আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in পবিত্রতা (Purity) by (2 points)

হায়েয অবস্থায় কুরআন পাঠ করা নিয়ে এখানে (আই-ফতয়ায়) কয়েকটি মাস‌আলা দেখলাম। যেমন:

 

হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত মহিলাদের জন্য হারাম, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হবে।তবে দু'আ যিকিরের নিয়তে কুরানের আয়াত পড়া যাবে।তেলাওয়াতের নিয়তে পড়া যাবে না।যেমন,বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।রাব্বানা আ'তিনা ফিদ-দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ।এ জাতীয় কুরআনের আরো অন্যান্য আয়াত।

 

হাযেজ অবস্থায় মুখস্থ করা সূরা গুলোকেও পড়া যাবে না।দেখে দেখেও করা যাবে না।আবার মুখস্থ থেকেও তেলাওয়াত করা যাবে না। হ্যা, ভেঙ্গে ভেঙ্গে আপনি পড়তে পারবেন।যেমন, আলহামদু, তারপর লিল্লাহি,তারপর রাব্বিল,তারপর আ'লামিন, এভাবে পড়তে পারবেন।অর্থ পড়তে পারবেন।চায় পুরোই হোক না কেন,এতে কোনো সমস্যা নেই।

এখন আমার প্রশ্ন;

  1.  IOM এর মাশক ক্লাসে হায়েয অবস্থায় ‌থাকলে ভেঙ্গে ভেঙ্গে ‌পড়তে বলা হয়, তখন আমরা এভাবে ভেঙ্গে পড়ি যে, একটার পর একটা শব্দ বলি, এতে করে দেখা যায় তেমন একটা দম ছাড়া হয়না, আবার এটা শুনতেও অনেকটা তিলাওয়াতের মতোই লাগে । এরকম ভাবে পড়া কি ঠিক আছে?
  2. এরকম ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়ার সময় শুরুতে কি তাআউয়ু্য-বাসমালা পড়তে হবে?

1 Answer

0 votes
by (604,200 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
অপবিত্র বা হায়েয অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করা যাবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/793
হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে কি না?এ সম্পর্কে উলামাদের মধ্যে মতবেদ রয়েছে। জুমহুর ফুকাহায়ে কেরাম বলেন,
হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত মহিলাদের জন্য হারাম, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হবে।তবে দু'আ  যিকিরের নিয়তে কুরানের আয়াত পড়া যাবে।তেলাওয়াতের নিয়তে পড়া যাবে না।যেমন,বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।রাব্বানা আ'তিনা ফিদ-দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ।এ জাতীয় কুরআনের আরো অন্যান্য আয়াত।
হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত
عن ابن عمر رضي الله عنهما أن النبي صلى الله عليه وسلم  قال : " لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئاً من القرآن
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,হায়েযা এবং জুনবী ব্যক্তি কুরআন থেকে কিছুই পড়তে পারবে না।(সুনানু তিরমিযি-১৩১) বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/389

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হায়েয অবস্থায় কুরআনের ঐ সমস্ত আয়াত তিলাওয়াত করা যাবে, যেগুলোতে দু'আর অর্থ বিদ্যমান রয়েছে। তবে আয়াতে দু'আর অর্থ বিদ্যমান না থাকলে, তখন কিন্তু হায়েয অবস্থায় উক্ত আয়াত সমূহ পড়া যাবে না।
لو قرأت الفاتحة على وجه الدعاء أو شيئا من الآيات التي فيها معنى الدعاء ولم ترد القراءة لا بأس به كما قدمناه عن العيون لأبي الليث ‘‘(رد المحتارعلی الدرالمختار، جلد1، کتاب الطھارۃ، صفحہ535، مطبوعہ کوئٹہ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হায়েয অবস্থায় ভেঙ্গে ভেঙ্গে কুরআন পড়া যাবে। এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিশ্বাস ত্যাগ করাই উত্তম। এক্ষেত্রে  তাআউয়ু্য পড়া ওয়াজিব হবে না এবং -বাসমালা পড়া সুন্নত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...