আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
59 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম, আমরা ২ বোন, ভাই নেই।বাবা ২০০৯ সালে মারা যান। তখন আমি ক্লাস ৯ এ পরি।ছোট বোন ৭ এ।বাবা আমাদের খুব রেস্ট্রিকশনের মধ্যে বড়ো করেসেন। তাই বাইরে চলাফেরা আমরা বা আমাদের মায়ের জন্য ওই সময় খুব কঠিন ছিলো।আমার মা একজন সাধারণ গৃহিণী। মারা যাওয়ার সময়, আমার আব্বা কিছু টাকা(৩-৪লক্ষ)  এবং জমি রেখে যান। টাকা গুলো আমার চাচাতো ভাই কে দেন ব্যবসায়, কারন আমরা ২ বোন বা মা এর পক্ষে বাইরে কোনো কাজ করা সম্ভব ছিলো না। আমাদের ঘর ভাড়া, খাওয়া খরচ, পড়াশোনা বাবদ টাকা(১০ হাজার) ওই চাচাতো ভাই বহন করতেন।সেজন্য তিনি প্রতি মাসে একটা ফিক্সড এমাউন্ট আমাদের দিতেন।
পরবর্তীতে আমাদের জমি বিক্রি করে আমাদের ২ বোনকে আম্মা বিয়ে দেন।এখনও আম্মাকে আমার চাচাতো ভাই প্রতি মাসে একটা ফিক্সড এমাউন্ট দিয়ে যাচ্ছেন, যেটা দিয়ে আম্মার জীবন চলসে, মাঝেমধ্যে আমরা ২ বোনও সাহায্য করি।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যেহেতু আব্বা মারা যাওয়ার সময় আমরা ছোট ছিলাম, বা কোনো ভাই নাই, এবং আম্মা খুব সাধারণ গৃহিণী বাইরে জব সম্ভব না। সেক্ষেত্রে চাচাতো ভাই এর ব্যবসা থেকে দেওয়া ফিক্সড টাকাটা কি সুদ এর অন্তর্ভুক্ত হবে।
আমরা কখনো ব্যাংকে টাকা ডিপোজিট করিনি,বা লোন তুলিনি সুদ হওয়ার ভয়ে।
২০০৯ এ আমাদের পরিবারের পক্ষে একা সংসার চালানো খুব কঠিন ছিলো, কারন মামা বা চাচারা কখনো আর্থিক সহায়তায় এগিয়ে আসেন নি।
যদি সুদ হয় তাহলে আমরা কিভাবে এ গোনাহ থেকে পরিত্রাণ পাবো।

1 Answer

0 votes
by (64,890 points)

ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/40728/  নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,

মুদারাবা দুই ধরনের:

১. মুদারাবা মুতলাক অর্থাৎ চুক্তিপত্রে কিছুই উল্লেখ থাকবে না যে, কোথায় ব্যবসা করবে, কিসের ব্যবসা করবে, সময়সীমা কতটুকু হবে ইত্যাদি অনির্দিষ্ট থাকবে। এ ধরনের মুদারাবা চুক্তির আওতায় মুদারিব স্বাধীন থাকে। সে ইচ্ছানুযায়ী যে কোনো পণ্যের যে কোনো জায়গায় ব্যবসা করতে পারে। তবে সাহিবুল মালের অনুমতি ছাড়া মূলধনকে নিজের সম্পদের সঙ্গে মেশাতে কিংবা অন্যকে মুদারাবার ভিত্তিতে প্রদান করতে পারবে না।

২. মুদারাবা মুকাইয়াদ অর্থাৎ ব্যবসার চুক্তিপত্রে যাবতীয় বিষয় কিংবা যে কোনো একটি বিষয় নির্দিষ্ট থাকবে।

এ পদ্ধতির আওতায় ব্যবসা করলে মুদারিব স্বাধীন থাকবে না। তাকে চুক্তিপত্রের শর্তানুযায়ী ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। (শিরকত ও মুজারাবাত আসরে হাজের মে, পৃষ্ঠা ২৩২)।

,

মুদারাবা শুদ্ধ হওয়ার জন্য কিছু শর্ত:

