আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
44 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আস্সালামুআলাইকুম,

আমি অনার্সএ পড়াশোনা করছি, আমি কলেজ থাকা কালীন একছেলে এর সাথে সম্পর্ক হয় সেই আমাকে প্রথম পছন্দ করে। আমি হারাম এর জন্য অনেক বার তাকে ছাড়তে গিয়ে আর পারিনি তখন সে অনেক পরিমান অসুস্থ হয়ে পরতো আর সুসাইড করতে চাইতো একপর্যায় আমার ফ্যামিলিতে প্রস্তাব দেয় ছেলের বাবা আমার বাবা রাজি হয়না, এর জন্যে তখনি আমি তাকে ছাড়তে চাই কিন্তু সেই সময়ে সে অনেক অসুস্থ আর সুসাইড করবে এমন কথা বলে, তারপরে আমি তাকে বলি আমাকে বিয়ে না করলে আমি এই হারাম এ থাকতে পারবো না,। পরে সে তার ২টা ছেলে বন্ধু কে সাক্ষী রেখে নিজেই বিয়ে পড়ায় আর দেরমোহর শোধ করে দেয়,তারপরে ওয়ালি ছাড়া বিয়ে হয়না বলে আমি তাকে ছেড়ে দেই আর বিয়ে অস্বীকার করি এর পরে সে নেশা করা মেয়েদের সাথে কখা বলা সব খারাপ কাজ শুরু করে l আমি না সহ্য করতে পেরে আবার কথা বলা শুরু করি, সে আমাকে অনেক জোর করতো আমরা হাসব্যান্ড ওয়াইফ আমাদের শারীরিক সম্পর্ক হালাল হয়েগেছে যদি না করতে চাইতাম তখন মন খারাপ করে থাকতো কথা বলতো না এমন কী রোজার মধ্যে এই সে সবচেয়ে বেশি জোর করে রাগ রাগী হয় বলে কিস করলে রোজা ভেঙে যায়না ঐটা করা যাবে ওই সময় আমিও আই বিষয় ডিটেলস এ জানতাম না এর জন্যে তার কথায় বিশ্বাস করি এমন কী একপর্যায় সে জোর করে এই রোজার মধ্যে তার লিঙ্গ আমার মুখে দিয় এমন অনেক দিন হয় কিন্তু আমার মনে নাই কত দিন হয়েছে।পড়ে আইনিয়া আমি না বললে বলে এটা রোজা কিছু হয়না কারণ তার জন্যে তো বীর্যপাত হয়নি তার এর জন্যে রোজার কিছু হবে না আমার রোজা হয়েযাবে আইনিয়া আমি প্রায়স অনেক চিন্তায় থাকতাম। তাকে বললে সে উল্টা আরো রাগ করতো বলত আমি ইসলাম নিয়ে বেশি বেশি করছি। একপর্যায় এর জন্যে আবার ছেড়ো দেই আমি তাকে আমি শান্তি পাচ্ছিলাম না অনেক কান্না করি আল্লাহ কাছে মাফ চাই কিন্তু তখন ও সে আমাকে তালাক দেয়নি পড়ে সে বলে যে সে এমন আর করবে বলবে না করতে তার সাথে। এমনি থাকতে বলে আমাকে সে বিয়ের করেছে এখন এইভাবে ছেড়ে যাওয়ার মানে হয়না তার কাছে নাকি শারীরিক সম্পর্ক কিছু না আমার তার কাছে থাকা টাই ইম্পরট্যান্ট।তার পড়ে একদিন এর মধ্যে জানতে পারি তাকে তার ছোট বোন এর ম্যাডাম ভালোবাসার প্রস্তাব দেয় এমন কী শারীরিক সম্পর্কে ও নাকি প্রস্তাব দেয় তাকে সে নাকি রাজি হয়নি আমি তাঁদের ম্যাসেজ দেখতে চাইলে সব ডিলিট করে দেয়। এর পরে আবার একবার ওই মেয়ে নিয়ে ধরা খেয় কিন্তু শিকার করে না আর ঝামেলা হওয়াতে সে কুরআন ছুঁয়ে বলে সে কোনো মেয়ে এর সাথে জীবনে কথা বলবে না কোনো কাজ এ ও না এইটা ভিডিও করে পাঠায়, আবার যখন ঝামেলা হয় আমাদের আমি কথা অফ করলে সে আবার ওই মেয়ে এর কাছে যায় তারপরে হাতে নাতে ধরার পরে সে আল্লাহ কসম দিয়ে মিথ্যা বলে, আমি কোনো ভাবে এই এমন কারো সাথে থাকতে চাইনা যে আল্লাহ নাম দিয়ে এইভাবে মিথ্যা বলে পড়ে আল্লাহ খাতিরে তার কাছে তালাক চাই কিন্তু সাজে টা কোনো ভাবে এই দিতে রাজি না।