আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
100 views
in পবিত্রতা (Purity) by (3 points)
আসসালামু আ'লাইকুম। আমি অল্প কয়েকবছর হয় দ্বীনের পথে এসেছি। এরপরে বেশ কয়েকদিনে নানারকম ঘটনার মাধ্যমে বুঝতে পারি যে আমার বাবা সম্ভবত অবিশ্বাসী। উনার ধারনা একটা শক্তি এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করেছে, যার কোনো বুদ্ধি বা বিচারক্ষমতা নেই। উনাকে নানাভাবে বুঝিয়েও লাভ হয়না৷ মনে হয় ইচ্ছা করেই শুনতে বা বুঝতে চাননা।
উনার সাথে বাসায় থাকতে নানারকম সমস্যা হয়৷ যেমন পর্দা নিয়ে, জোর করে পর্দার বিরুদ্ধে নানারকম কাজ করাতে চান, ইসলাম নিয়ে হুজুরদের নিয়ে খোঁচামারা কথা বলেন৷ এজন্য আমার অনেক কষ্ট হয়, ইমান দূ্র্বল দেখে।
একটা স্পেসিফিক সমস্যা নিয়ে পোস্টটা করা। উনি পবিত্রতা নিয়েও সচেতন না৷ অনেক নোংরামি কাজ করেন। আমাদের টয়লেটে বদনা একটাই৷ ওটার হাতে ধরার জায়গাটাও সবসময় ভেজা থাকে৷ আমার বিশ্বাস হয়না উনাকে। বদনাটা যে পবিত্র, এটা আমি নিশ্চিত হতে পারিনা শুধু উনার জন্য। আরেকটা বদনা যে আলাদা রাখব এটা করা যায়, কিন্তু উনার অভ্যাস আছে অন্যের আলাদা জিনিস ভুল করে ব্যবহার করে ফেলার। এখন এই পরিস্থিতিতে কী করা উচিত? আমার মা আর বোন প্রতিবার বাথরুম থেকে এসেই সাবান দিয়ে হাত ধোয় বদনা ধরেছে দেখে। এভাবে প্রতিবার হাত ধোয়া কি অপচয়? প্রস্রাব করার পরে শুধু বদনা ধরার জন্য সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার দরকার আছে কি? পায়খানার পরে তো ধুই৷

1 Answer

0 votes
by (63,450 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাবঃ-

https://ifatwa.info/78690/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْعَلَاءِ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شَوْكَرِ بْنِ رَافِعٍ الطُّوسِيُّ ، نَا أَبُو إِسْحَاقَ الضَّرِيرُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ زَكَرِيَّا ، نَا ثَابِتُ بْنُ حَمَّادٍ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ ، قَالَ : أَتَى عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَنَا عَلَى بِئْرٍ أَدْلُو مَاءً فِي رِكْوَةٍ لِي ، فَقَالَ : يَا عَمَّارُ ، مَا تَصْنَعُ ؟ قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، بِأَبِي وَأُمِّي ، أَغْسِلُ ثَوْبِي مِنْ نُخَامَةٍ أَصَابَتْهُ . فَقَالَ " يَا عَمَّارُ ، إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ : مِنَ الْغَائِطِ ، وَالْبَوْلِ ، وَالْقَيْءِ ، وَالدَّمِ ، وَالْمَنِيِّ ، يَا عَمَّارُ ، مَا نُخَامَتُكَ وَدُمُوعُ عَيْنَيْكَ وَالْمَاءُ الَّذِي فِي رِكْوَتِكَ إِلَّا سَوَاءٌ "

আহমাদ ইবনে আলী ইবনুল 'আলা (রহঃ) ... আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন, তখন আমি একটি কূপ থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে আমার একটি পানির পাত্রে ভর্তি করছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আম্মার! তুমি কি করছো? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক। আমি আমার পরিধেয় বস্ত্রে লেগে যাওয়া শ্লেষ্মা পরিষ্কার করছি। তিনি বলেনঃ হে আম্মার! পাঁচটি জিনিস থেকে কাপড় ধৌত করা প্রয়োজনঃ বিষ্ঠা, পেশাব, বমি, রক্ত ও বীর্য। হে আম্মার! তোমার নাকের শ্লেষ্মা, তোমার উভয় চোখের অশ্রু এবং তোমার এই পানির পাত্রের পানি একই সমান (পাক-নাপাকীর হুকুমের ক্ষেত্রে)। (সুনানে দারা কুতনি ৪৫০)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

(০১) মগ, বালতি বা বদনা বা গ্লাস যেসকল জিনিস পানি রাখার পাত্র কিন্তু নাপাকি শোষন করতে পারে না। এগুলো পাক করার নিয়ম হলোঃ-একবার এমন ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে,যাতে মন নিশ্চিত হয়ে যায় যে নাপাকি ধুয়ে চলে গিয়েছে। আপনি যেভাবে জিনিস গুলি পবিত্র করছেন এর দরুন জিনিস গুলো পবিত্র হয়ে যাচ্ছে।

(০২) এভাবে ধৌত করতে হবেনা।

(০৩) আপনি পাক শরীরে গোসল করলে সেসব ছিটা নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা। আর নাপাক শরীরে গোসল করলে সেক্ষেত্রে গোসলের ছিটা পানি চলে না গেলে সেক্ষেত্রে সেই পানি গুলো ধুয়ে দিবেন।

(০৪) এক্ষেত্রে নামাজের আগে আবারো অযু করে নিলে ও পুনরায় আর পেশাব বের না হলে আপনার নামাজ হবে। পরামর্শ থাকবে, নামাজের আগে পেশাব না করার। আপনি নামাজের শেষে পেশাব করবেন,আর নামাজের জন্য আলাদা পাক কাপড় রাখবেন। সেই পাক কাপড় শুধুমাত্র নামাজেই পরিধা করে পরে চেঞ্জ করবেন।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সাধারণত বদনার উপরে যদি বাহ্যিক নাপাকি না থাকে তাহলে নাপাক হওয়ার কথা না। তবে আপনার যদি প্রবল ধারণা হয় যে, আপনার বাবা পাক নাপাকের খেয়াল না করায় বদলায় নাপাকি রাগতে পারে তাহলে সতর্কতামূলক তিনবার বদনাটি ধৌত করে নিতে পারেন। অতঃপর ব্যবহার করলে কোন সমস্যা হবে না। আর বদনাই যদি জীবানু থাকে অথবা কোন নাপাকী থাকে এমতাবস্থায় তা স্পর্শ করার পর টয়লেট থেকে বের হয়ে হাত ধৌত করে নিতে হবে। অন্যথায়  হাত ধৌত করার কোন প্রয়োজন নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (14 points)
আপনার থেকে জবাব চাই হুজুর

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...