মুমিন চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো ওয়াদা রক্ষা করা। ওয়াদা রক্ষা করা পবিত্র কোরআনের নির্দেশ। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমার সঙ্গে করা ওয়াদা তোমরা পূর্ণ কর। আমিও তোমাদের সঙ্গে করা ওয়াদা পূর্ণ করব। আর আমাকেই ভয় কর।’ (সূরা বাকারা : ৪০)।
অন্যত্র আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহ এবং পরস্পরের সঙ্গে করা ওয়াদা পূর্ণ কর। আর আল্লাহকে সাক্ষী রেখে কৃত ওয়াদা ভঙ্গ কর না।’ (সূরা নাহল : ৯১)।
নবী-রসুলরা ছিলেন ওয়াদা রক্ষাকারী সত্যনিষ্ঠ মহামানব। হজরত ইসমাইল (আ.) সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘এ কিতাবে স্মরণ কর ইসমাইলের কথা। সে ছিল ওয়াদা রক্ষাকারী সত্যনিষ্ঠ নবী এবং রসুল।’ (সূরা মারয়াম : ৫৪)।
হাদীস শরীফে এসেছে
عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه و سلم قال : ( آية المنافق ثلاث إذا حدث كذب وإذا وعد أخلف وإذا اؤتمن خان
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুনাফিকের নিদর্শন তিনটি। যথা- যখন সে কথা বলে তখন মিথ্যা বলে, আর যখন ওয়াদা করে তখন তা পূর্ণ করে না, আর যখন তার কাছে আমানত রাখা হয়, তখন সে তা আত্মসাৎ করে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২৫৩৬, ৩৩, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১০৭}
আরো জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
শুধু নিয়ত করার দ্বারা রোজা আবশ্যক হয়ে যায় না।
সুতরাং প্রশ্ন উল্লেখিত ছুরতে আপনার উপর রোজা আবশ্যক নয়।
হ্যাঁ যদি পূর্ব হতেই আপনার ওপর কাজা রোজা আবশ্যক হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে আপনি সে কাজা রোজা গুলি আদায় করতে পারেন।
প্রশ্ন উল্লেখিত শুরুতে নিয়ত করা সত্ত্বেও রবিবার ফরজ রোজা না রাখার কারণে আপনার উপর কোন কাফফারা আবশ্যক হবে না।
(০২)
কথার ওয়াদা ভঙ্গের কারণে কোন কাফফারা আবশ্যক হয় না,এক্ষেত্রে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে আপনি তওবা করে নিবেন।
তবে আপনি যদি কোন ব্যাক্তির নিকট ওয়াদা করে সে ওয়াদা ভঙ্গ করেন, সেক্ষেত্রে আল্লাহর কাছে তওবার পাশাপাশি সেই ব্যাক্তির কাছেও আপনি ক্ষমা চেয়ে নিবেন।