আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
38 views
in পবিত্রতা (Purity) by (43 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহ মাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ।

আমার ইস্তেহাজার সমস্যা রয়েছে।প্রত্যেক মাসে হায়েযের দিন ছাড়াও আমার এমনিতেও ব্লেডিং হয়।২-৩ দিন সুস্থ থাকলে এর পরে আবার ব্লেডিং হয়।আমি ১৫ দিন পর পর গণনা করে হায়েযের দিন গুলো নির্ধারণ করি।এখন এই মাসে ১৫ দিন পার হয়ে যাওয়ার পর আমি গণনা করে দেখি আমার হায়েযের দিন আরো আগেই শুরু হয়েছিল।গত মাসের ৩০/১২/২০২৪ তারিখ থেকে আমার হায়েযের দিন ধরার কথা ছিল।কিন্তু আমি হায়েযের দিন গণনা করেছি ২/১/২০২৫ তারিখে।এর মধ্যে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারী এই ৩ দিনের মধ্যে আমি বেশির ভাগ সময় সুস্থই ছিলাম।তবে এই ৩দিনে আমি ২-৩ বার কয়েক সেকেন্ডের জন্য খুবি সামান্য পরিমাণে রক্তস্রাব দেখেছিলাম।১বার সিউর রক্তস্রাব দেখেছি।বাকি ২ বার নাকি একবার দেখেছি নাকি একবারও দেখিনি সেটা একদম সিউর বলতে পারছিনা।কিন্তু যে একবার একদম সিউর রক্তস্রাব দেখেছি তখন আমি ভেবেছি ১৫ দিন হয়তো  শেষ হয়নি,তাই এটা ইস্তেহাজা হবে এই ভেবে আর ১৫ দিন হিসেব করে দেখিনি।কিন্তু এরপর থেকে আমি একদম সুস্থ ছিলাম।পরে ২/০১/২০২৫ তারিখে  যখন বেশি পরিমাণে রক্তস্রাব দেখি তখন হিসেব করে দেখি যে ১৫ দিন তো ৩০/১২/২০২৪ তারিখ থেকে গণনা করার কথা ছিল।এখন আমার প্রশ্ন হলো- আমি যদি সিউর জানতাম যে ৩০/১২/২০২৪ তারিখ থেকে ১/০১/২০২৪ তারিখ পর্যন্ত এই ৩দিনে আমার যে কয়েকবার রক্তস্রাব বের হয়েছে সেটা প্রথম কখন বের হয়েছে, তাহলে আমি সেই সময় থেকে হায়েযের দিন নির্ধারণ করতে পারতাম।কিন্তু আমার তো সেই রক্তস্রাব বের হওয়ার সময়টা মনে নেই।আমার তো ১৫ দিন পার হয়ে যাওয়ার পর ২/০১/২০২৫ তারিখ যে রক্তস্রাব বের হয়েছে সেই সময়টা মনে আছে।এখন আমি কি করে বুঝবো আমার হায়েয কবে থেকে শুরু হয়েছে এবং আমার হায়েযের আজকে কয়দিন চলতেছে???

(বি.দ্র: ২/০১/২০২৫ তারিখ থেকে এখন পর্যন্ত আমার রক্তস্রাব একবারও বন্ধ হয়নি।এবং সেটা একদম সাধারণ হায়েযের রক্তস্রাবের মতই বের হচ্ছে।এই অবস্থায় নামায নিয়ে খুব চিন্তায় আছি।হায়েযের দিন সিউর বলতে না পারায় নামায পড়বো নাকি পড়বোনা সেটা বুঝতে পারছিনা।)

1 Answer

0 votes
by (610,710 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬) তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
আপনি সতর্কতামূলক প্রথম যে সময়টা মনে পড়বে, সেই সময় থেকেই হায়েযের সময়কে গণনা করবেন। এবং আপনার পূর্বের আদত বা অভ্যাস যতদিনের ততদিনকে হায়েয গণনা করবেন, এবং অতিরিক্ত দিনসমূহকে ইস্তেহাযা গণনা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...