যেমন সুরা ইয়াসিন এর বিষয়টি,এই সুরা দিনের শুরুতেই তেলাওয়াত করতে হবে। দুপুর বেলা তেলাওয়াত করলে আল্লাহ তায়ালা যে হাজত পূর্ণ করবেন,এ ফজিলত অর্জিত হবে না।
হাদীস শরীফে দিনের শুরুতে সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করার ফজিলত বর্ণিত হয়েছে কেউ যদি দিনের শুরুতে তেলাওয়াত না করে বরং দুপুরবেলা তেলাওয়াত করে বা আসরের পর তেলাওয়াত করে,সেক্ষেত্রে হাদীসের ভাষ্যমতে সে ব্যক্তি উক্ত ফজিলত পাবে না।
যদি এমন হয় যে সকাল বেলা তেলাওয়াত করা সম্ভব হয়নি তো দুপুর বেলা তেলাওয়াত করেছে,বা আসর পর তিলাওয়াত করেছে, সেক্ষেত্রে বাকি দিন অর্থাৎ সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত সেই সুখে স্বস্তিতে থাকবে।কিন্তু পুরো দিন আল্লাহ রব্বুল আলামিন তার হাজত পূর্ণ করবেন উক্ত ফজিলত অর্জিত হবে না।