তার নেশা করা নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে বলে আল্লাহ জানে কত কষ্ট পেয়ে সে এইসব করছে সে বুজবে,। এই টাইম এ সে নামাজ পড়া ছেড়ে দেয়, আমি তারকাছে তালাক চাইলের সে কোনো ভাবে এই দেয়না , শেষ এ অনেক ঝামেলা আর পড়ে সে সব কন্টাক্ট অফ করে দেয় আমার সাথে, পড়ে ওর ফ্রেন্ডদের আমি সব বলি ওরা তালাক দেওয়ার কথা বললে বলে সে আমাকে চাইনা আমাকে ছেড়ে দিছে কোনো ভাবে এই আর আমার সাথে থাকা সম্ভব না পুরাপুরি নাকি আমাকে ছেড়ে দিছে,আমি অন্য কোনো ছেলে এর সাথে গেলে ও তার যায় আসে না, কিন্তু সে আমাকে তালাক বলবে না আর এইভাবে রেখে কষ্ট দিবে বলছে তাঁদের, কিন্তু কোনো ভাবে তালাক বলবে না। এতে কি আমার তালাক হবে আর যদি না হয় আমার এখন কি করা উচিত, আর সে এইটাই অভিশাপ দেয় যে আমার হিসাব সে হাসর এর ময়দানে নিবে, আমার শাস্তি আমি পাবো। এর পড়ে তালাক নিয়ে আরো জোরাজোরি করলে সে এই বিয়ে মানে না। আমি আসলে ভয়ে আছি ওর সাথে যদি এর পড়ে ও তালাক না হয় তার জন্য আল্লাহ কাছে কিভাবে ঠিক থাকবো যা হাসব্যান্ড এর কাছে আমি খারাপ আমার জন্যে সে কষ্ট পাইছে অভিশাপ দিবে, আমি এইসব চাইনা আমাকে মুক্তি চাই। আমি জানি না আমার অবস্থা এখন কী আমার কিভাবে কী সব ঠিক করা উচিৎ আমি কোনো ইবাদত করে শান্তি পাচ্ছি না। আমার শরীর এর অবস্থা ওতো ভালো না আমি পক্ষে এতো গুলা রোজার কাফারা দেওয়া সম্ভব না এমন কী আমার পরিবার করতে দিবে না তারা জানতে চাইবে আমার কাছে কেন করছি কী হয়েছে তাঁদের সত্যি বলা কোনো দিন ও সম্ভব না। তারা ঐভাবে ইসব করা ভালো চোখে দেখে না এমন এমন একটু বেশি ইবাদত করলে কথা শুনায়। তাঁদের বিয়ের কথা বললে বলে এই বয়স কিসের বিয়ের আমার বড় বোনদের হয়নি আমি কিভাবে করবো এইসব কোই আছে ইসলাম এ আমি আমার বাবা কে ভয় পাই তাকে জোর দিয়ে বলার সাহস আমার নাই তাই আর এই বিষয় কথা বলিনি। আমার কাছে এতো টাকা ও নাই সেই হিসাব মানুষ খাওয়াবো কাফারা হিসাবে আর আমার মনে ও নাই কত দিন এমন করেছি রোজার মধ্যে। আমি জানি না এখন আমার কী হবে কী করবো শুধু এইটুকু জানি আমি আল্লাহ জন্যে করতে চাই আমি বুজতেছি না এর থিকে মাফ পাওয়ার উপায় কি?..

1 Answer

0 votes
by (606,150 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।জানুন-https://www.ifatwa.info/994, কুফু সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/780
চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1525

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাতাপিতা ও সমাজকে লুকিয়ে বিয়ে করা অভিশাপ ও গোপন যিনাহর মতই।
রমজানের ফরয রোযা অবস্থায় লিঙ্গ মুখে ঢোকালে যদি  যদি লিঙ্গ থেকে কোনো কিছু বের হয় এবং সেটা গলার ভিতরে ঢুকে যায়, তাহলে কাযা কাফফারা উভয়টি আসবে। আপনি সঠিকভাবে মনে করেন কতটি রোযা এভাবে ভঙ্গ হয়েছে, যতটি রোযা ভঙ্গ হয়েছে, সবকটির কাযা আদায় করতে হবে। এবং সবক'টির জন্য একটি কাফফারা আদায় করতে হবে।

ছুটে যাওয়া প্রত্যেকটি রোযার জন্য কি পৃথক পৃথক কাফ্ফারা আদায় করতে হবে?নাকি সবগুলোর জন্য একটি কাফ্ফারাই যথেষ্ট হবে?কাফফারা সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/102 (শেষ)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2187


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...