আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
513 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (17 points)
১.)অামার বাবা অগ্রণী ব্যাংক এ চাকরী করে। ওয়ারিশ সূত্রে সে এক টুকরা জমিনের মালিক।দাদা রেখে গেছেন।একটা ছোটখাটো ঘর উঠানো যাবে। ২.) অামার মা বিঅারডিবি তে চাকরী করে(কর্মপদ্ধতি এনজিও এর মতো).তার বাবার বাড়ি থেকে সে কোন সম্পত্তি অানবে না।৩).অামাদের ২ টা ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে।১ম টা অামার মায়ের জমানো টাকা(পোস্ট অফিস এ রেখেছিলো ডিপিএস হিসেবে),,২য় টা অাব্বুর ব্যাংক এর লোন এর টাকায়।৪)    অামাদের কোন ভাই নেই।অামরা ৩ বোন।বর্তমানে অাম্মু অাবার টাকা জমাচ্ছে কৃষি ব্যাংক এ (লভ্যাংশ অাসবে) ।৫)এই টাকা দিয়ে হজ্জ করা যাবে? যদি বর্তমানের জমানো টাকা টার লভ্যাংশ নাও তুলে, তাহলেও কি হজ্জ করা যাবে?
##অামরা ভবিষ্যতে এই ফ্ল্যাট ভাড়ার এর টাকা থেকে সদকায়ে জারিয়া করতে পারব অাম্মু অাব্বুর জন্য সওয়াবের উদ্দেশ্যে? নাকি সওয়াবের অাশা করা যাবে না?####

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
সুদ এটি হারাম।
আল্লাহ তায়ালা বলেন 

يا ايها الذين امنوا لا تاكلوا الربا اضعافا مضاعفه واتقوا الله لعلكم تفلحون 

 ‘হে মুমিনগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেও না। আল্লাহকে ভয় করো। তাহলে তোমরা সফল হতে পারবে। ’ -সূরা আল ইমরান: ১৩০

আল্লাহ তা'আলা বলেন-

ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﺄْﻛُﻠُﻮﻥَ ﺍﻟﺮِّﺑَﺎ ﻻَ ﻳَﻘُﻮﻣُﻮﻥَ ﺇِﻻَّ ﻛَﻤَﺎ ﻳَﻘُﻮﻡُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳَﺘَﺨَﺒَّﻄُﻪُ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤَﺲِّ ﺫَﻟِﻚَ ﺑِﺄَﻧَّﻬُﻢْ ﻗَﺎﻟُﻮﺍْ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟْﺒَﻴْﻊُ ﻣِﺜْﻞُ ﺍﻟﺮِّﺑَﺎ ﻭَﺃَﺣَﻞَّ ﺍﻟﻠّﻪُ ﺍﻟْﺒَﻴْﻊَ ﻭَﺣَﺮَّﻡَ ﺍﻟﺮِّﺑَﺎ ﻓَﻤَﻦ ﺟَﺎﺀﻩُ ﻣَﻮْﻋِﻈَﺔٌ ﻣِّﻦ ﺭَّﺑِّﻪِ ﻓَﺎﻧﺘَﻬَﻰَ ﻓَﻠَﻪُ ﻣَﺎ ﺳَﻠَﻒَ ﻭَﺃَﻣْﺮُﻩُ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻭَﻣَﻦْ ﻋَﺎﺩَ ﻓَﺄُﻭْﻟَـﺌِﻚَ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏُ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ﻫُﻢْ ﻓِﻴﻬَﺎ ﺧَﺎﻟِﺪُﻭﻥَ

যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়।
তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত!
অথচ আল্লা’হ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। 
অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল।
আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে।
(সূরা বাকারা-২৭৫)

★হারাম টাকায় হজ্জ করা জায়েজ নেই।
আরো জানুনঃ 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
হারাম টাকায় হজ্জ করলে হজ্জ আদায় হয়ে যাবে ঠিকই,তবে কোনো ছওয়াব পাবেনা।  

