ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
জবাব,
প্রশ্নেল্লিখিত কোন
অবস্থাতেই শিরক হয়নি। বরং এসব কিছু ওয়াসওয়াসার
কারণে আপনার অন্তরের মধ্যে অস্থিরতা বা সন্দেহ তৈরী করছে। ওয়াসওয়াসা
হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে
আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত
রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়। কিন্তু এই
রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে
মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে
এটি বাড়তে থাকে।
আমরা আমাদের বিগত
সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা
মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত
হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির
খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি
ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন। যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও
খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে
ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার
কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না এবং আমরা আশা
করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ
সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা
অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের
ব্যবস্থা থাকবে।
আল্লাহ আমাদের সমস্ত
শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন।
https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১. খালেস অন্তরে তাওবা করতে হবে। ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্তি
পাওয়ার জন্য উপরে উল্লেখিত কোর্সটি করতে পারেন ইশাআল্লাহ। কারণ, ওয়াসওয়াসা আসে শয়তানের পক্ষ থেকে। সে চায় মানুষকে
পেরেশান ও অস্থির করে রাখতে যাতে সে আল্লাহ তায়ালার ইবাদতে মাশগুল থাকতে না পারে।
বিধায় এমন পরিস্থিতিতে আপনি হতাশ হবেন না। দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা যেন আপনাকে পরিপূর্ণ সুস্থ করে দেন।
২. মহিলারা সব নামাজেই এতটুকু আওয়াজে কিরাআত পড়বে,যাতে আওয়াজ নিজ কান পর্যন্ত পৌছতে পারে। মহিলারা সব নামাজেই আস্তে
কেরাত পড়বে। তারা জন্য জোড়ে আওয়াজে কিরাআত পড়া নিষেধ।
কেহ যদি পড়ে,আর তার আওয়াজ গায়রে মাহরাম পুরুষ পর্যন্ত পৌছে,তাহলে সে গুনাহগার হবে।
তবে তারা নামাজ আদায় হয়ে যাবে। কোনো সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব
হবেনা। (ফাতাওয়ায়ে শামী ১/৫০৪)
বিস্তারিত জানুনঃ- https://ifatwa.info/8645