আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
24 views
in সালাত(Prayer) by (63 points)
আসসালামু আলাইকুম,
১/আমি ৩ রাকাত বিতর পড়ার ক্ষেত্রে ২ রাকাত নামাজ পড়ার পর শুধু আত্যাহিয়াতু পড়ে  সাথে সাথে ৩য় রাকাআতের জন্য দাঁড়িয়ে যাই এরপর সূরা ফাতিহ ও অন্য সূরা মিলিয়ে পড়ে আল্লাহু আকবর বলি কিন্তু কাঁধ পর্যন্ত হাত উঠাই না আল্লাহু আকবার বলে মোনাজাতের মতো হাত করে দুয়া কুনুত পড়ি। এরপর রুকু সিজদা করি, আত্তাহিয়াতু,দরুদ, দোয়া মা সূরা পড়ে সালাম ফিরাই। আমার বিতরের নামাজ আদায় করার এই নিয়মটি কি ঠিক আছে?একজন বললো এভাবে বিতর আদায় করে জায়েজ নয় বা কোনো হাদিসে নেই। দয়া করে বিষয়টি জানাবেন।

২/ফরজ,সুন্নত,নফল যেকোনো নামাজের ক্ষেত্রে আত্তাহিয়াতু, দরুদ,দোয়ামা সূরার পর কি আমি কুরআন হাদিসে বর্ণিত দোয়া পড়ে তারপর সালাম ফিরাতে পারবো?যেমন আল্লাহুমা আ'ইন্নী যিকরিকা ওয়া শুকরিকা..,রব্বি ইন্নি লিমা আংজালতা ফাকির এরকম বিভিন্ন ধরনের দোয়া কি দো'আ মা সূরার পর পড়ার পর কি সালাম ফিরাতে পারবো নাকি এতে নামাজের কোনো সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (583,020 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরুতে আপনার বিতর নামাজ আদায় হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, উক্ত পদ্ধতিতে দোয়ায়ে কুনুত পড়া হানাফী মাযহাব মোতাবেক প্রাধান্য পাওয়া মত নয়।
হানাফী মাযহাব মোতাবেক প্রাধান্য পাওয়া মত হল বিতর নামাজে সুরা ফাতেহা এবং অন্য সূরা মিলানোর পর তাকবীর বলে দুই হাত বেধে দোয়ায়ে কুনুত পড়ে তারপর রুকুতে চলে যাওয়া।

(০২)
ফরজ সালাতের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ, দুরুদে ইব্রাহিম, দোয়া মাসুরা পড়ার পড় আরবীতে কুরআনে উল্লেখিত যেকোনো দোয়া পড়া যাবে।
এতে কোনো সমস্যা নেই।   
,
তবে মাসনুন দোয়া, কুরআন হাদীসের দোয়া,বা আরবীতে মাসনুন দোয়ার অনুরুপ দোয়া ব্যতিত কোনো দোয়া করা যাবেনা। কোনো দুনিয়াবি দোয়া করা যাবেনা। 
,
শরীয়তের বিধান হলো দুনিয়াবি দোয়া করলে নামাজ ভেঙে যায়।

দুনিয়াবি দোয়াঃ যেটা মানুষের কাছে থেকেও পাওয়া যায়,যেমন হে আল্লাহ আমাকে কাপড় দাও,বিবাহ দাও,এক লক্ষ টাকা দাও ইত্যাদি। 
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৪/১০৫)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন

إِنَّ هَذِهِ الصَّلَاةَ لَا يَصْلُحُ فِيهَا شَيْءٌ مِنْ كَلَامِ النَّاسِ، إِنَّمَا هُوَ التَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ وَقِرَاءَةُ الْقُرْآنِ»

নিশ্চয় এ নামায; এতে মানুষের মুখে প্রচলিত কথা বলা উচিত নয়। নিশ্চয় এটি তাসবীহ, তাকবীর এবং কুরআন তিলাওয়াতের স্থান। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৫৩৭] 

قال العلامۃ التہانوي تحتہ: دل الحدیث علی أنہ لا یجوز في الصلاۃ شيء من کلام الناس، فتفرع علیہ أن الدعاء أیضاً إذا کان یشبہ کلامہم لا یجوز، وہو قول أبي حنیفۃ وأصحابہ وطاؤس وإبراہیم النخعي۔ (کذا في فتح الباري ۲؍۲۶۶، إعلاء السنن ۳؍۱۷۲ رقم: ۸۹۳ دار الکتب العلمیۃ بیروت)
থানবি রহঃ বলেন উক্ত হাদীস দালালত করে যে নামাজের ভিতর দুনিয়াবি কথাবার্তা বলা জায়েজ নেই।সুতরাং দুনিয়াবি দোয়া যেটা মানুষের কথার সাথে সাদৃশ্য রাখে,সেটি বলাও জায়েজ নেই।    

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ফরজ,সুন্নত,নফল যেকোনো নামাজের ক্ষেত্রে আত্তাহিয়াতু, দরুদ,দোয়ায়ে মাসূরার পর  আপনি কুরআন হাদিসে বর্ণিত দোয়া পড়ে তারপর সালাম ফিরাতে পারবেন।
এতে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...