আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম উস্তায বেশ কয়েকদিন ধরে আমি কয়েকটা স্বপ্ন দেখতেছি যার মিনিং খুজে পাচ্ছি না -
১. আমি স্বপ্ন দেখি আনাদের বাসার পাশের জমিগুলোতে প্রচুর ধার হয়েছে।রিস্টোপুষ্ট আমন বা আউশ বা কালোগোরা ধান।সব ধান পেকেছে।আমি একটা জমির মালিককে বলে এক মুঠো ধান নিয়ে আসি আমাদের বাসার ছাদে লাগানোর জন্য। বাসায় এসে সে ধান গুলো 'কুলায় রেখে ঝারতে নিয়েছিলাম।একটু পরে দেখি সব ধান নিচে পরে গিয়েছে।মা ধান গুলো চিটা(ভীতরে বীজ নেই এমন ধান) দেখে খুব অবাক হই।
২. এরপর দেখি আমাদের বাসার পাশের জমিতে কুমড়ো গাছ লাগিয়েছে লোকেরা সেখানে এত্তো ফলন হয়েছে যে মনে হচ্ছে কোনো ফুলের বাগান।ফুল গুলো নরমাল ফুলের চেয়ে চারগুণ বড়ো এবং অনেক সুন্দর,। এরপর দেখি পাশের জমিতে আলু চাষ করেছে অসম্ভব ভালো ফলন হয়েছে।
৩. এরপর দেখি আমার পরীক্ষা সেখানে ম্যাম একটা পেপার এবং প্রশ্ন রেখেছেন।আমি বাসার কাজ সম্পন্ন করে তারাহুরো করে পরীক্ষা দিতে আসি,এবং পরীক্ষা কোনোরকম দিয়ে আসি।দেখি আমার ভাবি কেমন গোমড়া মুখ করে আছে,আমাকে ইগনোর করতেছে এমনটাইপ।
৪. সেদিন ঘুমানারো জন্য শুয়েছি কেবল আমল শেষ করে।তখন দেখি হয়ত কোনো ক্ষিপ্ত কুকুর দেখে ভয় পেয়ে লাফ দিয়ে উঠি।প্রচুর ভয় পেয়েছি আমি।
৫. আজকে স্বপ্ন দেখি হসপিটালের কেও একজন অসুস্থ হয়ে পড়েছে মারা যাবে হয়ত আমি তাকে প্রাণপনে হেল্প করছিলাম নার্সদের সাথে।
৬. স্বপ্ন দেখি দু'পক্ষ সংঘর্ষ হয়েছে।একপক্ষ আমায় নিয়ে গেছে যা করতে বলবে আমি যে তাই করি।খেলাটা ছিল এমন তারা পানির মধ্যে মুরগির লড়াই খেলবে যে আউট হবে তাকে মাইর দিয়ে বের করে দিতে হবে।একজনকে একটা মাইর দেই আস্তেই।এরপর আর মনে নেই স্বপ্নের মাঝেই ঘুমিয়ে যাই এবং উঠে দেকি খেলা শেষ।পরে ওখানের মেইন যিনি ুনাকে আস্ক করলে উনি বলেন যে খেলা শেষ আমরা হেরে গিয়েছি।
এরপর অপর পক্ষের মেইন যিনি তিনি আমাকে দোষারোপ করছেন,এবং রিপ্লাই এ আমি বলি আমি তো খেলার শুরু শেষ কিছুই জানতাম না।আমাকে কেন দোষ দিচ্ছেন অন্যায় ভাবে?

৭. একজন ছেলেকে একজন মেয়ে বিয়ে করতে চায়।এবং সে মরিয়া হয়ে গিয়েছে।আমাকে বলার পরে আমি বললাম আশা ছেড়ে দাও,শান্তিতে অন্য অপশন খুজো।সে বিয়ে করবে ১৬-২০ বছরের মধ্যের মেয়েকে এবং কো এডুকেশনের কাওকে বিয়ে করবে না।এরপর সে বলে তুই জানিস কেমনে.।এরপর বলে দিলাম ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে।
৮. স্বপ্ন দেখি আমি কাওকে ক্বুরআন এবং জায়নামাজ গিফট করেছি।এবং স্বপ্নেই ভাবতেছি এটার ব্যাখ্যা ifatwa তে জিজ্ঞেস করব।(একানে আরও দেখেছি মনে নেই)
৯. কোনো এক পাত্রের জন্য আমার আব্বুকে প্রপোজাল পাঠায়ছে শুনে আব্বু কেঁদে দিয়েছে। অনেক খুশি হয়েছে পাত্র তার নিজের মন মতো হয়েছে তাই।
এরপরই দেখি আমি একজায়গায় বসে আছি বাড়ির দরজার।সেখানে সুদর্শন প্রাক্টিসিং মুসলিম একজন পাত্র এসে বলে আপনি এই মেয়েটা না?(কিছু বিবরন দিয়ে)
কিছু না বলে আমি তাকায়ে ছিলাম।এরপর বলে চলেন এক্ষুনি বিয়ে করবো।সে বিয়ের দুয়া শুরু করেছে আমি বলি আমার ভাইয়া আব্বু আছেন।এরপর স্বপ্ন ভেঙে যায়

