আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম।  দয়া করে সময় নিয়ে পড়বেন।

আমি বাংলাদেশি বংশগত এক বাঙালীর হয়ে ঘরে বসে অনলাইনে জব করতাম। চাকরির শুরুতে তিনি আমাকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেয়ার কথা বলেছিলেন। যেমন: আমার কাজ কমানোর জন্য একটা এসিসটেন্ট রাখবেন,....।  কিন্তু জয়েন করার পর উনি আমাকে সমস্ত কাজ একা  করার জন্য চাপিয়ে দেয়। আমি ১ম মাসে ম্যানেজারর সাথে আমার ডেইলি কাজ শেয়ার করতাম, আর কি কি কাজ করা লাগবে জিজ্ঞেস করতাম। কিন্তু মাস শেষে বস আমাকে বকাঝকা করে। আমি নাকি কিছুই করিনি সারামাসে।  আর আমার ৮ দিনের বেতন কাটে। তারপর ম্যানেজার আমাকে তার অধীনে কাজ করতে বলে।

তখন বস আমাকে কিছু কিছু ট্যাকটিকাল কাজ দিত, না পারলে চাকরিতে না রাখার হুমকি দিত।
এমন করে আমি কাজ করতে থাকি। কিন্তু বেতনের সময় আসলে অনেক টালবাহানা করত, অনেক পরে বেতন দিত। অফার লেটার অনুসারে আমি ৩ মাস খন্ডখালীন কাজ করার পরে স্থায়ী কর্মী হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রায় প্রতিমাসে আমাকে এটাই শেষ মাস এইভাবে বলে হুমকি/ভয় দেখাত।
আমার রোজার ঈদের বোনাস দেয়ার কথা ছিল। ঈদের দিন ও আমি ২ ঘন্টা কাজ করেছি। কিন্তু বোনাস পাইনি। রোজার ঈদের পর উনি আমাকে বলল কুরবানির ঈদের বোনাস অবশ্যই দিবে। ঈদের সময় আসলে যথাক্রমে ৭,৫,৩,২, ঈদের নামাজের পরেও টাকা দিবে বলেছিল। নামাজের পর ফোন দিলে ফোন আর ধরেনি। এইভাবে কুরবানির বোনাসও দেয়নি।

এইভাবে আমি  ৮ মাস চাকরি করি। শেষের ২/৩ মাসে বসের ব্যবহার এতই খারাপ ছিল যে আমি সহ্য করতে পারছিলাম না। কিন্তু একসময় মাসের মাঝামাঝি সময় উনি আমার সাথে অতিরিক্ত খারাপ ব্যবহার করে, তখন আমি চাকরি ছেড়ে দিব বলে পরিষ্কার জানিয়ে দি এবং আমার বিগত  অর্ধেক  মাসের কাজের টাকা চাই। তখন অনেক গালাগালি মাস শেষে দিবে বলে।

মাস শেষে ম্যাসেজ দিলে উনি আমার রিপ্লাই না দিলে আমি ফোন দিতে থাকি। তখন এত ফোন দেয়ার কারণে বিরক্ত হয়ে আমার মাকে ধরে গালাগালি করে।
এরপর অনেক দিন টাকা দিবে দিবে বলে ঘুরানোর পর একদিন আমি গত মাসে কি কি কাজ করেছি তার হিসেব চায় এবং সব ডকুমেন্টস বুঝিয়ে দিতে বলে। আমি যা যা বলেছে সব করার পর উনি একটু পর টাকা দিবে বলে ২দিন আমাকে আবার ঘুরায়। তারপর আবার একজন কর্মচারীকে আমার কাজের হিসেব দিতে বলে। হিসেব দেয়ার পর টাকা চাইলে কোন রেসপন্স পাওয়া যায়নি। তখন আমি ফোন করি, ম্যাসেজ দিই। কোন রিপ্লাই পাওয়া যায়নি কারো থেকে। এরপর দেখি আমাকে সব জায়গা থাকে ব্লক করে দিছে।

