আসসালামু আলাইকুম
বিবরণ :
হিসেব করে দেখলাম কোনো একটা বিষয়ের/কাজের জন্য আমি ১১ মাস ৯ দিন সময় পেয়েছি (যদিও এখন পূর্এন হয়নি ২ বা ২.৫ দিন আছে)বং নিজের সর্বোচ্চ পরিশ্রম দেবার পরিকল্পনা করি কিন্তু কেন জানি আমি পারিনি। আমি এজন্য অনুতপ্ত।
আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি,কিন্তু এখন কাজটি সম্পাদনে আমার অপরাগতা আল্লাহর কাছে প্রকাশ করেছি। ২.৫ দিন চেষ্টা করলাম ধরুন। আমি অবশ্যই দোয়ার মধ্যে আছি এবং আশা করি আল্লাহ অবশ্যই দোয়া কবুল করবেন,ইন শা আল্লাহ।
আজকে হঠ্যাত ফজরের নামাজের পর মনে হলো আল্লাহ যদি আমার দোয়া কবুল করেন মানে কাজ টাতে সফলতা আসে এখন আমি তো আমার সময় কে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছি, তো যদি ব্যর্থ না হতাম ধরলাম দৈনিক ওই কাজের জন্য আমি ১৭ ঘন্টা পরিশ্রম করতাম। তাহলে আমার মোট হয় ৫৮৬৫ ঘন্টা। তো আমি ভাবলাম যেহেতু আমি প্রাপ্ত সময় যথাযথ ব্যবহার করিনি, এখন অতীতে গিয়ে করাও সম্ভব নয় তাই নিয়ত করলাম যে আমি এই ৫৮৬৫ ঘন্টা আমি দ্বীনি ইলম অর্জনে ব্যয় করবো ইন শা আল্লাহ যত দিনে পারি ততদিনে। আমরা তো নামাজের কাজা আদায় করি তাহলে আমি এই সময়ের কাজা এইভাবে আদায় করবো।
কিন্তু আমার নিয়ত এমন ছিলো না যে দোয়া কবুল করলে এই শর্তে। প্রশ্ন করার কারণ আমি পরেছিলাম যে আল্লাহকে এভাবে শর্তে ফেলা অনুত্তম আর আমি অনুত্তম কাজ করতে চাইনা এ ব্যাপারে।
কিন্তু কথার ধরন শর্ত শর্ত লাগছে যদিওবা আমি কাজা হিসেবে ভাবছি যে, ওই কাজে এই পরিমান পরিশ্রম যেহেতু দিতে পারিনি এখন আল্লাহ কবুল করলে কাজা হিসেবে ওই পরিমান সময় সময় দ্বীনি ইলম অর্জনে দিব।
*উল্লেখ্য সব টাই মনে মনে বলেছি/পরিকল্পনা করেছি।
যেহেতু দ্বিধায় পরলাম যে আল্লাহকে শর্তে ফেলে দেয়ার মতো কাজ করলাম কিনা তাই এর পর আবার মনে বলেছি যে যদি এই কাজ উত্তম না হয় তাহলে এভাবে করবেেনা ইত্যাদি।
প্রশ্ন :এটা কি শর্ত হয়ে গেল? এভাবে বলা কি উচিত হলো?
এভাবে কাজা বা এমন নিয়ত করা যাবে?