আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
17 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
সূরা ইয়াসিন বা অন্য যেকোনো আমলী সূরা তিলাওয়াতে কি সাময়িক ব্রেক দেওয়া যাবে? মানে ফজরের নামাযের পরে হয়তো পুরো সূরা শেষ করার সময় হলো না দুনিয়াবী ব্যস্ততার কারণে। তখন বাকিটুকু দিনের অন্য কোনো ভাগে পড়লাম। সেক্ষেত্রে কি পূর্ণ আমলের সওয়াব আশা করা যায়? কিংবা ধরুন কারো জন্য দিনের প্রথম ভাগে সূরা ইয়াসিন পড়ার ফুরসতই হচ্ছে না। তিনি যদি আসরের নামাজের পরেই রেগুলার বেসিসে সূরা ইয়াসিন পড়েন, তিনি কি দিনের প্রথমভাগে ইয়াসিন আমল করার মতই সওয়াব বা আল্লাহর সন্তুষ্টির পাওয়ার আশা করতে পারেন? আমি হয়তো সুন্দরমত বুঝাতে পারলাম না উস্তায আফওয়ান। আশা করি আপনি বুঝে নিবেন।

1 Answer

0 votes
by (583,020 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

ফজরের পর সুরা সুরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করা ফজিলত পূর্ণ একটি আমল।
 
★দারেমী শরীফে এসেছেঃ

عن عطاء بن أبي رباحٍ قال: بلغني أن رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم قال: من قرأ یٰٓس في صدر النہار قضیت حوائجہ۔ (رواہ الدارمي) (فضائل اعمال / فضائل قرآن ۱؍۵۲ إشاعۃ دینیات دہلي)

হজরত আতা বিন আবি রাবাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন আমি শুনেছি যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দিনের শুরুতে সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে, তার সব হাজত (প্রয়োজন) পূর্ণ করা হবে।’
(দারিমী ৩৪৬১. মিশকাত ২১৭৭)

অন্যত্রে এসেছেঃ 

عن شہر بن حوشب قال: قال ابن عباس رضي اللّٰہ عنہ : من قرأ یٰسٓ حین یصبح، أعطي یسر یومہ حتی یمسي، ومن قرأ ہا في صدر لیلۃ أعطي یسر لیلتہ حتی یصبح۔ (المسند للإمام الدارمي، بحوالہ: أحکام القرآن للقرطبي ۲؍۱۵)

হজরত ইয়াহইয়া ইবনে কাসির রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুখে-স্বস্তিতে থাকবে। যে সন্ধ্যায় পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত শান্তিতে থাকবে।’

আরো জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
সূরা ইয়াসিন বা অন্য যেকোনো আমলী সূরা তিলাওয়াতে সাময়িক ব্রেক দেওয়া যাবে।
তবে এটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই হতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে হলে ফজিলত অর্জিত হবে না। যেমন সুরা ইয়াসিন এর বিষয়টি,এই সুরা দিনের শুরুতেই তেলাওয়াত করতে হবে। দুপুর বেলা তেলাওয়াত করলে আল্লাহ তায়ালা যে হাজত পূর্ণ করবেন,এ ফজিলত অর্জিত হবে না।

হাদীস শরীফে দিনের শুরুতে সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করার ফজিলত বর্ণিত হয়েছে কেউ যদি দিনের শুরুতে তেলাওয়াত না করে বরং দুপুরবেলা তেলাওয়াত করে বা আসরের পর তেলাওয়াত করে,সেক্ষেত্রে হাদীসের ভাষ্যমতে সে ব্যক্তি উক্ত ফজিলত পাবে না।

যদি এমন হয় যে সকাল বেলা তেলাওয়াত করা সম্ভব হয়নি তো দুপুর বেলা তেলাওয়াত করেছে,বা আসর পর তিলাওয়াত করেছে, সেক্ষেত্রে বাকি দিন অর্থাৎ সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত সেই সুখে স্বস্তিতে থাকবে।কিন্তু পুরো দিন আল্লাহ রব্বুল আলামিন তার হাজত পূর্ণ করবেন উক্ত ফজিলত অর্জিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 119 views
...