আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
450 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (20 points)
ডলার সিস্টেম তো সুদের হারের কারণে ও উঠা নামা করে,তো এখন কথা হলো আমি যদি অনলাইনে হালাল ইনকাম করি ডলার সিস্টেমে তাহলে এটি কেন হালাল হবে,কারণ ডলার অনেক সময় উঠা নামা করে সুদের হারের কারণে, আর যদি কখনো ডলারের মান বেশী থাকে তাহলে আমি বেশী টাকা ও পেতে পারি আর এতে কি সেই সুদের হার ও কি যুক্ত নেই?কেন নেই!
আমি যদি 0.11doller এর কাজ করি তাহলে তা যদি আমি বাংলাদেশে ৮৩টাকা পায় তাহলে এতে কি সুদের হার নেই যে হারের কারণে doller উঠানামা নামা করে!
যদি না থাকে তাহলে কেন যুক্ত নেই সুদের হার যে হারের কারণে ডলার উঠানামা করে?
আমি আপনাদের হতে স্পষ্ট উত্তর চাই!
পরম দয়া ময় হতে আপনার উপর শান্তি ও করুণা বর্ষিত হোক।
by
আসসালামু আলাইকুম,,
হাদিসে বলা আছে ডলার কেনা বেচা উভয়ের হস্তগত হতে হবে বা যে কোন এক জনের হস্তগিত হতে হবে বাকি তে হলে হারাম কিন্তু যদি এমন হয় অনলাইনের মাধ্যমে তাকে ডলার দিলাম সে আমাকে আমার ব্যাংকে টাকা দিয়ে দিল তাহলে কি সেটা জায়েয হবে দয়া করে উত্তরটি জানাবেন ধন্যবাদ। 

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
প্রথমেই জানা প্রয়োজন সূদ (রিবা) কি? সূদ (রিবা) কাকে বলে? আরবী ‘রিবা’ শব্দের আভিধানিক অর্থ হ’ল বৃদ্ধি, অতিরিক্ত, প্রবৃদ্ধি ইত্যাদি। অবশ্য এর অর্থ এই নয় যে, ইসলামে সব ধরনের বৃদ্ধি বা প্রবৃদ্ধিকে হারাম বা নিষিদ্ধ গণ্য করা হয়েছে। 

শরী’আতে রিবা বলতে ঐ অর্থকে বোঝায়, যা ঋণের শর্ত হিসাবে মেয়াদ শেষে ঋণগ্রহীতা মূল অর্থসহ অতিরিক্ত অর্থ ঋণদাতাকে পরিশোধ করতে বাধ্য হয়।

ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহঃ বলেন, জাহেলী যুগে আরববাসী সকলেরই রিবা সম্বন্ধে জানা ছিল এবং তাদের মধ্যে এটি বহুল প্রচলিতও ছিল। সে যুগেও তারা প্রথাসিদ্ধভাবে ঋণ দিত এবং শর্ত অনুসারে তার উপর মাসে মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আদায় করত, কিন্তু আসলের পরিমাণ থাকত অপরিবর্তিত। যখন ঋণের মেয়াদ শেষ হ’ত এবং ঋণগ্রহীতা ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হ’ত তখন সূদ বাড়িয়ে দেওয়ার শর্তে পরিশোধের সময়ও বাড়িয়ে দেওয়া হ’ত {তাফসীরুল কাবীর}।

ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহ.) বলেন, পণ্য বা অর্থের বিনিময়ে প্রদেয় অতিরিক্ত পণ্য বা অর্থই হ’ল রিবা। ইমাম আবুবকর আল-জাসসাস ‘আহকামুল কুরআন’ গ্রন্থে বলেন, রিবা দু’রকম। একটি ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যে, অপরটি ক্রয়-বিক্রয় ছাড়া। দ্বিতীয় প্রকারই জাহেলী যুগের রিবা। তিনি আরও বলেন, জাহেলী যুগে ঋণ গ্রহণের সময়ে ঋণদাতা ও ঋণগ্রহীতার মধ্যে একটি চুক্তি হ’ত। তাতে স্বীকার করে নেওয়া হ’ত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মূলধনের উপর একটি নির্ধারিত পরিমাণ অতিরিক্তসহ আসল মূলধন ঋণগ্রহীতাকে আদায় করতে হবে।
প্রখ্যাত তাফসীরবিদ ইবনু জারীর (রহ.) বলেন, ‘জাহিলী যুগে প্রচলিত ও কুরআনে নিষিদ্ধ রিবা হ’ল কাউকে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য ঋণ দিয়ে মূলধনের অতিরিক্ত নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ গ্রহণ করা’। আরবরা তাই-ই করত এবং নির্দিষ্ট মেয়াদে ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে সূদ বাড়িয়ে দেওয়ার শর্তে পরিশোধের মেয়াদ বাড়িয়ে দিত {তাফসীর ইবনে জারীর}।

কুরআনে কারীমে ইরশাদ হচ্ছে-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ [٢:٢٧٨] 

হে ঈমানদারগণ,তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে,তা পরিত্যাগ কর,যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। [সূরা বাকারা-২৭৮] 

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا الرِّبَا أَضْعَافًا مُّضَاعَفَةً ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٣:١٣٠] 

হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো। [সুরা আলে ইমরান-১৩০] 

হাদিসে এসেছে-
لَعَنَ رَسُولُ اللهِ ﷺ آكل الربا وموكله وكاتبه وشاهديه، وقال : هم سواء.
আল্লাহর রাসূল ﷺ সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক এবং তার উপর সাক্ষীদ্বয়কে অভিশাপ করেছেন, আর বলেছেন, ওরা সকলেই সমান। (মুসনাদে আহমাদ ৩৮০৯)
,
ডলারের দাম উঠানামা করার অন্যতম একটি কারন হলো,  কাঁচা তেল বা জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে ডলারের দামের একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। আমেরিকা তেলের অন্যতম বড় আমদানিকারক। 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত জায়েজ,এতে সুদ নেই।
,
তবে যদি বাকীতে কারেন্সির ব্যবসা করা হয়,তাহলে চুক্তির সময়ের মার্কেটের মূল্যই ধরতে হবে।
তাহলে কোনো সুদের আশংকা থাকবেনা। 
,
দারুল উলুম দেওবন্দ এর 51797 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।

আরো জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (20 points)
প্রিয় মুসলিম,আমিতো Graphic design এ কাজ করতে চাই,এখন কে কখন আমার ডিজাইন কিনে নেয় তা তো আমি জানি না আর তারা per design এর জন্য ০.১১ডলার দেয় এখন টাকা গুলো জমতে জমতে আমার account এ যদি ১০০ডলার হয় আর তা যদি ১ মাস পর ব্যাংক হতে উঠিয়ে নিয়ে আসি, তাহলে দেখা গেল তারা আমাকে ৮৫০০টাকা দিল,কিন্তু আমি যদি ১মাসের আগে নেই যেমন ২০তারিখ তাহলেলে দেখা গেল ৮০০০টাকা পাওয়া যায় কারণ ডলার উঠানামায়, হতে পারে ২০তারিখ ডলার এর মান কম ছিল আর বরাবর ১মাসে মানে ৩০তারিখ ডলারের মান বেশী ছিল, তো এখন কি এভাবে অর্থ উপার্জন কি হারাম হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...