আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
19 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)

আসসালামু আলাইকুম, 

আমাদের বাড়িতে ঘরের পাশে আরেক পরিবারের একটু জমি আছে যেটা তিন দিক দিয়ে আমাদের জমি দিয়ে ঘেরা। তাই তারা এই জমি আমাদের কাছে বিক্রি করতে চাচ্ছে। আমরাও চাই এটা কিনে নিতে। কিন্তু পারিবারিক অবস্থা এতোও ভালো না যে একেবারে প্রায় ২ লক্ষ টাকা দিয়ে এই জমি ক্রয় করবো। আমার আব্বা চাচ্ছেন মাঠের জমিটুকু বন্ধক রেখে আংশিক টাকা ব্যবস্থা করতে। আমি তাতে রাজি হইনি। এদিকে আমিও বাবাকে টাকা দিয়ে সাপোর্ট করতে পারছি না, কারণ আমি এখনো সচ্ছল না। কিন্তু জমি বন্ধক নিয়ে ঐ লোক নাকি চাষ করে খাবে। 

  • এটা কী জায়েজ হবে? 
  • আমাদের কী এভাবে টাকা নেওয়া জায়েজ হবে?
  • এছাড়া আমরা কী এই জমি ক্রয় করার জন্য ব্যাংক বা কোনো ঋণসংস্থা থেকে ঋণ নিতে পারবো?[ আমরা তিন ভাই, কেউই এখনো সচ্ছল না।] 

1 Answer

0 votes
by (580,980 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

বন্ধক রাখা হয় ঋণ আদায়ের নিশ্চয়তাস্বরূপ। এতে ঋণদাতা নিশ্চিত থাকেন যে ঋণ আদায় না করলেও বন্ধককৃত বস্তু থেকে আদায় করে নেওয়া যাবে। 

পবিত্র কোরআনেও এর নির্দেশ রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আর যদি তোমরা সফরে থাকো এবং কোনো লেখক না পাও, তাহলে হস্তান্তরিত বন্ধক রাখবে। আর যদি তোমরা একে অপরকে বিশ্বস্ত মনে করো, তবে যাকে বিশ্বস্ত মনে করা হয়, সে যেন স্বীয় আমানত আদায় করে এবং নিজ রব আল্লাহকে ভয় করে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৮৩)
,
বন্ধককৃত বস্তু বন্ধকগ্রহীতার কাছে আমানতস্বরূপ। 

★বন্ধকি জমি থেকে বন্ধকগ্রহীতার কোনো ফায়দা হাসিল করা নাজায়েজ ও হারাম। এমনকি বন্ধকদাতা এর অনুমতি দিলেও পারবে না। কারণ বন্ধকি জমি থেকে বন্ধকগ্রহীতা কোনো ধরনের ফায়দা উপভোগ করা সুদের অন্তর্ভুক্ত, যা হারাম। (বাদায়েউস সানায়ে : ৬/১৪৬)

ইবনে সিরিন (রহ.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক লোক সাহাবি ইবনে মাসউদ (রা.)-এর কাছে জিজ্ঞেস করল, এক ব্যক্তি আমার কাছে একটি ঘোড়া বন্ধক রেখেছে, তা আমি আরোহণের কাজে ব্যবহার করেছি। ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, তুমি আরোহণের মাধ্যমে এর থেকে যে উপকার লাভ করেছ তা সুদ হিসেবে গণ্য হবে। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস : ১৫০৭১)
,
বিখ্যাত তাবেয়ি ইমাম কাজি শুরাইহ (রহ.)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, সুদ পান করা কিভাবে হয়ে থাকে? তিনি বলেন, বন্ধকগ্রহীতা বন্ধকি গাভির দুধ পান করা সুদ পানের অন্তর্ভুক্ত। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস : ১৫০৬৯)
,
জমি বন্ধকের বৈধ পদ্ধতি সম্পর্কে জানুনঃ 

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত মাসয়ালা জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে জমি বন্ধক রাখা জায়েজ নয়। এক্ষেত্রে আপনারা যে টাকা নিবেন,সেটি তো হারাম হবেনা,তবে আপনাদের জমি হতে বন্ধকগ্রহীতা যে চাষ করবে,সেটি তার জন্য হারাম হবে।

এক্ষেত্রে উক্ত জমি ক্রয় করার জন্য ব্যাংক বা কোনো ঋণসংস্থা থেকে ঋণ নিতে পারবেননা।
হ্যাঁ কেহ সুদ বিহিন ঋণ দিতে চাইলে সেই ঋণ নিতে পারবেন।

সুদ বিহিন ঋণ এর ব্যবস্থা করা না গেলে সেক্ষেত্রে জমি বন্ধকের বৈধ পদ্ধতি যেটাকে মূলত ভাড়ার চুক্তি বলা হয়,সেভাবে চুক্তি করে আপনারা টাকা নিতে পারেন।

এ সংক্রান্ত জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...