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

وروي عن أبي ہریرۃ رضي اللّٰہ عنہ قال: قال رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم: إذا خرج الحاج حاجاً بنفقۃٍ طیبۃٍ ووضع رجلہ في الغرز فنادی: لبیک اللّٰہم لبیک۔ ناداہ مناد من السماء: لبیک وسعدیک، زادک حلال، وراحلتک حلال، وحجک مبرور غیر مأزور، وإذا خرج بالنفقۃ الخبیثۃ فوضع رجلہ في الغرز، فنادی: لبیک۔ ناداہ مناد من السماء لا لبیک ولا سعدیک زادک حرام، ونفقتک حرام، وحجک مأزور غیر مبرور۔ (رواہ الطبراني في الأوسط، الترغیب والترہیب مکمل ۲۶۴ رقم: ۱۷۴۸)
সারমর্মঃ
হাজী যদি হারাম টাকায় হজ্জ করে, তখন আসমান থেকে ডাকনে ওয়ালা ডাকেন,যে তোমার হজ্জ কবুল হয়নি,,,,,,,
  
ویجتہد في تحصیل نفقۃ حلال، فإنہ لایقبل بالنفقۃ الحرام کما ورد في الحدیث، مع أنہ یسقط الفرض عنہ معہا، ولا تنافي بین سقوطہ وعدم قبولہ فلا یثاب لعدم القبول، ولا یعاقب عقاب تارک الحج۔ (شامي ۳؍۴۵۳ زکریا)
সারমর্মঃ
চেষ্টা করবে হালাল সম্পদ অর্জনের।
কেননা হারাম সম্পদ খরচ করলে তাহা কবুল হয়না।    

فلا تجب بإباحۃ ولا بمال حرام؛ لکن لو حج بہ جاز؛ لأن المعاصي لاتمنع الطاعات، فإذا أتی بہا لا یقال: إنہا غیر مقبولۃ، کما في مکروہات صلاۃ الخزانۃ، ذکرہ القہستاني۔ (مجمع الأنہر شرح ملتقی الأبحر ۱؍۲۶۱ بیروت)
সারমর্মঃ
হারাম সম্পদের দ্বারা হজ্জ ফরন হয়না।
কিন্তু যদি ইহার দ্বারা হজ্জ করা হয়,তাহলে জায়েজ আছে। 
۔
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন 
এনজিও সাধারণত  সুদভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হয়।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি আপনার মা যেখানে চাকুরী করে,তাদের সম্পূর্ণ কাজটাই যদি সুদভিত্তিক হয়, তাহলে এখানে চাকরী করা, উপার্জন করা হারাম হবে। 

বিস্তারিত জানুনঃ 

সেই ছুরতে কৃষি ব্যাংক থেকে লোন না নিলেও হজ্জ কবুল হবেনা।
কারন বেতনই হারাম।
,
,
আর যদি আপনার মা যেখানে চাকুরী করে,তাদের সম্পূর্ণ কাজটাই যদি সুদভিত্তিক না হয়, তাহলে এখানে চাকরী করা, উপার্জন করা হালাল হবে। 
সেই ছুরতে ব্যাংক থেকে লভ্যাংশ না নিয়ে হজ্জ করলে তাহা কবুল হবে,ইনশাআল্লাহ।   
,
(০২)
যেই পরিমান হারাম টাকা,উক্ত বাসা বানানোর ক্ষেত্রে ব্যায় হয়েছে,সেই পরিমান হারাম টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনদের মাঝে দান করার পর উক্ত বাসার ভাড়া ভক্ষন হালাল হবে।
নতুবা হালাল হবেনা।

আরো জানুনঃ
,
★সুতরাং উক্ত ফ্লাট এর হারাম টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া সদকাহ করার পর তার ভাড়ার  টাকা আপনার বাবা মার জন্য দান করলে তারা ছওয়াব পাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...