১. মূলধন নির্দিষ্ট করে মুদারিব তথা উদ্যোক্তার পূর্ণ দখলে দিতে হবে।

২. মালিক ও উদ্যোক্তার মধ্যে মুনাফার অংশ আগেই নির্দিষ্ট হতে হবে। এক্ষেত্রে স্মরণ রাখবে যে, শরিয়ত মুনাফা বণ্টনের কোনো অনুপাত নির্দিষ্ট করে দেয়নি। বরং তা উভয়পক্ষের স্বাধীন মতামতের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। তারা মুনাফা সমহারেও বণ্টন করতে পারে আবার সাহিবুল মাল তথা মালিক ও মুদারিব তথা উদ্যোক্তার জন্য পৃথক কোনো অনুপাতও নির্দিষ্ট করতে পারে তবে মুনাফা বণ্টন করতে হবে মুনাফাকেন্দ্রিক; মূলধনকেন্দ্রিক নয়। অর্থাৎ মূলধনের আনুপাতিক হারের সঙ্গে মুনাফা নির্দিষ্ট করা যাবে না। উদাহরণস্বরূপ মূলধনের ২০ শতাংশ রব্বুল মাল পাবে। অর্থাৎ ১০০ টাকা বিনিয়োগ করলে লাভ কত এলো না এলো সেটা দেখার বিষয় নয়; বরং ১০০ টাকায় ২০ টাকা মালিক পেয়ে যাবে। এরূপ শর্ত করলে তা সুদে পরিণত হবে। অনুরূপভাবে কোনো পক্ষের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ লাভ ধার্য করাও যাবে না। যেমন মূলধন যদি এক লাখ টাকা হয় তাহলে সমুদয় মুনাফার ১০ হাজার টাকা মালিক পাবে। বাকি যা থাকবে সেটা মুদারিব বা উদ্যোক্তা পাবে। এ ধরনের চুক্তি করা যাবে না। বরং এভাবে চুক্তি করতে পারবে যে, প্রকৃত মুনাফার ৪০ শতাংশ মুদারিব পাবে এবং ৬০ শতাংশ রব্বুল মাল পাবে, কিংবা ৬০ শতাংশ মুদারিব পাবে এবং ৪০ শতাংশ রব্বুল মাল পাবে। স্থান, কাল, পাত্র ভেদে ও ব্যবসা পণ্যের ধরন বুঝে মুনাফার হার পরিবর্তন হতে পারে। (শেষ)

,

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!

,

প্রশ্নটি আরো বিস্তারিত জানার প্রয়োজন ছিলো। কিসের চুক্তিতে তিনি এভাবে টাকা দিচ্ছেন তা বিস্তারিত জানার প্রয়োজন।

উপরোক্ত বৈধ পদ্ধতিতে হলো তো এভাবে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট এমাউন্ট লাভ হতো না। বরং কম-বেশি হতো। তাই প্রশ্নটি আরো বিস্তারিত জানার প্রয়োজন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম, উপরিউক্ত তথ্য আরো বিস্তারিত লিখসি, বাবা যখন মারা গেলেন, তখন খুব অসহায় অবস্থায় পরি। কারন আমরা খুব একটা বাইরের কঠিন দুনিয়ার সাথে পরিচিত না। আম্মা বিশ্বস্ত মানুষ হিসেবে আমার চাচাতো ভাই( ভাই কি ব্যবসা করেন জানিনা, শুধু এতোটুকুই বুঝতাম ভাই বিশ্বস্ত আমাদের ঠকাবে না) কে টাকাটা দিলেন, এবং বললেন আমাদের চলা এবং পড়াশোনার জন্য কমপক্ষে ১০০০০ টাকা প্রয়োজন। যদিও আমরা খুবই টানাপোড়নে চলতাম।তারপর মুদারাবা মুতলাক হিসেবে টাকাটা দেই। এবং আমাদের যখন পুরো টাকা প্রয়োজন পরবে( বিয়ে বা বড়ো কোনো খরচ) তখন এটি তিনি ফিরত দিয়ে দিবেন। এতোটুকুই কথা হয়েসে। 
আমার প্রশ্ন :
১)আমাদের পরিস্থিতির ভিত্তিতে এটা কি সুদ হবে।
২) যদি সুদ হয় তাহলে কিভাবে আমরা এটার কাফফারা দিতে পারি। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...