 উনার ফেইসবুক পেইজে আমাকে  চাকরির শুরুতে এক্সেস দেয়া ছিল। তাই উনি বারবার আমাকে রিমুভ করার জন্য  ফেইসবুকে রিকোয়েস্ট দেয়। আমি যেহেতু প্রাপ্য টাকা পাইনি তাই আমি রিকোয়েস্ট কেটে দিই।

পরে উনার ম্যানাজার ও চাকরি ছেড়ে দেই। উনি বাংলাদেশি টাকায় কাজের কমিশন ও বেতন সহ ১৫ লক্ষ টাকা পেত। কিন্তু উনাকে তা দিবে বলে ঝুলিয়ে রেখেছে।

পরে ম্যানেজারের সাথে আমার কথা হয়। ম্যানাজার আমাকে বলে - আমর যেহেতু বসের ফেইসবুক পেইজে এক্সস ছিল তাই আমি যেন বসের মার্কেটিং এর ডাটা ম্যানেজারের সাথে শেয়ার করি খুবই অল্প টাকার বিনিময়ে। এতে আমার ও কিছু টাকা আসবে আর  ম্যানাজারের ও কিছু টাকা আসবে। আমি এতে রাজি হয়। ধিরে ধিরে টাকা আসতে থাকে।

----- এখন আমার প্রশ্ন হল আমি কি এইভাবে টাকা যতদিন ইচ্ছে নিতে পারব নাকি আমার পাওনা আদায় হয়ে গেলে ম্যানেজারকে ডাটা শেয়ার করা বন্ধ করে দিব।

1 Answer

0 votes
by (606,750 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যদি কারো নিকট পাওনা থাকে। এবং সে দিতে গড়িমসি করে। তাহলে তার অগোচরে তার মাল থেকে সেই পরিমাণ গ্রহণ করা জায়েয। তবে অতিরিক্ত নেয়া কখনো জায়েয হবে না। এবং আইনের দিক দিয়ে যেটা চুরি সেই পদ্ধতি থেকে বেঁচে থাকা অবশ্যই উচিৎ।


مأخَذُ الفَتوی
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (4/ 95):
"وأطلق الشافعي أخذ خلاف الجنس للمجانسة في المالية. قال في المجتبى وهو أوسع فيعمل به عند الضرورة.
(قوله: وأطلق الشافعي أخذ خلاف الجنس) أي من النقود أو العروض؛ لأن النقود يجوز أخذها عندنا على ما قررناه آنفاً. قال القهستاني: وفيه إيماء إلى أن له أن يأخذ من خلاف جنسه عند المجانسة في المالية، وهذا أوسع، فيجوز الأخذ به وإن لم يكن مذهبنا، فإن الإنسان يعذر في العمل به عند الضرورة، كما في الزاهدي. اهـ. قلت: وهذا ما قالوا: إنه لا مستند له، لكن رأيت في شرح نظم الكنز للمقدسي من كتاب الحجر. قال: ونقل جد والدي لأمه الجمال الأشقر في شرحه للقدوري: أن عدم جواز الأخذ من خلاف الجنس كان في زمانهم لمطاوعتهم في الحقوق، والفتوى اليوم على جواز الأخذ عند القدرة من أي مال كان، لا سيما في ديارنا لمداومتهم للعقوق:
عفاء على هذا الزمان فإنه ... زمان عقوق لا زمان حقوق
وكل رفيق فيه غير مرافق ... وكل صديق فيه غير صدوق".                                  فقط واللہ اعلم


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি আর ম্যনাজার আপনাদের পাওনা অনুযায়ী ডাটা শেয়ার করতে পারবেন। যখন আপনার পাওনা উসূল হয়ে যাবে।তারপর অতিরিক্ত কিছু নিতে পারবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...