১০. স্বপ্নে দেখি আমার ভাইয়ার কাছে নতুন মডেলের কয়েন ৫ টার।কয়েনগুলো টাইপ অব পাকিস্তানি কয়েনের মতো কিন্তু একদম নতুন মডেল।এগুলো নাকি বাংলাদেশে নতুন টাকা বের করেছে। ভাইয়াই প্রথম পেয়েছে এমনটা বললো

১১. ২-৩ দিন আগে দেখি আমি চিতই পিঠা বানিয়েছি আমি আর আমার বোনের মেয়ে সঙ্গে গুলো খাচ্ছি। এরপর দেখি আমার দুলাভাই আসছে অফিস থেকে তাকেও খেতে দিয়েছি

1 Answer

0 votes
by (62,790 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাবঃ-

https://ifatwa.info/109179/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইসলামের দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার:-

১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।

তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।

ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়।

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الرُّؤْيَا الْحَسَنَةُ مِنَ الرَّجُلِ الصَّالِحِ جُزْءٌ مِنْ سِتَّةٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ ".

আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নেককার লোকের ভাল স্বপ্ন নবুয়তের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ। (বুখারী শরীফ ৬৫১২)

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى ـ هُوَ ابْنُ سَعِيدٍ ـ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الرُّؤْيَا مِنَ اللَّهِ، وَالْحُلْمُ مِنَ الشَّيْطَانِ ".

আহমাদ ইবনু ইউনুস (রহঃ) ... আবূ কাতাদা (রাঃ) সূত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়ে থাকে আর অশুভ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। (৬৫১৩)

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ رُؤْيَا يُحِبُّهَا فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ اللَّهِ، فَلْيَحْمَدِ اللَّهَ عَلَيْهَا، وَلْيُحَدِّثْ بِهَا، وَإِذَا رَأَى غَيْرَ ذَلِكَ مِمَّا يَكْرَهُ، فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَلْيَسْتَعِذْ مِنْ شَرِّهَا، وَلاَ يَذْكُرْهَا لأَحَدٍ، فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّهُ ".

আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন, যখন তোমাদের কেউ এমন স্বপ্ন দেখে, যা সে পছন্দ করে, তাহলে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এর উপর আল্লাহর প্রশংসা করে এবং অন্যের কাছে তা বর্ণনা করে। আর যদি এর বিপরীত অপছন্দনীয় কিছু দেখে, তাহলে তা শয়তানের পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এর অনিষ্টতা থেকে আল্লাহর আশ্রয় চায়। আর কারো কাছে যেন তা বর্ণনা না করে। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি সাধন করবে না। (বুখারী শরীফ ৬৫১৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার অধিকাংশ স্বপ্ন কল্পনা থেকে এসেছে। তবে স্বপ্নগুলোর মধ্যে যদি কোন কল্যাণ থাকে তাহলে আল্লাহর কাছে তা প্রাপ্তির জন্য দোয়া করবেন এবং উক্ত স্বপ্নগুলিতে কোন অনিষ্টতা থাকলে তা থেকে পানাহ চাইবেন। উক্ত স্বপ্নের বিষয়ে অহেতুক বিচলিত না হওয়া উচিত।

 সেই সাথে আপনার নেক আমল বাড়িয়ে দিতে হবে, দ্বীনদার নারীদের সাথে উঠাবসা করতে হবে, পবিত্র হালতে থাকতে হবে, অহংকার থেকে বেঁচে থাকতে হবে। বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত, যিকির আযকার, ফরজসহ নফল নামাজ পড়তে হবে। সাধ্যানুযায়ী দান ছদাকাহ করতে হবে। আরো জানুন :-  https://ifatwa.info/100414/?show=100414#q100414


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...