বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
إلي أن قال ...............وإن كانت غير مرئية يغسلها ثلاث مرات. كذا في المحيط ويشترط العصر في كل مرة فيما ينعصر ويبالغ في المرة الثالثة حتى لو عصر بعده لا يسيل منه الماء
(অতঃপর এক পর্যায়ে বলা হয়)
নজাসত যদি অদৃশ্যমান হয় তাহলে তিনবার দৌত করতে হবে।(মুহিত)প্রতিবার দৌত করার সময় কাপড় ইদ্যাদি নিংড়ানো শর্ত।বিশেষ করে তৃতীয়বার এমনভাবে নিংড়াতে হবে যে, এরপর যদি কেউ আবার নিংড়াতে চায় তাহলে এত্থেকে পানি ঝড়ানো যাবে না।(ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/৪১-৪২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/12596
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) যে কোনো বয়সের বাচ্চার প্রস্রাব বা পায়খানা গায়ে বা কাপড়ে লাগলে, সেই কাপড়ে নামাজ পড়া যাবে না।কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে, তবে অনুত্তম বা আদাবের খেলাফ হিসেবে বিবেচিত হবে।
২। নিফাস হলে সেই মহিলা যা ধরবে, যেখানে থাকবে(যেমন চেয়ার, বেডসীট, কম্বল, লেপ, ঐ ঘরের পর্দা), যে কাপড় পরবে, সবই নাপাক হবে এমন কোনো মাসআলা নেই। হ্যা, নেফাসের রক্ত যেখানে লাগবে, তা যদি এক দিরহাম বা তার বেশী হয়, তাহলে সেই শরীর বা কাপড় নাপাক হিসেবে বিবেচিত হবে।
(৩) কম্বলে নিফাসের রক্ত লাগলেও লাগতে পারে এমন সন্দেহে সেই কম্বলকে নাপাক বিবেচনা করা যাবে না। সুতরাং আপনার হাজবেন্ড ঐ কম্বলের উপর ঘুমাতে পারবে। এতে তার পরিধানকৃত কাপড় নাপাক হবে না।
(৪) ৪০দিনের পরও হালকা লালচে স্রাব গেলে, ৪০দিনের দিন ফরজ গোসল করে ঐ লালচে স্রাব নিয়েও নামাজ/কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে। এক্ষেত্রে প্রতি ওয়াক্তের জন্য একবার অজু করে নিতে হবে।
(৫) ২৮ জানুয়ারি আপনার ৪০ দিন হবে। হাযেয নেফাসের ক্ষেত্রে ২৪ ঘন্টায় ১ দিন বিবেচনা করা হবে।