আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)

আসসালামু আলাইকুম 


বিবরণ : 

হিসেব করে দেখলাম কোনো একটা বিষয়ের/কাজের জন্য  আমি ১১ মাস ৯ দিন সময় পেয়েছি (যদিও এখন পূর্এন হয়নি ২ বা ২.৫ দিন আছে)বং নিজের সর্বোচ্চ পরিশ্রম দেবার পরিকল্পনা করি কিন্তু কেন জানি আমি পারিনি। আমি এজন্য অনুতপ্ত।

 আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি,কিন্তু এখন কাজটি সম্পাদনে আমার অপরাগতা আল্লাহর কাছে প্রকাশ করেছি। ২.৫ দিন চেষ্টা করলাম ধরুন। আমি অবশ্যই দোয়ার মধ্যে আছি এবং আশা করি আল্লাহ অবশ্যই দোয়া কবুল করবেন,ইন শা আল্লাহ।  

আজকে হঠ্যাত ফজরের নামাজের পর মনে হলো আল্লাহ যদি আমার দোয়া কবুল করেন মানে কাজ টাতে সফলতা আসে এখন আমি তো আমার সময় কে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছি, তো যদি ব্যর্থ না হতাম ধরলাম দৈনিক ওই কাজের জন্য আমি ১৭ ঘন্টা পরিশ্রম করতাম। তাহলে আমার মোট হয় ৫৮৬৫ ঘন্টা। তো আমি ভাবলাম যেহেতু আমি প্রাপ্ত সময় যথাযথ ব্যবহার করিনি, এখন অতীতে গিয়ে করাও সম্ভব নয় তাই নিয়ত করলাম যে আমি এই ৫৮৬৫ ঘন্টা আমি দ্বীনি ইলম অর্জনে ব্যয় করবো ইন শা আল্লাহ যত দিনে পারি ততদিনে। আমরা তো নামাজের কাজা আদায় করি তাহলে আমি এই সময়ের কাজা এইভাবে আদায় করবো।

কিন্তু আমার নিয়ত এমন ছিলো না যে দোয়া কবুল করলে এই শর্তে। প্রশ্ন করার কারণ আমি পরেছিলাম যে আল্লাহকে এভাবে শর্তে ফেলা অনুত্তম আর আমি অনুত্তম কাজ করতে চাইনা এ ব্যাপারে। 

কিন্তু কথার ধরন শর্ত শর্ত লাগছে যদিওবা আমি কাজা হিসেবে ভাবছি যে, ওই কাজে এই পরিমান পরিশ্রম যেহেতু দিতে পারিনি এখন আল্লাহ কবুল করলে কাজা হিসেবে ওই পরিমান সময় সময় দ্বীনি ইলম অর্জনে দিব। 

*উল্লেখ্য সব টাই মনে মনে বলেছি/পরিকল্পনা করেছি।

 

যেহেতু দ্বিধায় পরলাম যে আল্লাহকে শর্তে ফেলে দেয়ার মতো কাজ করলাম কিনা তাই এর পর আবার মনে বলেছি যে যদি এই কাজ উত্তম না হয় তাহলে এভাবে করবেেনা ইত্যাদি। 

প্রশ্ন :এটা কি শর্ত হয়ে গেল? এভাবে বলা কি উচিত হলো? 

এভাবে কাজা বা এমন নিয়ত করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (606,150 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে এ হাদীসটিও বর্ণিত।
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا دَعَا أَحَدُكُمْ فَلَا يقُلْ: اللهُمَّ اغفِرْ لي إِنْ شِئتَ ارْحمْني إِنْ شِئْتَ ارْزُقْنِي إِنْ شِئْتَ وَلِيَعْزِمْ مَسْأَلَتَهُ إِنَّه يفعلُ مَا يَشَاء وَلَا مكره لَهُ . رَوَاهُ البُخَارِيّ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন আল্লাহর কাছে দু’আ করার সময় এ কথা না বলে যে, হে আল্লাহ! তোমার ইচ্ছা হলে আমাকে ক্ষমা করে দাও। তুমি যদি ইচ্ছা কর আমার প্রতি দয়া করো। তুমি যদি ইচ্ছা কর আমাকে রিযক দান করো। বরং সে দৃঢ়তার সাথে দু’আ করবে (চাইবে)। তিনি যা ইচ্ছা তা-ই প্রদান করেন। তাঁকে দিয়ে জোরপূর্বক কোন কিছু করাতে সক্ষম নয় বা তাকে বাধা দেয়ার কেউ নেই। (মিশকাত-২২২৫,সহীহ বুখারী ৭৪৭৭, আবূ দাঊদ ১৪৮৩, তিরমিযী ৩৪৯৭, ইবনু মাজাহ ৩৮৫৪, মুয়াত্ত্বা মালিক ৭২২, ইবনু আবী শায়বাহ্ ২৯১৬৩, আহমাদ ৮২৩৭, মু‘জামুস্ সগীর লিত্ব ত্ববারানী ১৭০, সহীহ ইবনু হিব্বান ৯৭৭, সহীহ আল জামি‘ ৭৭৬৩)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জ্বী, শর্ত উল্লেখপূর্বক আল্লাহর কাছে দু'আ করা কখনো উচিৎ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (0 points)
উত্তর টা বিস্তারিত পেলে ভালো হতো।শর্ত অনুত্তম। 
কিন্তু আমার ৫৮৬৫ ঘন্টা ব্যায়ের পরিকল্পনা বা নিয়ত শর্তের উদ্দেশ্য নিয়ে করিনি,বরং নিজের করা ভুল,অর্থাৎ সময়ের যে নিয়ামত আমাকে দেয়া হয়েছিল তার যথাযথ ব্যবহার করতে ব্যর্থ হওয়ায় কাফফারা /কাজা হিসেবে,করবো

যদি কাজ টা হয়। 



তাও এটা শর্ত? এটাতে তো শর্তের উদ্দেশ্য আমার ছিল না?
by (0 points)
অনুগ্রহ করে উত্তর দিন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...