আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
25 views
ago in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
আসসালামুআলাইকুম , আমি দীর্ঘদিন ধরে প্রচুর পরিমাণে ওয়াসওয়াসা তে আক্রান্ত। প্রায় 10-11বছর যাবত । ট্রিটমেন্ট নিয়েছি সেলফ রুকীয়া করি যতটুকু সম্ভব। পবিত্রতা নিয়ে খুব বেশি প্রবলেম হয় সাথে গ্যাসের প্রবলেম বিশেষ করে নামাজের সময়। মাঝে মাঝে ধৈর্য হারিয়ে ফেলি। আল্লাহ ইসলাম নিয়ে উল্টা পাল্টা চিন্তা আসে । মাঝে মাঝে ধৈর্য হারিয়ে আল্লাহ অথবা নামাজ কে গালিগালাজ করে ফেলি সশব্দে অথবা নিঃশব্দে ।এজন্য কি আমার ঈমান চলে যাবে।আমি আই ফতওয়া তে দেখেছিলাম ওয়াসওয়াসা ব্যক্তির জন্য এরকম ক্ষেত্রে ঈমান চলে যাবে না তাও সন্দেহ হচ্ছে সেজন্য জিজ্ঞেস করা । বিয়ে ভেঙে যাবে কিনা । উস্তাদ আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে সুস্থ থাকতে পারি মাঝে মাঝে সুইসাইডাল চিন্তা আসে আল্লাহ মাফ করুন
2.মহিলারা নামাজে কিছুটা শব্ধ করে তিলাওয়াত করতে পারবে কিনা নিঃশব্দে করলে দেখা প্রপার মাখরাজ থেকে আসেনা

1 Answer

0 votes
ago by (63,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

জবাব,

প্রশ্নেল্লিখিত কোন অবস্থাতেই শিরক হয়নি। বরং এসব কিছু ওয়াসওয়াসার কারণে আপনার অন্তরের মধ্যে অস্থিরতা বা সন্দেহ তৈরী করছে। ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।

 বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে।

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন।

https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa    

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

১. খালেস অন্তরে তাওবা করতে হবে। ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য উপরে উল্লেখিত কোর্সটি করতে পারেন ইশাআল্লাহ। কারণ, ওয়াসওয়াসা আসে শয়তানের পক্ষ থেকে। সে চায় মানুষকে পেরেশান ও অস্থির করে রাখতে যাতে সে আল্লাহ তায়ালার ইবাদতে মাশগুল থাকতে না পারে। বিধায় এমন পরিস্থিতিতে আপনি হতাশ হবেন না। দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা যেন আপনাকে পরিপূর্ণ সুস্থ করে দেন। 

২. মহিলারা সব নামাজেই এতটুকু আওয়াজে কিরাআত পড়বে,যাতে আওয়াজ নিজ কান পর্যন্ত পৌছতে পারে। মহিলারা সব নামাজেই আস্তে কেরাত পড়বে। তারা জন্য জোড়ে আওয়াজে কিরাআত পড়া নিষেধ। কেহ যদি পড়ে,আর তার আওয়াজ গায়রে মাহরাম পুরুষ পর্যন্ত পৌছে,তাহলে সে গুনাহগার হবে। তবে তারা নামাজ আদায় হয়ে যাবে। কোনো সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবেনা। (ফাতাওয়ায়ে শামী ১/৫০৪)

বিস্তারিত জানুনঃ- https://ifatwa.info/8645


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...