জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
নামাজের ওয়াজিব গুলোর মধ্য হতে অন্যতম একটি হলোঃ
সালামের মাধ্যমে নামাজ শেষ করা। (বুখারি ১/১১৫, হাদিস : ৮৩৭)
হাদীস শরীফে এসেছে
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ هِنْدٍ بِنْتِ الْحَارِثِ، أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا سَلَّمَ قَامَ النِّسَاءُ حِينَ يَقْضِي تَسْلِيمَهُ، وَمَكَثَ يَسِيرًا قَبْلَ أَنْ يَقُومَ. قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَأُرَى ـ وَاللَّهُ أَعْلَمُ ـ أَنَّ مُكْثَهُ لِكَىْ يَنْفُذَ النِّسَاءُ قَبْلَ أَنْ يُدْرِكَهُنَّ مَنِ انْصَرَفَ مِنَ الْقَوْمِ.
উম্মে সালামাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাম ফিরাতেন, তখন সালাম শেষ হলেই মহিলাগণ দাঁড়িয়ে পড়তেন। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়ানোর পূর্বে কিছুক্ষণ বসে অপেক্ষা করতেন। ইবনু শিহাব (রহ.) বলেন, আল্লাহ্ই ভাল জানেন, আমার মনে হয়, তাঁর এ অপেক্ষা এ কারণে যাতে মুসাল্লীগণ হতে যে সব পুরুষ ফিরে যান তাদের পূর্বেই মহিলারা নিজ অবস্থানে পৌঁছে যেতে পারেন। (বুখারী ৮৩৭, ৮৪৯, ৮৫০, ৮৬৬, ৮৭০, ৮৭৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ৭৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৯৮)
,
মুক্তাদীর জন্য উভয় দিকে السلام عليكم ورحمة الله
বলা সুন্নাত।
একবার সালাম শব্দ বলা ওয়াজিব।
যদি সে সালাম শব্দ না বলে,তাহলে সে নামাজ থেকেই বের হবেনা।
قال ابن عابدین : قَوْلُہُ وَلَا یَخْرُجُ الْمُوٴْتَمُّ) أَیْ عَنْ حُرْمَةِ الصَّلَاةِ فَعَلَیْہِ أَنْ یُسَلِّمَ، حَتَّی لَوْ قَہْقَہَ قَبْلَہُ انْتَقَضَ وُضُوئُہ۔(الدر المختار مع رد المحتار :۵۲۴/۱۔۵۲۶)
সারমর্মঃ মুক্তাদীর উপরেও সালাম দেওয়া ওয়াজিব।
যদি সে সালাম ফিরানোর আগেই অট্রহাসি দেয়,তাহলে তার অযু ভেঙ্গে যাবে।
,
সুতরাং মুক্তাদীকেও অবশ্যই সালাম ফিরাতে হবে।
,
۔
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার নামাজ অসম্পূর্ণ হবে,আর তাহা পুনরায় আদায় করা ওয়াজিব হবে।
জামিয়া বিন নুরি পাকিস্তানের 144008200346 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।
,
তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই,সুতরাং মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন,কোনো সমস্যা নেই।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নামায থেকে ফারিগ হয়ে গেলে নামাযকে দোহড়ানো লাগে,এবং ওয়াক্ত চলো গেলে আর কিছুই করতে হয় না।বরং তাওবাহ ইস্তেগফার করতে হয়,তাই আপনি তাওবাহ ইস্তেগফার করবেন।
আরো জানুনঃ